ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

ফায়ার এলার্মে বেশি কার্যকর মায়ের কণ্ঠস্বর

প্রকাশিত : ০৭:১০ পিএম, ২৫ অক্টোবর ২০১৮ বৃহস্পতিবার

অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় শিশুদের সতর্ক করতে এলার্ম হিসেবে মায়ের কণ্ঠস্বর গতানুগতিক এলার্মের আওয়াজ থেকে বেশি কার্যকর। বিশেষ করে এলার্মের আওয়াজ হিসেবে মায়ের কণ্ঠস্বর থাকলে তা ঘুমে থাকা শিশুদের জাগিয়ে তুলবে অনেক দ্রুত। যুক্তরাষ্ট্রের একদল গবেষকদের অন্তত দাবি এমনটাই।

যুক্তরাষ্ট্রের পিডিয়াট্রিক্স জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষণা প্রতিবেদন অনুযায়ী, এলার্মের আওয়াজে মায়ের কণ্ঠস্বর ব্যবহার করলে সাধারণ এলার্মের আওয়াজ থেকে দ্রুত জেগে উঠবে ঘুমন্ত শিশুরা। আর মূল্যবান এই কয়েক সেকেন্ডই শিশুদের রক্ষা করতে পারে গুরুতর কোন ক্ষয়ক্ষতি থেকে।

গবেষণায় উচ্চ শব্দের গতানুগতিক এলার্মের কার্যকারিতার সাথে কণ্ঠস্বর যুক্ত এলার্মের তুলনা করেন। ওয়াইও’র ন্যাশনওয়াইড চিলড্রেন হাসপাতালের ঐ গবেষকদের মতে, “প্রাপ্ত বয়স্কদের তুলনায় শিশুদের ঘুম অনেক গাঢ় এবং লম্বা সময়ব্যাপী হয়। আর তাই তাদের ঘুম ভাঙ্গানো বেশ কঠিন”।

১৭৬টি শিশুকে নিয়ে এই গবেষণা করা হয়। এতে দেখা যায়, প্রথমবার যখন গতানুগতিক সাধারণ এলার্ম বাজানো হয় তখন প্রায় অর্ধেক সংখ্যক শিশু জেগে ওঠে। কিন্তু যখন শিশুদের মায়ের কণ্ঠস্বরযুক্ত এলার্ম বাজানো হয় তখন প্রতি ১০ জন শিশুর ৯ জনই জেগে ওঠে।

একটি বিশেষায়িত স্লিপিং ল্যাবরেটরিতে শিশুরা যখন গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন তখন এসব এলার্ম বাজানো হয়েছিল।

গবেষক দলের সদস্য ড. মার্ক স্প্লেইনগার্ড বলেন, “এই গবেষণায় আমরা যে বিষয়টি পেলাম তা হলো, ৫ থেকে ১২ বছর বয়সী শিশুদের ক্ষেত্রে সাধারণ এলার্মে জেগে উঠতে সময় বেশি লাগে। যদি এটা কম সময়ে করা যায় তাহলে অনেক জীবন বাঁচতে পারে”।

মার্ক আরও জানান, শিশুদের দ্রুত জেগে ওঠার সাথে নিজ নিজ মায়ের কণ্ঠস্বরের তুলনায় সাধারণ এক কন্ঠস্বরের কার্যকারিতা কতটুকু; সেটিই এখন তারা গবেষণা করে দেখবেন।

এদিকে এই গবেষনার ফলাফলের প্রতি সাধুবাদ জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ কয়েকটি দেশের দমকল বাহিনীর প্রধানগণ। তবে নিজেদের বাড়িতে থাকা বর্তমান এলার্মগুলোর কার্যকারিতা নিয়ে কোন ধরনের সন্দেহে না থাকার পরামর্শও দেন তারা।

সূত্রঃ বিবিসি

//এস এইচ এস//