পুলিশ হতে চাইলে ‘কুমারীত্ব’ পরীক্ষা করতে হবে ইন্দোনেশিয়ার নারীদের
প্রকাশিত : ০৩:৩১ পিএম, ২২ অক্টোবর ২০১৮ সোমবার
পুলিশ বাহিনীতে নারীদের নিয়োগের ক্ষেত্রে এক অদ্ভুত শর্ত জুড়ে দিয়েছে ইন্দোনেশিয়া। এজন্য কুমারী হতে হবে নারীদের। সেই সঙ্গে হতে হবে সুন্দরীও। এমনকি যেসব নারী পুলিশে যোগ দিতে চান তাদের ‘টু ফিঙ্গার টেস্ট’ নামের একটি পরীক্ষা দিতে হবে। যার মাধ্যমে জানা যাবে আবেদন করা ওই নারী আসলেই কুমারী কি না।
সম্প্রতি ফেসবুকে ইন্দোনেশিয়ার পুলিশ বাহিনীতে নারী সদস্য নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। যাতে বলা হয়েছে, পুলিশে চাকরি পেতে হলে নারীদের কুমারী হতে হবে। সেই সঙ্গে হতে হবে সুন্দরী।
যদিও ইন্টারনেটে এই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ছড়িয়ে পড়ার পর বেশ সমালোচনার মুখে পড়েছে দেশটি। যাকে পুরুষশাসিত সমাজের উৎকৃষ্ট উদাহরণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এগুলোকে নৈতিকতাবিরোধী শারীরিক পরীক্ষা বলা হচ্ছে।
ইন্দোনেশিয়ার এমন সিদ্ধান্তে নড়েচড়ে বসেছে বিশ্বের মানবাধিকার সংস্থাগুলো। হিউম্যান রাইটস ওয়াচের মুখপাত্র আন্দ্রে হারসোন জানিয়েছেন, ইন্দোনেশিয়ার পুলিশ বাহিনী মনে করছে, সক্রিয় যৌন জীবন আছে, এমন কোনো নারীকে নিয়োগ দেওয়া সম্ভব নয়। এটা নারী স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠায় অন্যতম বাধা।
উল্লেখ্য, ‘টু ফিঙ্গার টেস্ট’ নিয়ে অনেক বিতর্ক হয়েছে বিশ্বজুড়ে। অনেকেই এই পরীক্ষাকে অপমানজনক ও অবৈজ্ঞানিক বলে বর্ণনা করেছেন। এভাবে পরীক্ষা করা কোনো নারীর জন্য যৌন হেনস্তার শামিল।
সূত্র : এবিসি নিউজ
এসএ/