ঢাকা, রবিবার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১০ ১৪৩১

বর্ণাঢ্য আয়োজনে জবির ১৩ বছর পূর্তি উদযাপন

জবি সংবাদদাতা

প্রকাশিত : ০৬:৫৫ পিএম, ২২ অক্টোবর ২০১৮ সোমবার

বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপীঠ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের  ১৩ বছর পূর্তি উৎসব উদযাপিত হয়েছে।

সোমবার (২২ অক্টোবর) সকালে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনিক ভবনের সামনে জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মধ্যে অনুষ্ঠান শুরু হয়।

বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের উদ্বোধন করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান।

পরে বিশ্ববিদ্যায়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা ১৩ তম বিশ্ববিদ্যালয় দিবস ও প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর উপলক্ষে একটি র‌্যালি বের করেন। র‌্যালিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার শুরু করে পুরান ঢাকার রায় সাহেব বাজার প্রদক্ষিণ করে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এসে শেষ হয়। বেলা ১২টায় নতুন একাডেমিক ভবনের নিচ তলায় বার্ষিক চারুকলা প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়। দিনব্যাপী ভাষা শহীদ রফিক ভবনের নিচতলায় প্রকাশনা প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়।

বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উপলক্ষে সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ চত্বরে দুপুরে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল সীমাবদ্ধতা কোন প্রতিবন্ধকতা এটা চ্যালেঞ্জ। আমাদের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কালচার পরিবর্তন করা এবং কলেজ শিক্ষার্থীদের পাঠদান করা। বিশ্ববিদ্যালয়ে জ্ঞান আহরণ এবং পাঠদান দুটি কাজেই করে থাকে। আমারা এটি করতে পেরেছি। বিশ্ববিদ্যালয়ে এখন মেধাবীরা শিক্ষার্থীরা ভর্তি হচ্ছে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরাও মেধাবী। শিক্ষকদের অনেকে বিদেশ থেকে ডিগ্রি নিয়ে এসেছে।

তিনি আরও বলেন, ইউজিসি এবং সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে শিক্ষকরা বিভিন্ন গবেষনায় ব্যস্ত। নতুন বিশ্ববিদ্যালয়টিতে চারুকলা, সংগীত, নাট্যকলার মত বিষয় খোলার মাধ্যমে সুকুমার বৃত্তির সংস্কৃতির উন্নয়ন ঘটেছে। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি বড় সমস্যা ছিল একাডেমিক সমস্যা আবাসন সমস্যা। সরকার  কেরানীগঞ্জ ২০০ একর জমি প্রদান করেছে। এখানে মাষ্টারপ্লানের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবন আবাসন ব্যবস্থা স্থাপন করা হলে এ বিশ্ববিদ্যালয় আন্তজার্তিক মানের বিশ্ববিদ্যালয়ে রুপান্তরিত করা হবে।

আলোচনা সভায় রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মো. ওহিদুজ্জামান-এর সঞ্চালনায় ট্রেজারার অধ্যাপক মো. সেলিম ভূঁইয়া,বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বক্তব্য রাখেন।

এ সময় বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যান, পরিচালক, শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীবৃন্দের অংশগ্রহণে সংগীতানুষ্ঠান পরিবেশিত হয়। অদম্য তের  বছর উদযাপন উপলক্ষে বিকেলের দিকে সামাজিক বিজ্ঞান ভবন চত্বরে কনসার্ট আয়োজন করা হয়। কনসার্টে দেশের খ্যাতনামা শিল্পীরা অংশগ্রহণ করেন। বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উপলক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ভবনসমূহ আলোক সজ্জায় সজ্জিত করা হয়েছে।

কেআই/