দ্বিতীয়বার গর্ভধারণের আগে কতটা সময় নেওয়া উচিত?
প্রকাশিত : ০৮:৫১ এএম, ৩১ অক্টোবর ২০১৮ বুধবার | আপডেট: ১০:২৩ এএম, ১ নভেম্বর ২০১৮ বৃহস্পতিবার
নতুন এক গবেষণা বলছে, একজন মায়ের দ্বিতীয়বার সন্তান নিতে হলে সেক্ষেত্রে তাকে অন্তত এক বছর সময় নিতে হবে। সম্প্রতি জামা ইন্টারনাল মেডিসিনে এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ইউনিভার্সিটি অফ ব্রিটিশ কলাম্বিয়া এবং হার্ভার্ড টিএইচ চ্যান স্কুল অফ পাবলিক হেলথের উদ্যোগে ক্যানাডায় প্রায় দেড় লাখ শিশু জন্মদানের ওপর এ গবেষণাটি পরিচালিত হয়েছে।
গবেষণা থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, এক থেকে দেড় বছর সময়সীমাটি আদর্শ সময় দু’বার গর্ভধারণের বিরতির সময় হিসেবে।
গবেষকরা মনে করছেন, এ সময় নেওয়া হলে সেটি মা ও বাচ্চার কিছু স্বাস্থ্য ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। যদিও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গাইড লাইনে এ বিষয়ে ১৮ মাস বিরতি নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া আছে।
এখন গবেষকরা বলছেন, এক বছরই যথেষ্ট, আঠার মাস বিরতি না দিলেও চলবে। সাধারণত দুবার গর্ভধারণের মধ্যে সময়ের ব্যবধান কম হলে তা অপরিপক্ব বাচ্চা কিংবা আকারে ছোট বাচ্চা জন্ম দেওয়ার ঝুঁকি তৈরি করে।
আর নবজাতক ও মায়ের মৃত্যু ঝুঁকির বিষয় তো আছেই। গবেষকরা বলছেন, নতুন গবেষণালব্ধ উপাত্ত বয়স্ক নারীদের জন্য সহায়ক হবে।
সিনিয়র একজন গবেষক ড. ওয়েন্ডি নরম্যান বলছেন পঁয়ত্রিশের বেশি বয়সী নারীদের যারা আবারো মা হতে চান তাদের জন্য উৎসাহব্যঞ্জক খবর আছে।
গবেষণায় আরও যেসব তথ্য উঠে এসেছে-
১. এক বছরের কম সময়ের মধ্যে গর্ভধারণ করলে সেটি যে কোনও বয়সের নারীর জন্যই ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে।
২. শিশু জন্মের ছয় মাসের মধ্যে ৩৫ বছর বয়সী কোনও নারী আবার গর্ভবতী হলে সেটি মায়ের মৃত্যুর ঝুঁকি তৈরি করতে পারে।
৩. তরুণী কেউ ছয় মাসে আবার গর্ভবতী হলে তার ঝুঁকি আট শতাংশের মতো। এক্ষেত্রে অপরিপক্ব বাচ্চা জন্ম নিতে পারে।
তবে গবেষকরা বলছেন, এ গবেষণাটি সবেচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বেশি বয়সী নারীদের জন্য। যদিও গবেষণাটি পরিচালিত হয়েছে শুধু ক্যানাডায়। তাই এটি কি করে বিশ্বের সর্বত্র প্রয়োগযোগ্য হবে তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।
গবেষক ড. সোনিয়া হার্নান্দেজ বলছেন, গবেষণায় বিভিন্ন বয়সী নারীদের বিভিন্ন ধরণের ঝুঁকির বিষয়টি উঠে এসেছে। তার মতে, অল্প সময়ের ব্যবধানে গর্ভধারণ আসলে অপরিকল্পিত গর্ভধারণেরই বহিঃপ্রকাশ, বিশেষ করে তরুণী মায়েদের ক্ষেত্রে।
এ ক্ষেত্রে করণীয় সম্পর্কে কিছু পরামর্শও দিয়েছেন গবেষকরা, যেগুলো অনুসরণ করলে ঝুঁকি কমতে পারে। তাছাড়া তারা মনে করেন, নারীদের জন্য বিশেষজ্ঞ সহায়তাও আরও সহজলভ্য হওয়া উচিত।
তথ্যসূত্র: বিবিসি
এমএইচ/একে/