ঢাকা, শনিবার   ৩০ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১৫ ১৪৩১

দুইশ’ ছাড়াল বাংলাদেশ

প্রকাশিত : ০৫:৪৮ পিএম, ২১ অক্টোবর ২০১৮ রবিবার

১৬ রান কোনো উইকেট না খুইয়ে। অথচ ১৭ রারেই পড়ে যায় দুই উইকেট। আবার তিন উইকেটে ১৩৬ রান। এরপর ৬ রান যোগ করতেই পড়ে যায় তিনটি ‍উইকেট। ১৩৬ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে যখন ঘোর অমানিশায় টাইগাররা তখন হাল ধরেন ইমরুল ও সাইফউদ্দিন। তাদের দায়িত্বপূর্ণ ব্যাটিংয়ে দুইশ’ ছাড়াল বাংলাদেশ।

একের পর এক উইকেট পতনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ দল যখন চরম বিপর্যয়ে তখন দেয়াল হয়ে দাঁড়ালেন ইমরুল কায়েস। ওপাশে সবাই আসা-যাওয়ার খেলায় মেতে উঠলেও তিনি ঠায় দাঁড়িয়ে আস্থার প্রতীক হয়ে। শেষ দিকে তাঁকে যোগ্য সমর্থন দিচ্ছেন সাইফউদ্দিন। এ দুজনের ৭ম উইকেটি জুটিতে ঘুরে দাঁড়িয়েছে টাইগাররা।

এ প্রতিবেদন লেখার সময় বাংলাদেশ দলের স্কোর ২০৬/৬। ৪৪ তম ওভারের খেলা চলছে।

আন্ডারডগ জিম্বাবুয়ের বিরুদ্ধে ১৩৯ রানে ছয় উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ যখন চোখে শর্শে ফুল দেখছিল তখন ইমরুল একজন সঙ্গী খুঁজছিলেন। পেয়েও গেলেন একজন নির্ভরযোগ্য সঙ্গী। তিনি সাইফ উদ্দিন। দলকে টেনে নিয়ে যান প্রায় দুইশ’র কোটায়।

মিরপুরে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে দ্রুত দুই উইকেট হারিয়ে ব্যাটিং বিপর‌্যয়ে পড়ে বাংলাদেশ‌। দলীয় ১৬ রানের মাথায় বিদায় নেন ওপেনার লিটন দাস। এরপর ১ রান যোগ করতেই পড়ে আরো ১ উইকেট। এই যখন অবস্থা তখন শক্ত হাতে হাল ধরেন দুই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহীম ও ইমরুল কায়েস।

তাদের ব্যাটে প্রাথমিক বিপরর‌্যয় কাটিয়ে উঠার চেষ্টা করে টাইগাররা। কিছুটা সফলও হন তারা। দলীয় ১৭ রানে দুই উইকেট পড়ে যাওয়ার পর দলের স্কোর টেনে ৬৬ পর্যন্ত নিযে যান অভিজ্ঞ দুই ব্যাটসম্যান। দলকে বড় স্কোরের স্বপ্নও দেখাচ্ছিলেন। হাত খুলে খেলছিলেন ইমরুল কায়েস। আর দেশেশুনে ব্যাট করছিলেন মুশফিক।

কিন্তু ১৪ ওভারের শেষ বলে মাভুতার বলে ক্যাচ দেন মুশফিক। আম্পায়ার প্রথমে আউট দেন নি। কিন্তু জিম্বাবুয়ে দলের অধিনায়ক রিভিউ চেয়ে বসেন। পরে আম্পায়ার আঙ্গুল তুলে সারেন্ডার করেন।

মুশফিক আউট হওয়ার পর মাঠে নামে মিঠুন। মিঠুনের সঙ্গে জুটি বাধেন ইমরুল। মিঠুনের পর যারা মাঠে নামের তারা কেউই দাঁড়াতে পারেন নি।

সপ্তম উইকেট জুটি সফল হয়। এখন পযন্ত এই জুটি থেকে ৬০ রানের বেশি এসেছে। শতক পেয়েছেন ইমরুল। আর সাইফউদ্দিন ব্যাট করছেন ২৭ রানে।

সূত্র: ক্রিকইনফো।

/ এআর /