‘বিচারপতি সিনহা বিচার বিভাগকে কলঙ্কিত করেছেন’
প্রকাশিত : ০৪:৩৫ পিএম, ২৬ অক্টোবর ২০১৮ শুক্রবার
বিচারপতি সিনহা বিচার বিভাগকে কলঙ্কিত করেছেন বলে মন্তব্য করেছেন খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম। তিনি বলেন, বিচারপতি সিনহা জুডিশিয়াল ক্যু করতে চেয়েছিলেন। তিনি প্রশ্নবিদ্ধ করেছেন পুরো বিচার ব্যবস্থাকে। এটা তার কাছ থেকে কেউই আশা করেনি। ‘এসকে সিনহার স্বপ্নভঙ্গ: বিচার বিভাগের ভবিষ্যৎ’ শীর্ষক এক গোলটেবিল বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
খাদ্যমন্ত্রী অারও বলেন, নারী সাংবাদিককে অপমানের জন্য ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের পক্ষ নিয়েছেন ঐক্যপ্রক্রিয়ার নেতা ড. কামাল হোসেন। তিনি মইনুল হোসেনের পক্ষে ক্ষমা চাইতে পারেন।
আজ শুক্রবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজের সঞ্চালনায় ‘এসকে সিনহার স্বপ্নভঙ্গ: বিচার বিভাগের ভবিষ্যৎ’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন সাংবাদিক রাশেদ চৌধুরী। একটি অনলাইন ভিত্তিক নিউজ পোর্টাল এ গোলটেবিল বৈঠকের অায়োজন করে।
গোলটেবিল বৈঠকে অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন বলেন, সিনহা বাবু বিচার ব্যবস্থা নিয়ে যে বই লিখেছেন, এতে দেশ-জাতির কী লাভ হয়েছে জানি না, তবে বিচার ব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই ক্ষতি আমাদের রিপেয়ার করতে হবে।
সাংবাদিক স্বদেশ রায় বলেন, সিনহার মধ্যে উচ্চাভিলাষ ছিল। সে কারণেই তিনি বিচারব্যবস্থাকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছেন। তবে একজন দু’জন খারাপ রাজনীতিবিদের কারণে যেমন সব রাজনীতিবিদরা খারাপ হতে পারেন না ঠিক তেমনি নিশ্চয় বিচারপতি সিনহার কারণে পুরো বিচার বিভাগ প্রশ্নবিদ্ধ হবে না।
তিনি ( সাংবাদিক স্বদেশ রায়) আরও বলেন, বিচারপতি সিনহা যেদিন সাকার পরিবারের সঙ্গে দেখা করলেন সেদিন থেকেই তিনি বিচারপতি পদে থাকার যোগ্যতা হারিয়েছেন।
গোলটেবিল বৈঠকে বক্তব্য রাখেন- বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ড. নাজমুল হোসেন কলিমুল্লাহ, আইনজীবী সুব্রত চৌধুরী, আওয়ামী লীগ নেতা রাশেক রহমান, সাবেক ছাত্র নেতা বাপ্পাদিত্য বসু, ডা. বদরুল হাসান কচি প্রমুখ।
গোলটেবিল বৈঠক বক্তারা বিচারপতি সিনহার দুর্নীতির বিভিন্ন কর্মকাণ্ড তুলে ধরে এই বইটিকে সরকারের বিরুদ্ধে সুপরিকল্পিত চক্রান্তের ফসল বলে অভিহিত করেন। বিচারপতি নিয়োগের বিষয়ে আইন করার জোর দাবি উঠে আসে এই গোলটেবিল বৈঠকে।
প্রসঙ্গত, সাবেক প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহার লিখা তার অাত্মজীবনীমূলক বই ``এ ব্রোকেন ড্রিম: রুল অব ল, হিউম্যান রাইটস এন্ড ডেমোক্রেসি``। বইটি প্রকাশের পরপরই রাজনৈতিক অঙ্গনে বইটিকে নিয়ে সমালোচনা চলছে। ধারণা করা হচ্ছে, সরকারকে বিব্রত করতে উদ্দেশ্যমূলকভাবে এ বই লিখা হয়েছে।
অা অা//এসএইচ/