ঢাকা, সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১১ ১৪৩১

লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১১হাজার কোটি টাকার কম রাজস্ব আহরন

প্রকাশিত : ০৪:৩৪ পিএম, ৩০ অক্টোবর ২০১৮ মঙ্গলবার | আপডেট: ০৪:৩৫ পিএম, ৩০ অক্টোবর ২০১৮ মঙ্গলবার

দেশের অর্থনীতি স্থিতিশীলতা বিরাজ করার পরও চলতি অর্থবছরের শুরুতে রাজস্ব আহরণ আশানুরূপ বাড়েনি। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ২০১৮-১৯ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে অর্থাৎ জুলাই-সেপ্টেম্বরে মোট ৫৭ হাজার ২৪৭ কোটি টাকা আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে। এর বিপরীতে এই সময় আদায় হয়েছে ৪৫ হাজার ৮১৭ কোটি টাকা। যা লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় ১১ হাজার কোটি টাকা কম আদায় হয়েছে।

গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় আয় বেড়েছে ৫ দশমিক ২২ শতাংশ। এই সময়ে রাজস্ব আহরণ হয় ৪৩ হাজার ৫৪৪ কোটি টাকা। প্রথম দুই মাসে রাজস্ব আহরণে যে প্রবৃদ্ধি হয়, তার চেয়ে সেপ্টেম্বরে পরিস্থিতি একটু উন্নতি হয়েছে। আলোচ্য অর্থবছরের জুলাই-আগস্টে প্রবৃদ্ধি হয় মাত্র দেড় শতাংশ।

এনবিআর সূত্রে জানা যায়, চলতি অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে আমদানি শুল্ক স্থানীয় পর্যায়ে মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) এবং আয়কর খাতে নেতিবাচক পরিস্থিতি দেখা গেছে।

অনেকের মতে, নির্বাচনকে সামনে রেখে দেশের অর্থনীতির অবস্থা কোনদিকে যাবে, তা নিয়ে এক ধরণের অনিশ্চয়তা রয়েছে। অনেকেই জমি-ফ্ল্যাট কেনার ক্ষেত্রে ধীরগতি অবলম্বন করছেন। বিনিয়োগের জন্য যন্ত্রপাতি আনলেও কারখানা স্থাপনে অপেক্ষা করছেন। ফলে বিনিয়োগে মন্দাভাব চলছে।

এনবিআরের মাধ্যমে মোট আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয় দুই লাখ ৯৬ হাজার কোটি টাকা। আলোচ্য তিন মাসে লক্ষ্যমাত্রার মাত্র ২০ শতাংশ আদায় হয়।

এনবিআরের পরিসংখ্যানে দেখা যায়, জুলাই-সেপ্টেম্বরে স্থানীয় পর্যায়ে ভ্যাট আদায় হয় ১৭ হাজার ৫২৪  কোটি টাকা। যেখানে লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয় ২২ হাজার ৬৭৫ কোটি টাকা। এ সময়ে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে কম ভ্যাট আদায় হয়েছে ৫ হাজার ১৫১ কোটি টাকা। আমদানি শুল্ক থেকে আয় হয় ১৫ হাজার ১৪৭ কোটি টাকা।

এ খাতে লক্ষ্যমাত্রা ১৯ হাজার ১৫০ কোটি টাকা। ৪ হাজার কোটি টাকার বেশি ঘাটতি রয়েছে। অন্যদিকে, অভ্যন্তরীণ সম্পদ আহরণের অন্যতম খাত আয়করে ১৫ হাজার ৪২০ কোটি টাকার লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে ১৩ হাজার ১৪৫ কোটি টাকা আয় হয়। এখানে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২ হাজার ২৭৫ কোটি টাকা পিছিয়ে আছে। সবমিলিয়ে ২০১৮-১৯ অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে মোট ১১ হাজার ৪৩০ কোটি টাকা পিছিয়ে আছে এনবিআর।

কেআই/