শহীদ কাদরীর নামাজে জানাজা হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে
প্রকাশিত : ০৪:৫৩ পিএম, ৩১ আগস্ট ২০১৬ বুধবার | আপডেট: ০৬:০৩ পিএম, ৩১ আগস্ট ২০১৬ বুধবার
ভক্ত, সুহৃদ আর অনুরাগীদের চোখের পানিতে চিরবিদায় নিলেন বাঙালীর মনন ও জীবনবোধের কবি শহীদ কাদরী। কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে কবির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বিশিষ্টজনেরা বলেন, আধুনিকতাকে সঞ্চারিত করে বাংলা কবিতায় তিনি দিয়েছিলেন নতুন স্পন্দন। শহীদ কাদরীর মৃত্যুতে কিছুটা হলেও, ভাটা পড়বে সেই ছন্দে। এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে হয় তাঁর নামাজে জানাজা।
শহীদ কাদরী বাংলা কবিতার এক উজ্জ্বল নক্ষত্র। যৌবনে কবিতার ছন্দে একসুতোয় বাধার স্বপ্ন দেখতেন রাষ্ট্র আর গণতন্ত্রকে। তবে, ৭৫ পরবর্তী সময়ে ভেঙ্গে চুরমার হয়ে যায় কবির সেই স্বপ্ন। অনেকটা অভিমান নিয়েই ছেড়ে যান প্রিয় স্বদেশ কবির কাছে যা প্রিয়তমা।
কবি আবার ফিরেছেন তার প্রিয়তমার কাছে তবে, নিথর শরীর নিয়ে।
বুধবার দুপুরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গনে সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধায় সিক্ত হন কবি শহীদ কাদরী। প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে প্রথমে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন প্রধানমন্ত্রীর সামরিক সচিব মেজর জেনারেল জয়নাল আবেদিন বীর বিক্রম এবং বিশেষ সহকারী মাহবুবুল হক শাকিল।
শ্রদ্ধা জানিয়ে বিশিষ্টজনেরা বলেন, শহীদ কাদরী কবিতায় যোগ করেছিলেন আধুনিকতা, যা প্রেরণা যুগিয়েছিলো মুক্তিযুদ্ধে।
মাত্র চারটি কাব্যগ্রন্থ দিয়ে দেশবরেণ্য হওয়া বিরল ঘটনা বলেও মন্তব্য করেন তারা।
এর আগে, সকাল ৯টা ৫০ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে কবি শহীদ কাদরীর মরদেহ বহনকারী বিমান। সেখান থেকে মরদেহ নেয়া হয় বারিধারা ডিওএইচএস-এ ভাইয়ের বাসায়।
বুধবার বিকেলে মিরপুরে শহীদ বুদ্ধীজীবী কবরস্থানে দাফন করা হয় কবি শহীদ কাদরীকে।