‘কুছ কুছ হোতা হ্যয়’ সিনেমার অজনা কথা
প্রকাশিত : ০২:৩৭ পিএম, ১৮ অক্টোবর ২০১৮ বৃহস্পতিবার
১৯৯৮ সালের সুপার-ডুপার হিট বলিউড সিনেমা ‘কুছ কুছ হোতা হ্যয়’। এই সিনেমায় কাজল, রানি মুখার্জি আর শাহরুখ খানের বন্ধুত্বের কথা মনে আছে নিশ্চই। সেই সময় যারা এই সিনেমা দেখেছেন তারা প্রত্যেকেই প্রেমে পড়ে গিয়েছিলেন তাদের। দেখতে দেখতে ২০ বছর চলে গেছে। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক ‘কুছ কুছ হোতা হ্যয় সিনেমাটির অজানা কিছু তথ্য -
মজার বিষয় হচ্ছে- যে রানি মুখার্জির অভিনয় দর্শক হৃদয়কে করেছিলো আন্দোলিত সেই রানি নয়, টিনার চরিত্রের জন্য পরিচালক কর্ণ জোহরের প্রথম পছন্দ ছিলেন টুইঙ্কল খন্না। আর টুইঙ্কলেরই ডাক নাম টিনা, যেটা সিনেমাতেও একই রেখে দিয়েছিলেন কর্ণ। কিন্তু টুইঙ্কলই সেই অফার ফিরিয়ে দিয়েছিলেন। আর তার পরেই শাহরুখের কথা মতো চরিত্রটি চলে যায় রানির কাছে।
সিনেমার শুটিংয়ের সময়ে রানির বয়স ছিল মাত্র ১৯ বছর। তবে রানির হাস্কি ভয়েস এক্কেবারেই পছন্দ ছিল না পরিচালকের। তাই অন্য কাউকে দিয়েই ডাব করতে চেয়েছিলেন কর্ণ।
ছোট্ট অঞ্জলি অর্থাৎ শাহরুখের মেয়ের চরিত্রে যাকে দেখা গিয়েছিল, সেই সানা সঈদ সিনেমাতে গ্লিসারিন ব্যবহার করতে চাননি। আর তাই পরিচালক কর্ণকে সানাকে কাঁদানোর জন্য নানারকম ফন্দি আঁটতে হত।
‘তুম পাস আয়ে’ গানটির টিউন আসলে তৈরি করেছিলেন অভিনেতা যুগল হংসরাজ। আর তা তৈরি করেই শুনিয়েছিলেন কর্ণকে। কর্ণর তো বেজায় পছন্দ হয়ে গিয়েছিল। তার পর তো সেই গানই কয়েকদিনের মধ্যেই সুপার ডুপার হয়ে যায়।
বাস্কেট বল খেলার দৃশ্যগুলোতে জাম্প করার জন্য ট্রাম্পোলাইনের ব্যবহার করতে হত শাহরুখ এবং কাজলকে। ‘কোই মিল গ্যায়া’ গানটিতে শাহরুখ যে পোলো স্পোর্টের টি-শার্টটি পরেছিলেন তার দাম সে সময়েই ছিল প্রায় ৫ হাজার ৫০০ টাকার কাছাকাছি। আর এমন দামি টি-শার্ট কেনার জন্য পরিচালকের বকুনিও খেয়েছিলেন ডিজাইনার মণীশ মলহোত্র।
সিনেমাটি দেখার পর এক্কেবারে পছন্দ হয়নি শাহরুখের। শেষের দৃশ্যগুলো এত দুঃখের হওয়ার কারণেই মূলত তা অপছন্দ হয়েছিল শাহরুখের। তবে শাহরুখের অভিনয়ে ফিদা হয়ে গিয়েছিলেন সুস্মিতা সেন। শাহরুখকে বলেছিলেন, ‘এ বার অভিনয় ব্যাপারটাকে আমি সিরিয়াসলি নিতে চাই।’
টিনা অর্থাৎ রানি মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যুর গল্প প্রথমে সিনেমার স্ক্রিপ্টে ছিল না। পরে কাজলেরই মাথা থেকে এই আইডিয়া আসে। কাজলের সেই আইডিয়া খুব পছন্দ হয়ে যায় কর্ণ জোহরের।
সিনেমার সেই ছোট্ট পঞ্জাবী বাচ্চাটি, অর্থাৎ পারজান দস্তুরের কেবল একটি ডায়লগই ডাবিং করেছিল আর একটি বাচ্চা। কৈবাল্য চেডা নামের আর একটি বাচ্চার গলাতেই শোনা গিয়েছিল, ‘তুসসি যা র্যাহে হো? তুসসি না যাও!’
মণীশ মলহোত্র, ফারহা খান, কোরিওগ্রাফার গীতা কপূর এবং পরিচালক নিখিল আডবাণী এমনকি কর্ণ জোহরের মা হিরু জোহরকেও ‘কুছ কুছ হোতা হ্যয়’ সিনেমাতে ক্যামিও করতে দেখা গিয়েছে।
আমানের চরিত্রটির অফার প্রথমে গিয়েছিল সাইফ আলি খানের কাছে। কিন্তু সেই অফার ফিরিয়ে দেন সাইফ। তার পরে কর্ণ জোহরের বাড়িতে একটি অনুষ্ঠানে সালমান এসেছিলেন। তখনই সালমানকে আমানের চরিত্রে অভিনয়ের প্রস্তাব দেন কর্ণ।
সূত্র : আনন্দবাজার
এসএ/