ঢাকা, সোমবার   ২১ এপ্রিল ২০২৫,   বৈশাখ ৮ ১৪৩২

ক্যারাভানে করে আসা শরণার্থীদের কাজের অনুমতি মেক্সিকোর

প্রকাশিত : ০৫:৪১ পিএম, ২৭ অক্টোবর ২০১৮ শনিবার

মধ্য আমেরিকার বিভিন্ন দেশ থেকে আসা শরণার্থীদের একটি বড় অংশকে কাজের অনুমতি দিয়েছে মেক্সিকো। ক্যারাভানে করে আসার মেক্সিকো-যুক্তরাষ্ট্র সীমান্তে জড়ো হওয়া এসব শরণার্থীদের জন্য অস্থায়ী পরিচয় পত্রও দেবে মেক্সিকো। তবে অবৈধ শরণার্থী অনুপ্রবেশ ঠেকাতে সীমান্তে লোকবল বাড়িয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

গুয়েতেমালা, এল সালভাদর এবং হন্ডুরাসের মতো দেশ থেকে লাখ লাখ শরণার্থী এসে পৌঁছেছেন মেক্সিকো-যুক্তরাষ্ট্রে সীমান্তে। উদ্দেশ্য মার্কিন মুল্লুকে প্রবেশ করা। তবে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কঠোর অবস্থানে তা আর হয়ে উঠছে না।

মার্কিন প্রশাসন কঠোর হলেও শরণার্থীদের প্রতি নরম সিদ্ধান্ত দিলো মেক্সিকো। তবে এর জন্য দক্ষিণের রাজ্য চিয়াপাস এবং ওয়াজাকা অঞ্চলেই থাকতে হবে তাদের। আর দেশটির কাছে চাইতে হবে রাজনৈতিক আশ্রয়। এই শর্ত যারা মেনে নিবেন তাদেরকে কাজের জন্য অস্থায়ী ভিত্তিতে অনুমতি পত্র, পরিচয় পত্র, ঔষধ দেবে মেক্সিকো। একই সাথে শিশুদের জন্য পড়াশুয়ান্র ব্যবস্থাও করবে দেশটির কর্তৃপক্ষ।

স্থানীয় স্প্যানিশ ভাষায় এই পরিকল্পনার নাম দেওয়া হয়েছে ‘এসটাস এন টু কাসা’ অর্থ্যাত ‘এটাই আপনার বাসস্থান’। এই পরিকল্পনার ঘোষনা দেন মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট এনরিক পেনা নিয়েটো। এনরিক পেনো বলেন, “আজ মেক্সিকো আপনাদের দিকে তার (সাহায্যের) হাত বাড়িয়ে দিচ্ছে। যারা মেক্সিকোর আইন মেনে চলবেন এই আইন শুধু তাদের জন্য। যারা মেক্সিকোতে আশ্রয় চাইছেন তাদের সমস্যার স্থায়ী সমাধানে এটা প্রাথমিক ধাপ”।  তবে যারা দেশটির রাজনৈতিক আশ্রয় এর জন্য আবেদন করেছেন বা ভবিষ্যতে করবেন শুধু তারাই এসব সুবিধা ভোগ করবেন।

এদিকে অবৈধ অনুপ্রবেশ ঠেকাতে সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদার করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। মেক্সিকো থেকে শরণার্থীদের ক্যারাভানের প্রবেশ বন্ধ করতে সীমান্তে নতুন ৮০০ নিরাপত্তা রক্ষী মোতায়েন করা হয়েছে।

এক টুইট বার্তায় ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, “এমন জাতীয় জরুরী পরিস্থিতি মোকাবেলায় আমি সেনা মোতায়েন করছি সীমান্তে। তাদেরকে (শরণার্থীদের) যে কোন মূল্যে প্রতিহত করতে হবে”।

সূত্রঃ বিবিসি

//এস এইচ এস//