ঢাকা, শনিবার   ৩০ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১৫ ১৪৩১

বাংলাদেশের সিরিজ জয়

প্রকাশিত : ১০:২৩ পিএম, ২৪ অক্টোবর ২০১৮ বুধবার | আপডেট: ১১:০১ পিএম, ২৪ অক্টোবর ২০১৮ বুধবার

জিম্বাবুয়েকে উড়িয়ে দিয়ে ৭ উইকেটে জয় তুলে নিল বাংলাদেশ। ৩৫ বল (৫.৫ ওভার) হাতে রেখেই তাদের ছুড়ে দেয়া ২৪৭ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ছক্কা মেরেই দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়লেন মোহাম্মদ মিঠুন এবং মুশফিকুর রহীম।  

টস হেরে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশকে ২৪৭ রানের লক্ষ্য ছুঁড়ে দিয়েছিল জিম্বাবুইয়ে। জবাব দিতে নেমে দুই ওপেনার লিটন দাস এবং ইমরুল কায়েস মিলে ১৪৮ রানের জুটি গড়েই জয়ের কাজটা প্রায় শেষ করে দেন। ৮৩ রান করে লিটন আউট হয়ে গেলেও পরে মুশফিকের সঙ্গে ৫৯ রানের জুটি গড়ে ইমরুল কায়েস জয়ের কাজটা আরও সহজ করে দেন। তবে ইমরুল ৯০ রান করে ফিরে গেলে বাকি কাজ শেষ করেন মুশফিক আর মিঠুন। মুশফিক ৪০ এবং মিঠুন অপরাজিত থাকেন ২৪ রানে। 

ইমরুল কায়েস ও লিটন সেঞ্চুরির দ্বারপ্রান্তে এসেই আউট হয়ে গেলেন। ৯০-এর ঘরে চলে আসার পর আউট হয়ে যাওয়াটা খুবই হতাশার। ইমরুল কায়েস সেই হতাশাটাই জন্ম দিয়ে ফিরে গেলেন। আউট হয়ে গেলেন ৯০ রানে। টানা দ্বিতীয় সেঞ্চুরিটা আর পাওয়া হলো না তার। লিটন ফিরেছিলেন ৮৩ রান করে।

লিটন দাসের সঙ্গে ১৪৮ রানের অনবদ্য এক জুটি গড়েছিলেন ইমরুল। ৮৩ রান করে লিটন দাস আউট হয়ে গেলে ফজলে রাব্বির সঙ্গে জুটি বাধেন ইমরুল। কিন্তু এই জুটি টিকলো না ৪ রানও। রাব্বি আউট হয়ে যান কোনো রান না করেই। এরপর মুশফিকুর রহীমকে নিয়ে জুটি বাধেন ইমরুল। ৫৯ রানের জুটি গড়ার পর আবারও সিকান্দার রাজার আঘাত।

এবার সিকান্দার রাজার বলে লফটেড ড্রাইভ করতে চেয়েছিলেন ইমরুল। কিন্তু তার বল আর বাউন্ডারি লাইন খুঁজে পেলো না। তার আগেই জমা পড়লো চিগুম্বুরার হাতে। ১১১ বলে ৭টি বাউন্ডারিতে সাজানো ৯০ রানের ইনিংসটির পরিসমাপ্তি ঘটে গেলো খুব সহজেই।   

শুরুতে একটা জীবন পেয়েছিলেন। রিভিউ নিয়ে বেঁচে গিয়েছিলেন আম্পায়ার আউট দেয়ার পরও। এরপরই জ্বলে ওঠেন লিটন কুমার দাস। এশিয়া কাপের ফাইনালে যেভাবে খেলেছিলেন, আজও জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ঠিক সেভাবে শুরু করেছিলেন তিনি। শুধু তাই নয়, ক্যারিয়ারে প্রথম হাফ সেঞ্চুরিও পূরণ করে ফেলেন তিনি।

তবে শেষ পর্যন্ত ইনিংসটাকে তিন অংকের ঘরে আর নিতে পারলেন না লিটন। ৭৭ বলে অনবদ্য ৮৩ রানের ইনিংস খেলার পরই বিদায় নিতে হয় তাকে। সিকান্দার রাজার বলকে কভার এবং পয়েন্টের মাঝামাঝি জায়গা দিয়ে ড্রাইভ করতে চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু বল ব্যাটে লেগে উঠে যা হালকা উপরে এবং সোজা গিয়ে জমা পড়ে ডোনাল্ড তিরিপানোর হাতে।   

লিটন ৭৭ বলে খেলা ৮৩ রানের ইনিংসে মেরেছেন ১২টি বাউন্ডারি এবং ১টি ছক্কার মার। আউট হওয়ার আগে ইমরুল কায়েসের সঙ্গে ওপেনিং জুটিতে তোলেন ১৪৮ রান। বলতে গেলে বাংলাদেশের জয়ের ভিতই রচনা করে দিয়ে গেছেন লিটন।  

পরে শেষদিকে মুশফিক ৪০ ও মিঠুন ২৪ রানের দুটি ইনিংস খেলে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন। সিকান্দার রাজা ৪৩ রানে তিন উইকেট নিয়েও বাংলাদেশের জয়ে পথে বাধা হতে পারেননি।  


এসি