রাসায়নিক সারের ব্যবহার কমছে ফরিদপুরে
প্রকাশিত : ১২:৩৮ পিএম, ৩১ আগস্ট ২০১৬ বুধবার | আপডেট: ১২:৪০ পিএম, ৩১ আগস্ট ২০১৬ বুধবার
মাটির উর্বরতা বৃদ্ধি ও ফসল উৎপাদনে রাসায়নিক সারের ব্যবহার কমছে ফরিদপুরে। জেলার কৃষক-কৃষানী, নিজেরাই তৈরী করছেন উন্নতমানের কেঁচো কম্পোস্ট বা ভার্মি কম্পোস্ট সার। একদিকে নিজের জমিতে ব্যবহার অন্যদিকে এ সার বিক্রি করে লাভবানও হচ্ছেন তারা।
এইতো কয়েক বছর আগেও ফরিদপুর জেলার বেশিরভাগ কৃষকেরা জমিতে রাসায়নিক সার ব্যবহার করতেন। ইদানীং কেঁচো কম্পোস্ট সারের ব্যবহার বাড়ায়, কমতে শুরু করেছে রাসায়নিক সার ব্যবহার।
জেলার বিভিন্ন উপজেলায় তৈরী হচ্ছে কেঁচো সার। গোবর, ফলমূলের উচ্ছিষ্টাংশসহ বিভিন্ন পচনশীল দ্রব্যের মিশ্রণে জৈব প্রদার্থ তৈরী করা হয় সার প্রস্তুুতের জন্য। পরে সেখানে বেশ কিছু কেঁচো রেখে দেয়া হয়। এভাবে তৈরি হয় এ সার।
কৃষি বিভাগ থেকে এ জৈব সার তৈরী করা শিখে এখন অনেকেই জমিতে ব্যবহার করছেন পাশাপাশি বিক্রিও করে লাভবান হচ্ছেন। এ সারের গুনাগুণ মাটিতে দীর্ঘদিন অবশিষ্ট থাকে বলে পরবর্তী ফসলে সারের পরিমাণ কম লাগে।
কৃষি বিভাগ বলছে, ফসল উৎপাদনে ও মাটির উর্বরতা বৃদ্ধিতে এ সার অন্য যেকোনো সারের চেয়ে অনেক বেশি কার্যকরী।
সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা পেলে কেঁচো সার তৈরি করে বিষমুক্ত ফসল উৎপাদনে ভূমিকার পাশাপাশি অর্থনৈতিকভাবেও স্বাবলম্বী হবেন অনেকেই, এমনটা মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।