ঢাকা, রবিবার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৯ ১৪৩১

হঠাৎ হৃদস্পন্দন বন্ধ হয়ে গেলে কী করবেন: ডা. সোহরাবুজ্জামান

প্রকাশিত : ০৩:২৪ পিএম, ২৯ অক্টোবর ২০১৮ সোমবার | আপডেট: ০৩:৪৮ পিএম, ২৯ অক্টোবর ২০১৮ সোমবার

ডা. সোহরাবুজ্জামান

ডা. সোহরাবুজ্জামান

হৃদরোগে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। এ রোগে বহু মানুষের মৃত্যু হচ্ছে। অতিরিক্ত টেনশন, ভুল খাদ্যাভাস, সঠিক জীবন যাপন না করা এই রোগের অন্যতম কারণ।

অনেক সময় দেখা যায় হঠাৎ করেই হৃদয়ের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে গেছে। অনেক কারণেই হঠাৎ করে হৃদয়ের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে যেতে পারে। তবে এর মূল কারণ অ্যারিদমিয়া বা জটিল হৃদস্পন্দন।

প্রতি মিনিটে স্বাভাবিক হৃদস্পন্দনের মাত্রা ৬০ থেকে ১০০- এর কম বা বেশি হলে কিংবা দুটিই যদি ঘটে, তবে সেটি অ্যারিদমিয়ার লক্ষণ। সাধারণত হৃদস্পন্দন উৎপাদনকারী বৈদ্যুতিক সংকেত কোনোভাবে বাধা পেলে বা দেরি হলে তখনই এই জটিল হৃদস্পন্দনের উদ্ভব হয়।

বৈদ্যুতিক সংকেত যে বিশেষ কোষ থেকে উৎপন্ন হয়, তা ঠিকমতো কাজ না করলে বা হৃদয়ের ভেতর দিয়ে ঠিকমতো প্রবাহিত হতে না পারলে এ সমস্যার সৃষ্টি হয়। শুধু এ রোগের আমেরিকাতেই প্রতি বছর প্রায় ৩ লাখ রোগী মারা যায়। একটু সচেতন হলে এই রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।

এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির হৃদয়ের ক্রিয়া ১ ঘন্টা বন্ধ থাকতে পারে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে হৃদয়ের নিলয়ে উৎপন্ন হয়ে দ্রুত হৃদস্পন্দন হয়।

এ ধরনের জটিল হৃদস্পদনকে ভেন্ট্রিকুলার টেকিকার্ডিয়া বলে। জীবননাশক-এজটিলতা হৃদয় বৈদ্যুতিক সর্ট সার্কিটের ফলে ঘটে এবং ওই রোগীর পূর্বে কোন ধরনের হৃদয়ের অসুখ হয়ে থাকতে পারে।

যারা বেশি আক্রান্ত হয়

ধূমপান, অতিরিক্ত মদ্যপান, বিশেষ কিছু ওষুধ সেবন, ক্যাফেইন, প্রেসক্রিশপন ছাড়া ওষুধ সেবন ইত্যাদি কারণে হৃদক্রিয়া বন্ধ হয়ে যেতে পারে।

লক্ষণ

এ রোগের উপসর্গগুলো সহজে চিহ্নিত করা যায় না বলে অনেক সময় রোগ নির্ণয় কঠিন হয়ে পড়ে। তবে শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে চিকিৎসকরা রোগ নির্ণয়ের চেষ্টা করেন। ইলেকট্রোকার্ডিওগ্রাম, করোনারি এনজিওগ্রাম, ইলেকট্রোফিজিওলজি স্টাডির মাধ্যমেও অ্যারিদমিয়া নির্ণয় করা যায়।

চিকিৎসা

এ ধরনের রোগীর ক্ষেত্রে চিকিৎসা ছাড়াই সাধারণ কিছু নিয়ম-কানুন মেনে চললে এবং জীবনযাপনে পরিবর্তন আনলেই হৃস্পন্দনের মাত্রা ঠিক হয়ে যায়। কারো কারো ক্ষেত্রে শুধু ওষুধ সেবনে ফল পাওয়া যায়। তবে কোনো কোনো অ্যারিদমিয়া সত্যি ভয়ঙ্কর। সেসব ক্ষেত্রে রোগীর সার্জারির প্রয়োজন ।

পরামর্শদাতা : ডা: আ প ম সোহরাবুজ্জামান

 ল্যাবএইড হাসপাতালের সিনিয়র কন্সালটেন্ট ও কার্ডিওলজিস্ট

কার্ডিয়াক ক্যাথ ল্যাব ও হার্ট রিদম সার্ভিসেসের পরিচালক।

টিআর/ এআর