ঢাকা, শনিবার   ৩০ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১৫ ১৪৩১

ফিরছেন সৌম্য

প্রকাশিত : ০৬:৫৮ পিএম, ২২ অক্টোবর ২০১৮ সোমবার

অফফর্মের কারণে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজে জায়গা হয়নি সৌম্য সরকারের। সেই সৌম্যকে ছাড়াই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে শুরু হলো ওয়ানডে সিরিজ। যার প্রথমটি ম্যাচে বাংলাদেশ জিতলো ২৮ রানে।

তবে প্রস্তুতি ম্যাচে এই জিম্বাবুয়ের বিরুদ্ধেই  চোখ ধাঁধানো দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরি করে হেড কোচ স্টিভ রোডস ও প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নুর মুখে তৃপ্তির হাসি এনে দিয়েছেন। এর জবাবে নান্নু  ও বলেছিলেন, ‘সৌম্য আমাদের চোখের আড়াল হয়নি। সৌম্য সরকারকে যদি দরকার হয়, নেয়া হবে।’

এদিকে, প্রথম ম্যাচে টপ অর্ডার খুবই বাজে ব্যাটিং করেছে । জিম্বাবুয়ে বোলারদের সামনে তাদের দৈন্যদশা দেখে আবারও নতুন করে চিন্তা করতে বাধ্য হচ্ছে টিম ম্যানেজমেন্ট। বিশেষ করে তিন নম্বরে ফজলে মাহমুদ রাব্বির ব্যাটিং কারো মন ভরাতে পারেনি। তবুও এখনই হয়তো রাব্বিকে নিয়ে কোনো চিন্তা করছে না টিম ম্যানেজমেন্ট। আপাতত ব্যাকআপ হিসেবে ইনফর্ম সৌম্য সরকারকে দলে অন্তর্ভূক্ত করে নেয়ার চিন্তা-ভাবনা করছে তারা।

নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রাম যাওয়ার আগেই সৌম্য সরকারকে দলে ডেকে নেয়া হতে পারে। কেউ এ নিয়ে মুখ না খুললেও চাপা গুঞ্জন রয়েছে মিরপুরের ক্রিকেট পাড়ায়। টিমের ভেতর এ নিয়ে আলাপ চলছে। তবে ১৫ সদস্যের দলের কাউকে বাদ দেয়া হবে না। সৌম্যকে অতিরিক্ত হিসেবে যোগ করে নেয়া হবে। তখন দল হবে ১৬ সদস্যের। স্বাগতিক দল হিসেবে এমন দু-একটি পরিবর্তনের এখতিয়ার রাখে বাংলাদেশ। সে দিক থেকেই সৌম্যকে দলে নেয়ার চিন্তা-ভাবনা করছে টিম ম্যানেজমেন্ট।

গত এশিয়া কাপে পাকিস্তান এবং ভারতের বিপক্ষে দুই ম্যাচে খেলার সুযোগ পেয়েও নিজেকে চেনাতে ব্যর্থ হয়েছিলেন সৌম্য সরকার। পাকিস্তানের বিপক্ষে শূন্য এবং ভারতের বিপক্ষে করেছিলেন মাত্র ৩৩ রান। এশিয়া কাপের পর দেশে ফিরে আসার পর সৌম্য ফিরে যান জাতীয় ক্রিকেট লিগে (এনসিএল)। সেখানে তিনি খেলেন খুলনা বিভাগের হয়ে।

এনসিএলে ফিরেই যেন ব্যাট হাতে জ্বলে ওঠেন জাতীয় দলের এই ওপেনার। রাজশাহীর বিপক্ষে করেন সেঞ্চুরি। বরিলালের বিপক্ষে ৩৩ রান করলেও রংপুরের বিপক্ষে এক ম্যাচের দুই ইনিংসে খেলেন দুটি সত্তোরোর্ধ্ব ইনিংস (৭৬ + ৭১)। এমন দুর্দান্ত ব্যাটিং সত্ত্বেও সৌম্য সরকারকে রাখা হলো না জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ঘোষিত ১৫ সদস্যের ওয়ানডে দলে। তবে প্রস্তুতি ম্যাচে সুযোগ পেয়েই নিজেকে প্রমনি করতে সম্মত হয়েছেন তিনি। তার নেতৃত্বে জিম্বাবুয়েকে ধুমড়ে-মুচড়ে দেয় বিসিবি একাদশ। শুধু ভালো নেতৃত্বই নয়, অপরাজিত ১০২ রান করে সফরকারীদের ৮ উইকেটের বিশাল ব্যবধানে হারিয়ে দেন সৌম্য এবং তার বিসিবি একাদশ।