ঐক্যফ্রন্টের স্টিয়ারিং ও সমন্বয় কমিটিতে আছেন যারা
প্রকাশিত : ১০:৫৭ এএম, ২০ অক্টোবর ২০১৮ শনিবার
কর্মসূচি ও নীতি নির্ধারনে স্টিয়ারিং কমিটি এবং কর্মসূচি বাস্তবায়ন ও জোট মধ্যকার দলগুলোর মধ্যে সমন্বয়ের জন্য দুট কমিটি করেছে জাতীয় ঐ্ক্যফ্রন্ট। একটি স্টিয়ারিং কমিটি অন্যটি হচ্ছে কো-অর্ডিনেশন বা সমন্বয় কমিটি।
জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতাদের বৈঠকে এই কমিটি হয়। গতকাল শুক্রবার রাজধানীর ধানমন্ডিতে নাগরিক ঐক্যের এক নেতার বাসায় বৈঠকটি হয়। বৈঠকে আগামী ২৪, ২৬, ২৭ ও ৩০ অক্টোবরের জন্য কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়। সেই সঙ্গে বৈঠকে এও সিদ্ধান্ত হয় যে, ঐক্যফ্রন্টের আগামী কর্মসূচিগুলোতে জামায়াত ছাড়া ২০ দলের অন্তর্ভূক্ত সব দলকে আমন্ত্রন জানানো হবে। একাধিক সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
গুরুত্বপূর্ণ এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিষ্টার মওদুদ আহমেদ, গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি সুব্রত চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসীন মন্টু, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সাধারণ সম্পাদক আবদুল মালেক রতন, সিনিয়র সহ-সভাপতি তানিয়া রব, ডাকসুর সাবেক ভিপি সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমেদ, নাগরিক ঐক্যের কেন্দ্রীয় নেতা শহীদুল্লাহ কায়সার, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী প্রমুখ।
নেতারা জানান, স্টিয়ারিং কমিটিতে গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন না থাকলেও তাকে জানিয়েই কর্মসূচি ও নীতি নির্ধারনী বিষয়গুলো ঠিক করবেন অন্য নেতারা। শারিরীক কারণে তিনি সব সভায় থাকতে পারবেন না। স্টিয়ারিং কমিটিতে দু’জন অরাজনৈতিক ব্যাক্তিকেও রাখা হয়েছে। তারা হলেন- গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ব্যারিস্টার মঈনুল হোসেন।
স্টিয়ারিং কমিটি : স্টিয়ারিং কমিটিতে আছেন- বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আবদুর রব, সিনিয়র সহ-সভাপতি মিসেস তানিয়া রব, সাধারণ সম্পাদক আবদুল মালেক রতন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসীন মন্টু, ডাকসুর সাবেক ভিপি সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমেদ, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, কেন্দ্রীয় নেতা শহীদুল্লাহ কায়সার, মমিনুল ইসলাম ও ডা. জাহেদ উর রহমান।
সমন্বয় কমিটি: মূলত স্টিয়ারিং কমিটির নেওয়া সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে সমন্বয় কমিটি গঠন করা হয়েছে। ওই কমিটিতে আছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকতউল্লাহ বুলু, মো. শাহজাহান ও চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মনিরুল হক চৌধুরী ও হাবিবুর রহমান হাবিব, নাগরিক ঐক্যের শহীদুল্লাহ কায়সার, মমিনুল ইসলাম ও ডা. জাহেদ উর রহমান, জেএসডির মিসেস তানিয়া রব, আবদুল মালেক রতন ও শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার আ ও ম শফিকুল্লাহ, জগলুল হায়দার আফ্রিক ও মোস্তাক আহমেদ।
এছাড়া বৈঠকে কর্মসূচির বিষয়ে কিছু সিদ্ধান্ত হয়। সেগুলো হচ্ছে- আগামী ২৩ অক্টোবর সিলেটে যে কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছিল তা ২৪ অক্টোবর পালন করা হবে। সিলেটে শাহজালার (রহ.) এর মাজার জিয়ারতের মাধ্যমে ওই কর্মসূচি শুরু হবে। এছাড়া আগামী ২৬ অক্টোবর ঢাকায় সুধী সমাবেশ এবং ২৭ অক্টোবর চট্টগ্রামে ও ৩০ অক্টোবর রাজশাহীতে সমাবেশের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
তারা আরও জানিয়েছেন, জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আগামী কর্মসূচিগুলোতে বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের জামায়াত ছাড়া বাকি সব শরিকদের আমন্ত্রণ জানানো হবে। গণফোরামের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আগামী রোববার জাতীয় ঐকফ্রন্টের পরবর্তী সভা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। বৈঠকটি গণফোরামের মতিঝিলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে হতে পারে।
সমন্বয় ও স্টিয়ারিং কমিটি কেন? এমন প্রশ্নের জবাবে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের অন্যতম উদ্যোক্তা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী গণমাধ্যমকে বলেন, স্টিয়ারিং কমিটি পলিসি মেকিং করবে। জোটে কাকে নেওয়া হবে, কাকে নেওয়া হবে না। ফ্রন্টে কী স্বাধীনতাবিরোধী কেউ চলে আসলো কিনা, এসব বিষয়গুলো যাচাই বাছাই করার জন্য স্টিয়ারিং কমিটি। আর সমন্বয় কমিটি কাজকর্ম করবে। স্টিয়ারিং কমিটি সিদ্ধান্ত নিলে মিটিং করবে। মূলত কো-অর্ডিনেশন কমিটি। এটা তো একটা জোট। এখানে লিয়াঁজো করার কিছু নেই। সমন্বয় করবে।
প্রসঙ্গত, জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে এই ঐক্যফ্রন্ট গঠিত হয়। এই জোটে আছে-বিএনপি, গণফোরাম, জাসদ, নাগরিক ঐক্য। বিকল্পধারা এই জোটে আসার কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত আসে নি।
/ এআর /