প্রাথমিক শিক্ষায় তথ্যপ্রযুক্তি অন্তর্ভুক্তের আহবান জব্বারের
প্রকাশিত : ০৫:৫০ পিএম, ৩০ অক্টোবর ২০১৮ মঙ্গলবার | আপডেট: ০৭:৩১ পিএম, ৩০ অক্টোবর ২০১৮ মঙ্গলবার
বর্তমান সময়ের প্রতিযোগিতার কথা মাথায় রেখে প্রাথমিক স্তরেই তথ্যপ্রযুক্তি শিক্ষা অন্তর্ভুক্ত করার আহবান জানান ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। নতুন প্রজন্মকে তথ্যপ্রযুক্তি জ্ঞানসমৃদ্ধ করে গড়ে তুলতে প্রাথমিক শিক্ষায় তথ্যপ্রযুক্তি অন্তর্ভুক্ত করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। শিশু, কিশোরদের প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতা তথ্যপ্রযুক্তি চর্চার ক্ষেত্রে মাইলফলক উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন প্রোগ্রামিং মেধার বিকাশ ও সৃজনশীলতার ক্ষেত্রকে বিকশিত করে।
আজ মঙ্গলবার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের উদ্যোগে আয়োজিত জাতীয় শিশু কিশোর প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতা-২০১৮ এর পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন মন্ত্রী জব্বার। রাজধানীর আগারগাঁও এর আইসিটি টাওয়ারের বিসিসি মিলনায়তনে এই পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ পলক।
এসময় মোস্তাফা জব্বার বলেন, “ছোটবেলা থেকেই শিশুদের প্রোগ্রামিংয়ের ওপর শিক্ষা দিতে হবে। কারণ প্রোগ্রামিংয়ের চর্চাটা ছোট থেকেই হওয়া উচিত। আমাদের সন্তানেরা অনেক মেধাবী। আমরা আমাদের যে প্রজন্মকে এখন প্রাইমারি স্কুলে যেতে দেখি, তাদেরকে স্মার্টফোনের ব্যবহার শেখাতে হয় না। তাই আমরা তাদের এমন স্থানে নিয়ে যেতে চাই যেন তারা ছোট থেকেই প্রোগ্রামিং জানতে পারে”।
আগামী দিনে কায়িক পরিশ্রমের কোন গুরুত্ব থাকবে না বলেও মন্তব্য করেছেন মোস্তাফা জব্বার। তাই তিনি মেধার যথাযথ বিকাশের মাধ্যমে নিজেদের আগামী শতাব্দির উপযোগী করে গড়ে তুলতে শিশু, কিশোরদের প্রতি আহবান জানান। তিনি আরও বলেন, “আজকের শিশুরাই আগামী দিনের প্রোগ্রামার হবে। বর্তমান সরকার এ লক্ষ্যে বাস্তবায়নে ৪৩ হাজার ডিজিটাল ল্যাব প্রতিষ্ঠা করাসহ তথ্যপ্রযুক্তি জ্ঞানসমৃদ্ধ জাতি গঠন করতে বিভিন্ন পরিকল্পনা ও কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে”।
বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় প্রতিমন্ত্রী পলক বলেন, “আধুনিক বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে শিক্ষার্থীরা যেন প্রোগ্রামিং, কোডিংসহ তথ্যপ্রযুক্তিতে নিজেদেরকে সমৃদ্ধ করতে পারে। এ লক্ষ্যে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ৯ হাজার ডিজিটাল ল্যাব স্থাপন করা হয়েছে”। তিনি বলেন, “উদ্ভাবন ও সৃজনশীলতাকে সঠিকভাবে কাজে লাগাতে সরকার বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে”। এসময় তিনি সৃজনশীলতাকে সঠিকভাবে কাজে লাগাতে উপস্থিত শিক্ষার্থীদের প্রতি আহবান জানান।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব জুয়েনা আজিজের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন বিসিসি এর নির্বাহী পরিচাল পার্থপ্রতিম দেব, সেন্টার ফর রিসার্চ এন্ড ইনফরমেশন (সিআরআই) নির্বাহী পরিচালক সাব্বির বিন সাম্স ও বিসিসি এর পরিচালক ইনামুল হক।
প্রসঙ্গত, শিশুদের তথ্যপ্রযুক্তি শিক্ষায় আগ্রহী করতে চলতি বছর মার্চ মাস থেকে সারা দেশে ১৮০টি স্কুলের শিক্ষার্থীদের সমন্বয়ে দেশব্যাপী শিশু-কিশোর প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছে কম্পিউটার কাউন্সিল ও ইয়াং বাংলা । প্রাথমিক ও মাধ্যমিক ২টি গ্রুপে প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের ৬ষ্ঠ থেকে ৮ম শ্রেণী পর্যন্ত জুনিয়র এবং ৯ম থেকে ১০ম পর্যন্ত সিনিয়র গ্রুপে ভাগ করা হয়। দেশের সকল জেলা হতে ৫ হাজারের বেশি প্রতিযোগী অংশ গ্রহণ করে। পরে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক গ্রুপের বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে বিজয়ীদের মাঝে ল্যাপটপ, সার্টিফিকেট, একসেট বই, স্মার্টফোন ও ক্রেস্ট বিতরণ করা হয়।
//এস এইচ এস//