‘আমি নানাভাবে যৌন নিপীড়নের শিকার হয়েছি’
প্রকাশিত : ০৩:০৪ পিএম, ২৯ অক্টোবর ২০১৮ সোমবার
বলিউডে ‘# মি টু’ আন্দোলন চলছে। সেখানে অসংখ্য তারকা তাদের উপর যৌন নিপীড়নের কথা প্রকাশ করছেন। শুরুতে এই আন্দোলনে যোগ দেয় হলিউড। সেই বাতাস গিয়ে বলিউডে ঝড় তোলে। কিন্তু এতো দিনেও ঢালিউড বা বাংলাদেশের কোন তারকা বিষয়টি নিয়ে মুখ খোলেননি। এবারই প্রথম যৌন হয়রানি ‘# মি টু’ নিয়ে কথা বলেছেন দেশের অন্যতম আলোচিত টিভি তারকা আজমেরী হক বাঁধন।
তিনি বলেন, ‘বুদ্ধি হওয়ার বয়স থেকে এখন পর্যন্ত এ রকম অনেক নিপীড়নের শিকার হয়েছি। মাকে বলতেও পারিনি। এখন অবশ্য আমার মেয়েকে এসব সম্পর্কে শেখাই। আমাদের এখানে মেয়েদের সেই অর্থে কোনো কিছু বলতে দেওয়া হয় না। মেয়েদের প্রতিবাদ কীভাবে করতে হয়, তা যদি ছোটবেলা থেকে শেখানো হতো, তাহলে ‘# মি টু’ পর্যন্ত যাওয়ার প্রয়োজন হতো না।’
অভিনেত্রী আরও বলেন, ‘আমাদের বলা হতো, চেপে যাও চেপে যাও। এই চেপে যাওয়াকে প্রতিপক্ষ দুর্বল ভেবে আরও সুযোগ নেয়। এই ঘটনা কিন্তু সব জায়গায় ঘটে। কোথায় বাদ দেবেন। শুধু মিডিয়াকে বেশি প্রাধান্য কেন? নায়িকাদের সবকিছু শুনতে খুব মজা লাগে? এই জায়গাটা নষ্ট জায়গা প্রমাণ করতে মজা লাগে? নষ্ট তো আসলে সব জায়গা।’
গণমাধ্যমকে বাঁধন আরও বলেন, ‘আমি নানাভাবে যৌন নিপীড়নের শিকার হয়েছি। আপত্তিকর প্রস্তাবে অনেক কাজ বাদ দিয়েছি। যেখানে কিছু বিকিয়ে দিতে হবে, সেখান থেকে ফিরে এসেছি। তাদের নাম এখনই বলতে চাই না। সময় হলে ঠিকই বলব। যৌন নিপীড়নের শিকার হয়েছি, এটা মিডিয়ার অনেকেই জানেন। তাৎক্ষণিকভাবে প্রতিবাদও করেছি।’
উল্লেখ্য, আজমেরী হক বাঁধন যিনি পর্দায় বাঁধন নামে পরিচিত। ২০০৬ সালে লাক্স চ্যানেল আই সুপারস্টার প্রতিযোগিতায় রানার আপ হওয়ার মাধ্যমে পরিচিতি লাভ করেন।
বাঁধন ২০০৬ সাল থেকে মিডিয়ার ক্যারিয়ার জীবন শুরু করেন। ২০১৬ সালে তিনি ‘তীরন্দাজ’, ‘ডিবি’, ‘মেঘের পরে মেঘ,’ ‘সহযাত্রী’, ‘এই কূলে আমি আর ওই কূলে তুমি’, ‘নীল নির্বাসন’ ও ‘রূপকথার মা’ ধারাবাহিক নাটকে অভিনয় করেন। এছাড়া তিনি আরএফএল ফার্নিচার ও কোকোলা নুডুলসের টেলিভিশন বিজ্ঞাপনে কাজ করেন।
প্রসঙ্গত, ২০১০ সালে ব্যবসায়ী সনেটের সঙ্গে পরিচয় হয় বাঁধনের। পরিচয়ের তিন মাস পরেই তারা বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন। ২০১০ সালের ৮ সেপ্টেম্বর দুই পরিবারের ঘনিষ্ঠজনদের উপস্থিতিতে ব্যবসায়ী সনেটের সঙ্গে বাঁধন বিয়ের পিড়িঁতে বসেন। অনেকটা গোপনেই বিয়ের কাজটি সেড়ে ফেলেন বাঁধন। সেই সংসারে একটি কন্যা সন্তান জন্ম নেয় তাদের। এরপর দীর্ঘদিন ধরেই তাদের সংসারে দাম্পত্য কলহ চলছিল। প্রায় দুইবছর ধরে তারা আলাদা বসবাস করতেন। অবশেষে বিয়ের চার বছরের মাথায় স্বামীকে ডিভোর্স দেন বাঁধন।
মাঝে সিনেমার জন্য নিজেকে তৈরি করলেও সেই সিনেমাটি অজ্ঞাত করণে করা হয়নি।
এসএ/