ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

তোফায়েল আহমেদের ৭৬তম জন্মদিন আজ

প্রকাশিত : ০৭:৫৩ এএম, ২২ অক্টোবর ২০১৮ সোমবার | আপডেট: ০৯:০২ এএম, ২২ অক্টোবর ২০১৮ সোমবার

মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক এবং ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানের নায়ক আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য ও বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদের ৭৬তম জন্মদিন আজ। ১৯৪৩ সালের ২২ অক্টোবর দ্বীপজেলা ভোলার কোড়ালিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন তিনি।
কলেজ জীবন থেকেই তোফায়েল আহমেদের রাজনীতিতে পথচলার শুরু। ১৯৬৭ থেকে ১৯৬৯ সাল পর্যন্ত ডাকসুর ভিপি ছিলেন তিনি। এ সময়টাতে চারটি ছাত্র সংগঠনের সমন্বয়ে সর্বদলীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ গঠন করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রদত্ত ছয় দফাকে ১১ দফায় অন্তর্ভুক্ত করে ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানের নেতৃত্ব দেন।
এর আগে দীর্ঘ প্রায় ৩৩ মাস কারাগারে আটক বঙ্গবন্ধুসহ ‘আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা’র সব রাজবন্দিকে নিঃশর্ত মুক্তিদানে তোফায়েল আহমেদের নেতৃত্বে সর্বদলীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ তুমুল গণআন্দোলন গড়ে তোলে। এর পরিপ্রেক্ষিতে ১৯৬৯ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি বঙ্গবন্ধুসহ সব রাজবন্দিকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয় তৎকালীন শাসকগোষ্ঠী। পরদিন ২৩ ফেব্রুয়ারি রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমানে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) লাখ লাখ মানুষের উপস্থিতিতে জাতির পিতাকে ‘বঙ্গবন্ধু’ উপাধিতে ভূষিত করেন। ১৯৬৯-এ তিনি ছাত্রলীগের সভাপতি নির্বাচিত হন। ১৯৭০ সালের ৭ জুন বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে আওয়ামী লীগে যোগদান করেন।
১৯৭০ সালের নির্বাচনে ভোলার দৌলতখাঁ-তজুমদ্দিন-মনপুরা আসন থেকে মাত্র ২৭ বছর বয়সে পাকিন্তান জাতীয় পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন তোফায়েল আহমেদ। তিনি ছিলেন ১৯৭১-এর মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক এবং ‘মুজিব বাহিনী’র অঞ্চলভিত্তিক দায়িত্বপ্রাপ্ত চার প্রধানের একজন। ১৯৭২ সালের ১৪ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদায় তাকে রাজনৈতিক সচিব নিয়োগ করেন। ১৯৭৫ সালের ২৫ জানুয়ারি পর্যন্ত তিনি এ পদে বহাল ছিলেন। ১৯৭৩ সালের নির্বাচনে নিজ জেলা ভোলা থেকে জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৭৫ সালে দেশে রাষ্ট্রপতি শাসিত সরকার প্রতিষ্ঠার পর প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদায় রাষ্ট্রপতির বিশেষ সহকারী নিযুক্ত হন।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর প্রথমে গৃহবন্দি ও পরে ওই বছরের ৬ সেপ্টেম্বর তাকে গ্রেফতার করা হয়। দীর্ঘ ৩৩ মাস তিনি কারান্তরালে ছিলেন। এমনকি এক-এগারোর পর সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলেও স্ত্রী-মেয়েসহ মিথ্যা মামলার আসামি হয়েছেন। ১৯৮৬, ১৯৯১, ১৯৯৬, ২০০৮ এবং ২০১৪ সালের সংসদ নির্বাচনে তিনি এমপি নির্বাচিত হন।

এসএ/