ধূমপান কমালেই কমবে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি: গবেষণা
প্রকাশিত : ০১:০৪ পিএম, ২৭ অক্টোবর ২০১৮ শনিবার | আপডেট: ০১:০৯ পিএম, ২৭ অক্টোবর ২০১৮ শনিবার
স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন বজায় রাখাই অনেক অসুখ থেকে দূরে থাকার একমাত্র উপায়। ধূমপান থেকে দূরে থাকা ও ওজন হ্রাস করা সাধারণ মানুষদের জিনগতভাবে স্ট্রোকের সম্ভাবনা হ্রাস করে। যুক্তরাজ্যের কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা এমনটাই জানাচ্ছেন।
গবেষণায় দেখা গেছে, জেনেটিক ঝুঁকি রয়েছে এমন মানুষদের ক্ষেত্রে স্ট্রোকের ঝুঁকি ৩৫ শতাংশ বেশি। একটি অস্বাস্থ্যকর জীবনধারা স্ট্রোকের সম্ভাবনা ৬৬ শতাংশ বৃদ্ধি করে দেয়। যাদের জেনেটিক ঝুঁকি রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে ফলাফল মারাত্মক পর্যায়ে যায়। উচ্চ মাত্রার জেনেটিক ঝুঁকি ও অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের সঙ্গে যদি কম জেনেটিক ঝুঁকি এবং একটি অনুকূল জীবনধারার তুলনা করা যায়, দেখা যাবে প্রথমটির ক্ষেত্রে স্ট্রোকের সম্ভাবনা দ্বিগুণ।
বিএমজে জার্নালে প্রকাশিত প্রবন্ধে জানা গেছে, ৪০ থেকে ৭৩ বছর বয়সী ৩, ০৬, ৪৭৩ জন সাদা চামড়ার পুরুষ এবং নারীদের নিয়ে গবেষণা হয় যাদের স্ট্রোক বা হার্ট অ্যাটাকের কোনও ইতিহাস ছিল না। সুস্থ জীবনযাপনের মান নির্ণিত হয় চারটি বিষয়ের উপর ভিত্তি করে: ধূমপায়ী নন, ফল, শাকসবজি এবং মাছ সমৃদ্ধ খাদ্য, মোটা বা অতিরিক্ত ওজন নয় (শরীরের ভর সূচক ৩০ এর চেয়ে কম) এবং নিয়মিত শারীরিক ব্যায়াম।
যাদের জেনেটিক ঝুঁকি রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যকর জীবনধারাই স্ট্রোকের সম্ভাবনা কমাতে পারে।
গবেষকদের মতে, জীবনযাপনের বিষয়গুলোর মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হল ধূমপান এবং মোটা হওয়ার সমস্যা। তার উপরে সব ধরনের জীবনযাপনের সব ধরনের মানুষদের মধ্যে আবার নারীদের চেয়ে পুরুষদের স্ট্রোকের সম্ভাবনা বেশি। এটি একটি পর্যবেক্ষণমূলক অধ্যয়ন সুতরাং এর থেকে নিশ্চিত করে কোনও সিদ্ধান্তেই আসা যায় না বলেও জানিয়েছেন গবেষকেরা। গবেষকরা উল্লেখ করেছেন যে, তাদের ফলাফল ‘উচ্চ মাত্রার জেনেটিক ঝুঁকি থাকা সত্ত্বেও স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের মধ্যে দিয়েই সমগ্র জনসংখ্যার স্ট্রোকের ঝুঁকি হ্রাস করার সম্ভাবনাকেই তুলে ধরতে চেয়েছে।’
সূত্র: এনডিটিভি
একে//