কক্সবাজারে ৫টি জলদস্যু ও সন্ত্রাসী বাহিনীর আত্মসমর্পণ
প্রকাশিত : ১২:৩৯ পিএম, ২০ অক্টোবর ২০১৮ শনিবার | আপডেট: ১২:৪৫ পিএম, ২০ অক্টোবর ২০১৮ শনিবার
কক্সবাজারের মহেশখালীতে ৫টি জলদস্যু ও সন্ত্রাসী বাহিনী আত্মসমর্পণ করেছে। শনিবার বেলা ১১ টায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের কাছে অস্ত্র জমা দিয়েছেন তারা।
র্যাব-৭ কক্সবাজার ক্যাম্পের কোম্পানি অধিনায়ক মেজর মেহেদী হাসান জানান, প্রথম ধাপে আজ মহেশখালী দ্বীপের তালিকাভুক্ত অর্ধশত জলদস্যু আত্মসমর্পণ করছে। তাদের মধ্যে অস্ত্র তৈরিতে দক্ষ কয়েকজন কারিগরও রয়েছে। আশা করছি, দ্বিতীয় ধাপে আরও অনেক জলদস্যু আত্মসমর্পণ করতে এগিয়ে আসবে।
সূত্র জানিয়েছে, কক্সবাজারের উপকূলীয় এলাকাজুড়ে রয়েছে একাধিক সন্ত্রাসী বাহিনীর শত শত সশস্ত্র সদস্য। গত দুই বছরে মহেশখালীর পাহাড়ে অভিযান চালিয়ে অন্তত ১৫টি অস্ত্রের কারখানা গুঁড়িয়ে দিয়েছে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা। উদ্ধার করেছে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও অস্ত্র তৈরির সরঞ্জাম। তবুও থেমে নেই অস্ত্র তৈরি। একদিকে গুঁড়িয়ে দিলে অন্যদিকে পাহাড়ের নির্জন গুহায় ফের গড়ে তোলা হয় নতুন কারাখানা। হাত বাড়ালেই এখানে পাওয়া যায় দেশে তৈরি বন্দুক, শটগান কার্তুজ ইত্যাদি আগ্নেয়াস্ত্র। এখানে একটি শটগানের দাম মাত্র ৫০০ থেকে ১০০০ টাকা। লম্বা বন্দুক পাওয়া যায় ১৩০০ থেকে ২০০০ টাকায়। এই অবস্থায় নতুন কৌশল গ্রহণ করে র্যাব। বুঝিয়ে-শুনিয়ে দ্বীপের দস্যু বাহিনীকে আত্মসমর্পণ করানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়। ফলে সম্প্রতি সুন্দরবনের পর এখানে বিপুল অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে একাধিক সন্ত্রাসী বাহিনীর অন্তত অর্ধশতাধিক সদস্য র্যাবের হাতে আত্মসমর্পণ করে স্বভাবিক জীবনে ফিরতে যাচ্ছেন।
জানা গেছে, সম্প্রতি যমুনা টেলিভিশনের বিশেষ প্রতিনিধি মহসিন-উল হাকিম ও চ্যানেল ২৪-এর স্টাফ রিপোর্টার আকরাম হোসেনের মধ্যস্থতায় প্রথম দফায় এসব সন্ত্রাসী র্যাবের কাছে আত্মসমর্পণে সম্মত হয়েছেন।
স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে যাওয়া এসব পরিবারের সদস্যের সমাজের মূলধারায় ফিরে আসার সহায়ক হিসেবে রাষ্ট্রের তরফ থেকে বড় উদ্যোগে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে বলেও সূত্র জানিয়েছে।
একে//