দক্ষিণাঞ্চলে নারিকেলে নতুন প্রজাতির মাইট সনাক্ত
প্রকাশিত : ০৯:০০ পিএম, ১৯ অক্টোবর ২০১৮ শুক্রবার
বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলে (বরিশাল, পটুয়াখালী, বরগুনা, খুলনা ও বাগেরহাট) নারিকেলে নতুন প্রজাতির একটি মাইট (মাকড়) সনাক্ত করেছেন পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কীটতত্ব বিভাগের প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আতিকুর রহমানের নেতৃত্বাধীন এক দল গবেষক। তারা নতুন প্রজাতির মাইটটির বৈজ্ঞানিক নাম দিয়েছেন Acarus cocosi Mondal, Rahman & Jahan, 2018।
নারিকেলে নতুন মাইট সনাক্তকরণ ও তার অর্থনৈতিক গুরুত্ব সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চাইলে গবেষণা প্রধান প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আতিকুর রহমান বলেন, ”বাংলাদেশে ২০০৪ সালে যশোরে সর্বপ্রথম নারিকেলে বাদামী রঙে শুকিয়ে যাওয়া বা নারিকেলের অসম বৃদ্ধি বা ফেটে যাওয়া লক্ষণ পরিলক্ষিত হলেও ২০০৬ সালে যশোরে (RARS (BARI) সর্বপ্রথম নারিকেলে ইরায়োফাইড মাইটের (Aceria guerreronis ) আক্রমন সনাক্ত করেন। কিন্তু নারিকেলে এধরনের আক্রমন শুধু কী একটি প্রজাতির ইরায়োফাইড মাইটের (Aceria guerreronis ) আক্রমনে হচ্ছে নাকি ভিন্ন কোন প্রজাতির উপস্থিতি আছে, তা অনুসন্ধানে আমাদের গবেষক দল পবিপ্রবি’র রিসার্চ এন্ড ট্রেনিং সেন্টারের আর্থিক অনুদানে দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন জেলা থেকে নমুনা সংগ্রহ করেন এবং নারিকেলের বৃতির নীচে এবং আক্রান্তস্থান থেকে দুটি প্রজাতির মাইট সনাক্ত করেন যার একটি বিশ্বে নতুন প্রজাতি: Acarus cocosi sp. nov. ও অন্যটি বাংলাদেশে প্রথম রেকর্ড করা হয়েছে: Sancassania (Caloglyphus) berlesei)। দক্ষিণ কোরিয়ার কিয়ংপুক ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ইনসেক্ট মলিকুলার ফিজিওলজি ল্যাবের সহযোগীতায় নতুন সনাক্তকৃত মাইট দুটির জিনোম সিকুয়েন্স (আংশিক) সম্পন্ন করে ঘঈইও জিন ব্যাংকে জমা রাখা হয়েছে। এ গবেষণার মাধ্যমে সুস্পষ্টভাবে প্রমানিত হলো যে নারিকেলে এধরনের আক্রমন শুধু একটি প্রজাতির ইরায়োফাইড মাইটের (Aceria guerreronis) আক্রমনে হচ্ছে না বরং ভিন্ন প্রজাতির মাইটেরও উপস্থিতি রয়েছে। আমাদের গবেষণা দল শুধু প্রজাতি সনাক্তকরণই নয় বরং কীভাবে তার বিস্তার প্রতিরোধ করা যায় তা নিয়ে কাজ করছেন। কারন এই মাইটের মারাত্মক আক্রমনের কারনে প্রায় ৬০% ফলন এবং ৩৬% নারিকেলের শুষ্ক শাঁস কমে যায়।” এ গবেষণা দলের অন্যান্য গবেষক হলেন প্রফেসর ড. এস. এম. হেমায়েত জাহান, প্রফেসর ড. কিয়ং ইয়ল লী, পিংকী মন্ডল ও পিযূষ কান্তী ঝাঁ।
এসএইচ/