ঢাকা, শনিবার   ৩০ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১৫ ১৪৩১

‘মা বলেছিলেন, হাঁটা শিখতে গেলে বারবার হোঁচট খেতে হয়’

প্রকাশিত : ০৮:৫৪ এএম, ২৫ অক্টোবর ২০১৮ বৃহস্পতিবার

দীর্ঘদিন ধরেই বাংলাদেশ একজন ব্যাটিং-পেস অলরাউন্ডার খুঁজছে। তকে হয়তো পেয়ে গেছে টিম টাইগার। তিনি আর কেউ নন, তরুণ পেস বোলিং অলরাউন্ডার সাইফউদ্দিন।

এর আগের ম্যাচে ২৯ রান খরচ করে উইকেটশূন্য থাকলেও ব্যাট হাতে ৫০ রানের ইনিংস খেলেছিলেন সাইফউদ্দিন। বুধবার ব্যাটিংয়ে নামার সুযোগ না পেলেও বোলিংয়ে ক্যারিয়ারসেরা ৩ উইকেট তুলে নিয়েছেন তিনি। গত ফেব্রুয়ারিতে সীমিত ওভারের ক্রিকেট খেলে বেশ কিছু সিরিজে ছিলেন না তিনি। তবে জিম্বাবুয়ে সিরিজে ফিরেই পারফরম্যান্স করে যাচ্ছেন এই অলরাউন্ডার। নিজের অনুভূতি জানাতে গিয়ে সাইফউদ্দিন বলেছেন, ‘অনেক ভালো লাগছে। যেহেতু আমি বোলিং অলরাউন্ডার হিসেবে খেলি, আমার প্রথম কাজই হচ্ছে বোলিংয়ে ভালো করা। বলে উইকেট পেলে বা ইকোনমি ভালো থাকলে খুব ভালো লাগে। পাশাপাশি ব্যাটিংটা করতে পছন্দ করি। চেষ্টা করি দুটো ভালো করার।’

দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে ডেভিড মিলারের এক ওভারে ৫ ছক্কা হজম করার পর গত বিপিএলে তার ওপর দিয়ে টর্নেডো বইয়ে দেন ড্যারেন স্যামি। ইনিংসের শেষ ওভারে সাইফউদ্দিনকে ক্যারিবিয়ান ব্যাটসম্যান মারেন ৪ ছক্কা ও এক বাউন্ডারি। এরপর থেকেই ছন্নছাড়া বোলিং করছিলেন সাইফউদ্দিন। তবে গতকাল ম্যাচসেরা হয়ে সংবাদ সম্মেলনে আসা সাইফউদ্দিন নিজের বিশ্বাসের কথা জানালেন মিডিয়াকে।

তিনি বলেন, ‘ওই ছক্কার কথা যতদিন ক্রিকেট খেলব মনে থাকবে। তবে এটা মাথায় রেখে ক্রিকেট খেলা যায় না। ইতিবাচক মানসিকতা নিয়ে ক্রিকেট খেলতে হয়। সাফল্য পেতে গেলে একটু হোঁচট খেতেই হয়! আমি আসলে সবসময় বিশ্বাস করি, আমার মা বলতেন একটা ছেলে হাঁটা শিখতে গেলে বারবার হোঁচট খায়। তাই বলে কি তার হাঁটা বন্ধ হয়ে যায়? একই রকম আমিও মার খাবো, ওখান থেকেই তো শিখব। আমি ছোটবেলা যখন অনূর্ধ্ব-১৫, ১৭ খেলতাম, তখন থেকেই ডেথ ওভারে বোলিং করি। হয়তো আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রথম কয়েকটা ম্যাচে নিজের সামর্থ্য প্রমাণ করতে পারেনি। আশা করি সামনের ম্যাচে এই ধারা সচল রাখতে পারব।’

এসএ/