ঢাকা, বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ১০ ১৪৩১

মালয়েশিয়ায় কর বৃদ্ধি পাচ্ছে বিদেশি শ্রমিকদের

শেখ আরিফুজ্জামান, মালয়েশিয়া থেকে:

প্রকাশিত : ১০:২৫ এএম, ২৬ অক্টোবর ২০১৮ শুক্রবার | আপডেট: ০৫:৫৩ পিএম, ২৬ অক্টোবর ২০১৮ শুক্রবার

মালয়েশিয়ায় ২০ শতাংশ লেভি (কর) বাড়ছে বিদেশি শ্রমিকদের। এর আরও যুক্ত হয়েছে ৩০০ থেকে এক হাজার ৫০০ রিংগিত শ্রমিক বন্ড নামের নতুন কর। এটা নির্ভর করবে বিদেশি কর্মীর সংখ্যার ওপর।  দেশটিতে কর্মরত বিদেশি কর্মীদের লেভি গ্রহণের ‘প্রস্তাবিত মাল্টি-স্টিয়ার লেভি পদ্ধতি’ আগামী বছরের মধ্যে বাস্তবায়িত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তানশ্রী মহিউদ্দিন ইয়াসিন। 

বৃহস্পতিবার বিদেশি কর্মী ব্যবস্থাপনায় স্বরাষ্ট্র ও মানবসম্পদ মন্ত্রণালয়ের যৌথসভায় সাংবাদিকদের তিনি বলেন, এটি বাস্তবায়ন হওয়ার পর যাতে প্রতিকূল প্রভাব সৃষ্টি না হয়, সে লক্ষ্যে আমরা সংশ্লিষ্ট সেক্টর ও উপ-সেক্টরের সঙ্গে আলোচনা করতে সম্মত হয়েছি।

মন্ত্রিসভায় অনুমোদন সাপেক্ষেই মাল্টি-স্টিয়ার লেভি পদ্ধতি বাস্তবায়ন হবে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, লেভির পরিমাণ নির্ধারণের ক্ষেত্রে পুনঃবিবেচনা করা হবে। ফলে এটি খুব বেশি ভারসাম্যহীন হবে না। নতুন পদ্ধতিতে বর্তমানের লেভির পরিমাণ থেকে বেড়ে ২০ শতাংশের মধ্যে থাকবে। সুতরাং, এটি এত বড় নয়, তবে কিছু উপ-সেক্টরে এটি বড় হবে।

নতুন করে ভিসাকর নির্ধারণের বিষয়টি এর আগে গত ১৬ অক্টোবর প্রথম আলোচনায় উত্থাপন করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। বলা হয়, ‘যত বেশি বিদেশি কর্মী নিয়োগ হবে, তত বেশি কর দিতে হবে’। অর্থাৎ বিদেশি কর্মীদের করের পরিমাণ কত হবে তা নির্ভর করবে নিয়োগকারীর অধীনে কতজন বিদেশি কর্মী রয়েছে।

দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মতে, নতুন এ পদ্ধতি বিদেশি কর্মীদের ওপর উচ্চ নির্ভরশীলতা কমবে। এদিকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহিউদ্দিন ইয়াসিন বলছেন, সরকার আউটসোর্সিং সিস্টেম বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ১০০টি আউটসোর্সিং কোম্পানির অধীনে প্রায় ২৬ হাজার কর্মী রয়েছেন।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, এ বছর ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মোট ১৮ লাখ ৯২ হাজার ২৪৭ জন বিদেশি কর্মীর ভিসা ইস্যু করা হয়েছে। এদের মধ্যে শীর্ষ পাঁচটি দেশ হলো ইন্দোনেশিয়া, বাংলাদেশ, নেপাল, ভারত ও মিয়ানমার।

দেশটির মানবসম্পদ মন্ত্রী এম. কুলাসেগারন জানিয়েছেন, ইউনিয়ন, বেসরকারি সংস্থা এবং সব স্টেকহোল্ডারের সঙ্গে আলোচনা করার পর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এই প্রক্রিয়া ইতোমধ্যে শেষ পর্যায়ে রয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

একে//