মেশিনে দেবেন প্লাস্টিক বর্জ্য, বেরিয়ে আসবে জ্বালানী তেল-গ্যাস
প্রকাশিত : ০৭:০৩ পিএম, ২৩ অক্টোবর ২০১৮ মঙ্গলবার | আপডেট: ০৭:০৯ পিএম, ২৩ অক্টোবর ২০১৮ মঙ্গলবার
বর্জ্য থেকে জ্বালানি তেল ও গ্যাস উৎপাদনের মেশিন উদ্ভাবন করেছেন বাংলাদেশি দুই বিজ্ঞানী ড.মইনউদ্দিন সরকার ও ড. আনজুমান সেলী।
প্রযুক্তির উৎকর্ষতার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে দৈনন্দিন জীবনে আমাদেরকে টিভি, ফ্রিজ, মাইক্রো ওভেন, কম্পিউটার, মোবাইল ফোন এয়ারকন্ডিশনার, ওয়াশিং মেশিন, ডিভিডি প্লেয়ার, সিএফএল বাল্ব, পানির বোতল, খেলনা, ব্যাগসহ প্লাস্টিকের বহু ব্যবহার করতে হচ্ছে। ব্যবহারের পর এসব পণ্যের ঠিকানা হয় ডাস্টবিনে।
বিশেষ করে রাজধানীতে এসব অবার্জনা স্থান পায় আশপাশের ড্রেনে কিংবা সড়কে। এমনকি অনেকেই উন্মুক্ত স্থানেও এসব ফেলে রাখে। এখান থেকে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা কিছু প্রয়োজনীয় জিনিস সংগ্রহ করে থাকে, বাকিটা ওখানেই পরে থাকে।
এসব ফেলনা বর্জ্য দিয়ে তিন ধরনের মূল্যবান জ্বালানি ও তেল উৎপাদন করতে প্ল্যান্ট বা মেশিন উদ্ভাবন করছেন যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসকারী দুই বাংলাদেশি বিজ্ঞানী। তারা হলেন ড.মইনউদ্দিন সরকার ও ড. আনজুমান সেলী।
তারা বলছেন, এসব অব্যবহারিত প্লাস্টিক বর্জ্য দিয়ে তিন ধরনের জ্বালানি তৈল ও গ্যাস উৎপাদন সম্ভব। গবেষণার মাধ্যমে যে প্ল্যান্ট স্থাপন করা হয়েছে, তাতে মেশিনের ভেতর প্লাস্টিকসহ বিভিন্ন ধরনের বর্জ্য দেওয়ার ২ ঘণ্টার মধ্যেই তা ডিজেল, এলপি গ্যাস ও জেট ফুয়েল হয়ে বেরিয়ে আসবে।
সম্প্রতি একুশে টিভি অনলাইনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ বিষয়ে বিস্তারিত কথা বলেন বিজ্ঞানী মইনউদ্দিন সরকার। সাক্ষাতকারটি নিয়েছেন একুশে টিভি অনলাইন প্রতিবেদক তবিবুর রহমান।
একুশে টিভি অনলাইন: প্লাস্টিকসহ বিভিন্ন বর্জ্য দিয়ে জ্বালানি তেল উৎপাদন করার প্ল্যান্ট স্থাপন সম্পর্কে যদি বিস্তারিত বলতেন।
মইনউদ্দিন সরকার: গবেষণার জন্য প্রথমে ২০০৫ সালে মার্কিন সরকার ব্রিজপোর্টে ৫৭ হাজার বর্গফুট জায়গা বরাদ্দ নিয়ে কাজ শুরু করি আমরা। প্রাথমিক পর্যায়ে বিনিয়োগ পেয়েছিলাম দেড় কোটি ডলার। এই অর্থ দিয়ে প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম ও স্যানিটেশন কোম্পানির কাছ থেকে প্লাস্টিক বর্জ্য কিনে সরাসরি তেল উৎপাদনে নেমে পড়ি। অনেক ছোট পরিসরে এই কাজ শুরু করি। এ বছরই আমরা একটি মেশিন অবিষ্কার করতে সক্ষম হই। এই মেশিনটা দিয়ে তিন ধরনের জ্বালানি পণ্য উৎপাদন করা যায়।
মূলত এই মেশিনের মূল কাজ বর্জ্য থেকে ডিজেল তৈরি করা। এক লিটার ডিজেল তৈরিতে খরচ পড়বে ৪৩ টাকা। আর ডিজেল উৎপাদন করতে যে খরচ হবে, সেই একই খরচে একই সঙ্গে ওই মেশিন থেকে এলপিজি ও অ্যাভিয়েশন ফুয়েল এক্সট্রা (বাড়তি) উৎপাদিত হবে। অর্থাৎ এই মেশিনে এলপি গ্যাস উৎপাদনের জন্য আলাদা কোনো খরচ হবে না। আবার অ্যাভিয়েশন ফুয়েলের জন্যও আলাদা কোনো খরচ করতে হচ্ছে না। মানে একের ভেতরেই দুই বা তিনটি জিনিস উৎপাদন হবে।
একটি মেশিনে ১০ টন প্লাস্টিক বর্জ্য থেকে প্রতিদিন ১৩ হাজার লিটার ডিজেল, ১০০ সিলিন্ডার এলপিজি ও ২৩০ লিটার অ্যাভিয়েশন ফুয়েল পাওয়া যাবে। অর্থাৎ এক টন থেকে ১৩০০ লিটার ডিজেল পাওয়া যাবে। কাজেই ১০ টন থেকে হবে ১৩ হাজার লিটার। এভাবেই সবগুলোর উৎপাদন বর্জ্য অনুযায়ী বেড়ে যাবে।
একুশে টিভি অনলাইন: কি উদ্যেশ্যে নিয়ে এ প্ল্যান্ট স্থাপন করেছেন যদি বলতেন?
মইনউদ্দিন সরকার: তথ্য-প্রযুক্তির প্রসার বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে প্লাস্টিক পণ্যের ব্যবহার বাড়ছে। সঙ্গে সঙ্গে বৃদ্ধি পাচ্ছে প্লাস্টিক বর্জ্য। আগামী ২০২৫ সালে বাংলদেশের মাছের পরিমাণের চেয়ে নদীতে বেশি প্লাস্টিক পাওয়া যাবে। এ বিষয়টি নিয়ে বিজ্ঞানীরা অনেক শংঙ্কা প্রকাশ করছেন।
এছাড়া আমাদের প্রাত্যাহিক জীবনে এমন অনেক পণ্য আছে যা একবার ব্যবহারের পর ফেলে দেওয়া হয়। যেমন ওয়ান-টাইম চায়ের কাপ, বিস্কুট ব্যাগ। এগুলো আর ব্যবহার করা হচ্ছে না। এগুলো যেন দ্বিতীয়বার ব্যবহার করা যায় সেজন্যই এই উদ্যোগ নেই।
এদিকে সমুদ্রের গভীর নিচে প্লাস্টিক বর্জ্যর সন্ধান মিলছে। আমাদের ফসলের জমির উর্বরতা নষ্ট হচ্ছে। নদীর পানি দুষণ হচ্ছে। সঙ্গে সঙ্গে পরিবেশ দুষণ হচ্ছে। এসব দুষণ থেকে মানুষের মুক্তি দিতেই এই প্ল্যান্ট স্থাপন। এই মেশিনের মাধ্যমে একদিকে যেমন পরিবেশ দুষণ হচ্ছে অন্যদিকে জ্বালানি তৈল উৎপাদন করা সম্ভব হচ্ছে।
ফেলনা বস্তু থেকে গ্যাস ও তেল উৎপাদনের আরেকটি দিক হচ্ছে, এর মাধ্যমে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। এই মেশিনের মাধ্যমে তিন ধরনের জ্বালানি তৈল উৎপাদন হচ্ছে। এগুলোর উৎপাদন, প্রক্রিয়াজাতকরণ ও বাজারজাত করণে বহু লোকবল দরকার হবে।
জ্বালানী তেল ও গ্যাস আমরা বিদেশ থেকে আমদানি করছি। এই মেশিন স্থাপন করা গেলে এসব পণ্যের আমদানি কমে আসবে।
একুশে টিভি অনলাইন: এই প্ল্যান্ট স্থাপনে কী পরিমাণ খরচ হবে? এবং যে কোন স্থানে স্থাপন করা যাবে কি-না ?
মইনউদ্দিন সরকার: এটা নির্ভর করে কী পরিমাণ ‘র মেটেরিয়ালস’ (কাঁচামাল) দিবেন, তার ওপর। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, যদি রোজ ১০ টন বর্জ্য দিয়ে তেল ও গ্যাস উৎপাদন করতে চান, তবে তিন থেকে চার মিলিয়ন ইউএস ডলার বিনিয়োগ প্রয়োজন হবে। বাংলাদেশি টাকায় তিন কোটি ২০ হাজার টাকা।
আমরা যেহেতু বাংলাদেশে জন্ম গ্রহণ করছি। বাংলাদেশের প্রতি আমাদের আলাদা টান রয়েছে। সেকারণে খুব কম মূল্য বাংলাদেশে এই মেশিন স্থাপনের জন্য কাজ করছি। আমরা চাই বাংলাদেশকে দুষণ মুক্ত করতে। বাংলাদেশের যেকোনো জেলা শহরে এই মেশিন স্থাপন করা যাবে।
একুশে টিভি অনলাইন: বাংলাদেশে কোন ব্যক্তি যদি এই মেশিনটা স্থাপন করতে চায় তাহলে তাকে কি করতে হবে?
মইনউদ্দিন সরকার: ইতোমধ্যে আমরা যুক্তরাষ্ট্রে মেশিনটা স্থাপন করেছি। বাংলাদেশে কোনো ব্যক্তি যদি চায় স্থাপন করতে তাহলে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে সব ব্যবস্থা আমরা করবো। শুধু তাকে তিন কোটি ২০ হাজার টাকা আমাদের দিতে হবে।
আমরা তাবে সার্বিক সহযোগিতা করব। এজন্য আমরা লোক তৈরি করে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করবো। নির্ধারিত স্থানে আমাদের লোক দিয়ে মেশিনটি পৌচ্ছে দিবো। তার তেমন কোন কিছু করতে হবে না।
একুশে টিভি অনলাইন: একটা মেশিন পরিচালনার জন্য কি পরিমান জনবল প্রয়োজন?
মইনউদ্দিন সরকার: ১০টন প্লাস্টিক বর্জ্যের জন্য বসানো প্ল্যান্টে একজন প্ল্যান্ট ম্যানেজার, তিনজন মেকানিক, তিনজন অপারেটর, ১২ জন প্ল্যান্ট লেবার ও একজন ইঞ্জিনিয়ারসহ মোট ২০ জন। এই ২০ জনকে ডাইরেক্টলি (সরাসরি) কাজ করতে হবে।
এ ছাড়াও ইনডাইরেক্টলি আরও অনেককে কাজ করতে হবে। যেমন: প্লাস্টিক বর্জ্য ও কাঁচামাল সংগ্রহ ও সরবাহের জন্য প্রায় ৭০ থেকে ৮০ জন মানুষ প্রয়োজন হবে। অর্থাৎ এমন একটি প্ল্যান্ট স্থাপন করলে শতাধিক লোকের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হবে।
একুশে টিভি অনলাইন: মেশিনটি কিভাবে চলবে এবং মেইনটেইন্যান্স করতে কী পরিমাণ সময় লাগব ?
মইনউদ্দিন সরকার: প্ল্যান্টে বসানো মেশিন সারা বছরের ৩৫০ দিন ২৪ ঘণ্টা কাজ করবে বিদ্যুতের সাহায্যে। আর বাকি ১৫ দিন শুধু মেনটেইন্যান্সের জন্য দরকার হবে।
একুশে টিভি অনলাইন: এই প্ল্যান্ট স্থাপনের জন্য কি পরিমাণ জমি বা জায়গার দরকার হবে ?
মইনউদ্দিন সরকার: প্রতিদিন ১০ টন বর্জ্যের প্ল্যান্টের জন্য ১০ হাজার স্কয়ার ফুট জায়গায় যথেষ্ট।
একুশে টিভি অনলাইন: এই মেশিনটি পরিচালনার জন্য কেমন যোগ্যতা প্রয়োজন?
মইনউদ্দিন সরকার: একজন ইঞ্জিনিয়ার, দুইজন মেনটেইন্যান্সের জন্য, দুইজন অপারেটর। যারা সদ্য মাত্র বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা শেষ করে বেরিয়েছেন, তারাই কাজ করতে পারবেন। এছাড়া বাকিগুলো কম শিক্ষিত হলেও চলবে।
আমরা প্রশিক্ষণের মাধ্যমে এদের দক্ষতা তৈরির ব্যবস্থা করবো। এমনকি আমরা এই মেশিন বিভিন্ন ভাবে মনিটরিং করা হবে। এমনকি সার্বিক ভাবে সহযোগিতা করা হবে।
একুশে টিভি অনলাইন: এই প্ল্যান্ট স্থাপন নিয়ে আপনাদের আগামী পরিকল্পনা কি যদি বলতেন?
মইনউদ্দিন সরকার: বাংলাদেশে এমন কোন জায়গা নেই প্লাস্টিক এর মাধ্যমে দুষিত হচ্ছে না। এই দুষণ মুক্ত করে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন একটা বাংলাদেশ দেখতে চাই। এ লক্ষ্যে বাংলাদেশের ৬৪ টি জেলায় এই প্ল্যান্ট স্থাপন করতে চাই।
একুশে টিভি অনলাইন: ৬৪ জেলায় প্ল্যান্ট স্থাপনের জন্য কতদিন সময় লাগবে বলে মনে করছেন? মইনউদ্দিন সরকার: আমার যেভাবে কর্যক্রম পরিচালনা করছি এভাবে চলতে থাকলে আগামী ৫ বছরের মধ্যে এই প্রকল্পের কাজ শেষ করা সম্ভব।
একুশে টিভি অনলাইন: এ প্ল্যান্ট স্থাপনে সরকারের কাছে আপনারা কোনো সহযোগিতা চান কি?
মইনউদ্দিন সরকার: অবশ্যই আমরা বাংলাদেশ সরকারের সহযোগিতা চাই। এই প্ল্যান্ট যারা স্থাপনে আগ্রহ তাদের সরকার তাদের সহজ শর্তে ঋণ দিতে পারে। এমনকি সরকার চাইলে সরকার-বেসরকারি উদ্যেগে এ প্ল্যান্ট বাস্তবায়নে কাজ করতে পারে। আমার যে মেশিনগুলো বন্দরে আসবে শুল্কমুক্ত ও সহজভাবে আমদানি করতে পারে সেবিষয় পদক্ষেপ নিতে পারে।
একুশে টিভি অনলাইন: আপনার বলছেন যুক্তরাষ্ট্রে প্ল্যান্ট স্থাপন করেছেন সেটার বর্তমান অবস্থান যদি বলতেন?
মইনউদ্দিন সরকার: যুক্তরাষ্ট্র আমাদের ওই প্ল্যান্টে ১৫ জন মানুষ কাজ করছে। ১৫ জন ইঞ্জিনিয়ার। আমাদের এই মুহূর্তে প্রতি মেশিনে ১৫ গ্যালন প্রতি ঘণ্টায় উৎপাদন হচ্ছে। কিন্তু আমরা এটা ধীরে ধীরে বাড়াচ্ছি।
আমরা তো সেখানে কিছুদিন আগে মাত্র মেশিন বানালাম। আমরা সেখানে ১০০ টনের বর্জ্যের সুবিধা তৈরি করছি। সেখানে ৬০ হাজার স্কয়ার ফিট জায়গায়, আমরা অফিস, আরএনডি ও মানুফ্যাকচার করছি। সেটা হচ্ছে সমুদ্রের তীরে।
একুশে টিভি অনলাইন: মূল্যবান সময় দেওয়া জন্য আপনাকে ধন্যবাদ
ড. মইনউদ্দিন সরকার: একুশে পরিবারকেও ধন্যবাদ।
‘‘ড. মইনউদ্দিন সরকারের বাড়ি কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি। বাবা কামালউদ্দিন সরকার ছিলেন সরকারি কর্মচারী। ৬ ভাই ৩ বোনের মধ্যে বড় মইনউদ্দিন। তার ছেলেবেলা ছিল সংগ্রামমুখর। মইনউদ্দিন সরকার ১৯৯২ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রসায়নে এমএসসি পাস করে বিদেশে পাড়ি জমান। ১৯৯৬ সালে লন্ডনের ম্যানচেস্টার ইন্সটিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি থেকে পিএইচডি ডিগ্রি করেন। তার গবেষণার বিষয় ছিল ‘হাই টেম্পারেচার সুপার কনডাক্টিং অক্সাইড’। তিনি গবেষণা করেছেন যুক্তরাজ্যে (১৯৯১-১৯৯৬), তাইওয়ানে (১৯৯৬-১৯৯৯), বার্লিনে (১৯৯৯-২০০০) এবং ২০০১ সাল থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। কাজ করেছেন কানাডা, জার্মানি, নেদারল্যান্ডসে। তাইওয়ানে গবেষণার সময় তার গবেষণার সঙ্গী ছিলেন রসায়নে নোবেলজয়ী ড. ইউয়ান লি। ২০০৫ সালে গবেষনা শুরু করেন। ২০১০ সালে প্লাস্টিক থেকে তেল উৎপাদনের পেটেন্ট করেন।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ বিজ্ঞানীদের একজন ড. মইনউদ্দিন সরকার। নবায়নযোগ্য জ্বালানিবিষয়ক গবেষণায় অবদান রাখায় স্বীকৃতিস্বরূপ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের International Renewable Energy Innovator of the year ২০১০ সালে তিনি পুরস্কৃত হয়েছেন। এছাড়া তিনি একাধিক আন্তর্জাতিক সম্মান লাভ করেছেন। ড. মইনউদ্দিন সরকার সোসাইটি অব অটোমোবাইল ইন্টারন্যাশনাল, আমেরিকান অ্যাসোসিয়েশন অব নেভাব ইঞ্জিনিয়ারিং, আমেরিকান ক্যামিক্যাল সোসাইটি, আমেরিকান ফিজিক্যাল সোসাইটি, আমেরিকান ইন্সটিটিউট অব ক্যামিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন পুর অ্যান্ড অ্যাপ্লাইড ক্যামিস্ট্রি, কানাডিয়ান সোসাইটি অব ক্যামেস্ট্রি, ক্যামিক্যাল ইন্সটিটিউট অব কানাডাসহ একাধিক প্রতিষ্ঠানে যুক্ত আছেন। তার শতাধিক গবেষণাপত্র ছাপা হয়েছে আন্তর্জাতিক গবেষণা জার্নালে। বই ছাপা হয়েছে ১০টি। ইতিমধ্যে তার ৬টি নিজস্ব পেটেন্ট নিবন্ধিত হয়েছে। কীর্তিমান এই বাঙালির স্ত্রী আনজুমান আরা একজন বিজ্ঞানী। তারা ব্রিজফোর্টে বসবাস করছেন। ‘’
টিআর/