ঢাকা, সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১০ ১৪৩১

ভর্তি বাতিলের দাবিতে অনশন: সংহতি জানাচ্ছে সবাই

প্রকাশিত : ০৫:০৭ পিএম, ১৮ অক্টোবর ২০১৮ বৃহস্পতিবার

 

ভর্তি পরীক্ষা বাতিলসহ চারদফা দাবিতে অনশন করছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) আইন বিভাগের শিক্ষার্থী আখতার হোসেন। গত তিনদিন ধরে অব্যাহত এ অনশনে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন আখতার। এখনও পর্যন্ত দাবি মেনে নেওয়ার কোন আশ্বাস মেলেনি। ফলে অনশনে আখতারের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে মানববন্ধনে যোগ দিয়েছে নিজ বিভাগর শিক্ষার্থী ও কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীরা। অসুস্থদের দেখতে আজ সেখানে গিয়েছিলেন একই বিভাগের অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষে ‘ঘ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁসের অভিযোগ ওঠার পর থেকে আখতার হোসেন চারটি দাবিতে গত মঙ্গলবার থেকে এ আমরণ অনশন শুরু করেন। দাবিগুলো হলো- ‘ঘ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা বাতিল, পুনরায় পরীক্ষা নেয়া, জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ ও বিগত বছরে যারা জালিয়াতি করে ভর্তি হয়েছে তাদের চিহ্নিত করে বহিষ্কার করা।

বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টায় আইন বিভাগের প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থী এ মানববন্ধনে অংশ নেন। সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের নেতাকর্মীরা মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেন। এ সময় অসুস্থ আখতারকে দেখতে আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল আসেন। আমরণ অনশনে থাকা আখতার শারীরিকভাবে অনেকটা দুর্বল হয়ে পড়েছেন। গতরাত (বুধবার দিনগত রাত) থেকে তিনি কোনো কথা বলছেন না। বন্ধুরা তাকে সেলাইন দিয়ে রেখেছেন।

এ সময় আসিফ নজরুর বলেন, প্রশ্নফাঁস হওয়ার প্রতিবাদে একটা ছেলে বসে আছে, আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা কতটা অসংবেদনশীল হয়ে গেছি যে, তাকে দেখতে পর্যন্ত কেউ আসেনি। এর চেয়ে দুর্ভাগ্যজনক আর কী হতে পারে?

মানববন্ধনে অংশ নেয়া আইন বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী সাব্বির হোসাইন সিফাত বলেন, আমরা আমাদের বন্ধু আখতারের পাশে দাঁড়িয়েছি। তার চার দফা দাবির বাস্তবায়ন চাই।

দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মশিউর রহমান বলেন, এর আগে যারা জালিয়াতি করে ভর্তি হয়েছে তাদের সাথে আমরা ক্লাস করব না। ‘ঘ’ ইউনিটের পরীক্ষা বাতিল করা না হলে আমরা ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের কর্মসূচি ঘোষণা করতে পারি।

মানববন্ধন শেষে শিক্ষার্থীরা একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। মিছিলটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। এরপরই একই দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরাও অংশ নেন।

আরকে//