নিষিদ্ধ বইয়ের স্মৃতিস্তম্ভ
প্রকাশিত : ১২:৪৩ পিএম, ২৫ অক্টোবর ২০১৮ বৃহস্পতিবার
বিখ্যাত ব্যাক্তিদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে প্রায় সব দেশেই স্মৃতিস্তম্ভ রয়েছে। স্মৃতিস্তম্ভ তো ইট, কাঠ, পাথর, সিমেন্ট, লোহা দিয়েই তৈরি হয়ে থাকে। কিন্তু কোনো স্মৃতিস্তম্ভ বই দিয়ে তৈরি করা হয়েছে, এমনটি কখনও শোনেছেন?
হ্যাঁ এথেন্সে এমন একটি স্মৃতিস্তম্ভ রয়েছে। যার পুরোটাই বই দিয়ে তৈরি। এটি বিভিন্ন নিষিদ্ধ বইয়ে স্তরে স্তরে সাজানো হয়েছে। দেখতে অনেকটা পিরামিডের মতো। পৃথিবীর ভ্রমণপিপাসু ও বইপ্রিয় মানুষের কাছে এই স্থানটি বেশ পরিচিত হয়ে উঠেছে। রোজ দর্শনার্থীদের ভিড় দেখা যায় এতে।
দেশে দেশে যেসব বই নিষিদ্ধ রয়েছে বা এক সময় নিষিদ্ধ করা হয়েছিল তা দিয়েই এই স্মৃতিস্তম্ভ তৈরি করা হয়েছে। ১৯৩৩ সালে জার্মানির যে স্থানে নাৎসিরা বিপুলসংখ্যক বই পুড়িয়েছিল সেখানেই শিল্পকর্মটি স্থাপন করা হয়েছে।
নাৎসিদের বই পোড়ানোর ওই ঘটনার পর ৮ দশক পার হয়েছে। আর এই তাক লাগানো কাজটি করেছেন আর্জেন্টিনার শিল্পী মারতা মিনুকিন। সব ধরনের সেন্সরশিপের বিরুদ্ধে প্রতিবাদস্বরূপ তিনি নিষিদ্ধ বই দিয়ে এ শিল্পকর্মটি তৈরি করেছেন।
এটিতে বানাতে তিনি ব্যবহার করেছেন ১ লাখ নিষিদ্ধ বই। প্রতিটি বই প্লাস্টিকের ব্যাগ দিয়ে মুড়ে দেওয়া হয়েছে। জার্মানির খামখেয়ালি আবহাওয়ার জন্যই এ ব্যবস্থা করা হয়েছে। ৭৪ বছর বয়সী মিনুকিন দক্ষিণ আমেরিকার পপ শিল্পের আইকন। তিনি এই শিল্পকর্মটিকে তার সব কাজের মধ্যে ‘সবচেয়ে রাজনৈতিক’ বলে বর্ণনা করেছেন।
সূত্র : ডেইলি মেইল।
/ এআর /