ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৭ ১৪৩১

চুলের যত্নে ডিমের তেল

প্রকাশিত : ১০:৪৯ পিএম, ২০ অক্টোবর ২০১৮ শনিবার | আপডেট: ১০:২২ এএম, ২১ অক্টোবর ২০১৮ রবিবার

নারীদের চুলের যত্নে অনেক ধরণের প্রসাধনীই বাজারে পাওয়া যায়। তবে গবেষকেরা সবসময়ই পরামর্শ দেন, রূপচর্চায় প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার করার। তারই অংশ হিসেবে চুলের যত্নে ব্যবহার করা যেতে পারে ডিমের তেল। এ বিষয়ে বিস্তারিত জানুন এই প্রতিবেদনে।

ডিমের তেল কী?

ডিমের তেল অনেক সময়ই ডিমের কুসুমের তেল নামে পরিচিত পায়। মূলত ডিমের কুসুম থেকেই এই তেলের উপাদান সংগ্রহ করা হয়। কুসুম প্রচুর পরিমাণে কোলেস্টরল এবং ফসফোলিপিডসসহ ট্রাইগ্লিসারিডসে পরিপূর্ণ। অনেক গবেষণা থেকে এটা এখন প্রমাণিত যে, চুল ও ত্বকের যত্নে কোলেস্টরল এক উপকারি উপাদান। এছাড়াও শুষ্ক ও ক্ষতিগ্রস্ত চুলের জন্যও বেশ উপকারি এটি। এছাড়াও ডিমের কুসুমে ওমেগা৩ এবং ওমেগা৬ এর মতো ফ্যাটি এসিডের আছে যা কোষের বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।

এই তেলের উপকারিতা

১) চুল পড়া বন্ধ করে

ডিমের তেলে চুল পড়া বন্ধ হয় অনেকাংশে। এতে ওমেগা৩ ফ্যাটি এসিড থাকায় অপরিপক্ক চুল পরা বন্ধ হয়। এছাড়াও এতে এএফএ নামক এক ধরণের অতি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান আছে যা কোষের বৃদ্ধির সাথে সাথে কোষে রক্ত সঞ্চালন নিয়ন্ত্রণ করে। এর ফলে চুলের কোষ বৃদ্ধিতে সুফল পাওয়া যায়। এছাড়াও অ্যান্টি ফ্ল্যামেটরি উপাদানের কারনে মাথার ত্বকে খুশকি এবং চুল পরা বন্ধ হয়।

২) প্রাকৃতিক কন্ডিশনার

প্রাকৃতিক কন্ডিশনার হিসেবে বেশ সুনাম রয়েছে ডিমের তেলের। এটি মাথার ত্বকের গভীরে গিয়ে ত্বক ও কোষের ক্ষয়পূরণ করে। ফলে এটি একটি কন্ডিশনার এবং ময়েশ্চারাইজার হিসেবে কাজ করে।

৩)  চুলের বয়স বাড়তে দেয় না ডিমের তেল

ত্বক ও চুলের কোষে এক ধরণের ধারাবাহিক বিক্রিয়া ঘটে। এর ফলে ত্বক ও চুলের ক্ষতি হয় এবং এগুলো বয়স্ক ব্যক্তিদের চুলের মতো হয়ে যায়। ডিমের তেলে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট আছে যেগুলো এ ধরণের বিক্রিয়ার বিরুদ্ধে লড়াই করে। ফলে চুলের লাবণ্য বজায় থাকে অনেকদিন।

//এস এইচ এস//