যে শিশুর ছবি কাঁদাচ্ছে সবাইকে
প্রকাশিত : ১২:০৬ পিএম, ২০ অক্টোবর ২০১৮ শনিবার
সন্তানের জন্য পৃথিবীর সবচেয়ে নিরাপদ আশ্রয়স্থল হলো মায়ের কোল। কিন্তু সেই মা-ই যখন সন্তানের মৃত্যুর কারণ হয় তখন?
গতকাল শুক্রবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এমনই এক হৃদয়বিদারক ঘটনা ঘটেছে। মাত্র চারদিন বয়সী নিজের সন্তানকে পাঁচতলা বিশিষ্ট একটি ভবনের ছাদ থেকে ছুঁড়ে ফেলে হত্যা করেছে শিশুটির মা সীমা আক্তার। সেইসঙ্গে তিনি নিজেও ওই ছাদ থেকে লাফিয়ে পড়ে আত্মহত্যা করেছেন। ধারণা করা হচ্ছে, স্বামীর ওপর অভিমান এ ঘটনা ঘটিয়েছেন সীমা।
জানা যায, সীমা ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার বাসুদেব ইউনিয়নের ফুলচং গ্রামের মনির মিয়ার স্ত্রী। লেবানন প্রবাসী মনিরের সঙ্গে পারিবারিকভাবে গত এক বছর আগে তার বিয়ে হয়।
এদিকে, এ ঘটনার পর ফেসবুকে সীমার শিশু সন্তানের একটি ছবি ভাইরাল হয়ে পড়েছে। ছবিটিতে দেখা যাচ্ছে- হাসপাতালের সামনের সড়কে পড়ে আছে শিশুটির নিথর দেহ। প্রাণহীন ওই শিশুর দেহ ঘিরে উৎসুক জনতা। হৃদয় বিদারক ওই ছবি দাগ কেটেছে সবার মনে। ছবিটি যেন কাঁদাচ্ছে গোটা ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার মানুষকে। অনেকেই শিশুটির ছবি ফেসবুকে পোস্ট করে আবেগাপ্লুত হচ্ছেন।
এক সংবাদকর্মী শিশুটির ছবি দিয়ে লিখেছেন, আজ যে শিশুর থাকার কথা ছিল পরম আদরে, বাবা-মায়ের মান-অভিমান তাকে নিয়ে গেল লাশকাটা ঘরে।
মা-সন্তানের মৃত্যুর ঘটনায় সদর মডেল থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে। তবে এখনও এ ঘটনার রহস্য উদঘাটন হয়নি।
এর আগে শুক্রবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে পৌরশহরের পুরাতন জেল রোডস্থ দি ল্যাব এইড ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও স্পেশালাইজড হাসপাতালের ছাদ থেকে নিজের শিশু সন্তানকে ছুঁড়ে ফেলে দিয়ে হত্যা করেন সীমা। পরে তিনি নিজেও লাফিয়ে পড়ে আত্মহত্যা করেন।
প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার প্রসব বেদনা নিয়ে ল্যাব এইড হাসপাতালের পার্শ্ববর্তী লাইফ কেয়ার শিশু ও জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হন সীমা আক্তার। এদিন রাতেই সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে ছেলে সন্তান প্রসব করেন তিনি। গতকাল শুক্রবার সকালে সীমা ও তার সন্তানের হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এদিন সাকাল সাড়ে ৮টায় এমন ঘটনা ঘটিয়েছেন তিনি।
একে//