মীর কাশেম আলীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর
প্রকাশিত : ১১:৫১ এএম, ৪ সেপ্টেম্বর ২০১৬ রবিবার | আপডেট: ১১:৫১ এএম, ৪ সেপ্টেম্বর ২০১৬ রবিবার
যুদ্ধাপরাধের দায়ে জামায়াত নেতা মীর কাশেম আলীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। শনিবার রাত সাড়ে ১০টায় কাশিমপুর কারাগারে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে তার মৃত্যুদ- কার্যকর করা হয়েছে। এর আগে স্বজনরা তার সঙ্গে শেষ দেখা করেন। ময়না তদন্ত শেষে কাশেমের লাশ তার গ্রামের বাড়ি মানিকগঞ্জে নিয়ে যাওয়া হবে।
শনিবার রাত সাড়ে দশটার পর কার্যকর করা হয় একাত্তরে পাকিস্তানি সেনাদের সহযোগি আল-বদর বাহিনীর চট্রগ্রামের তৎকালীন কমা-ার মীর কাশেম আলীর মৃত্যুদন্ড।
কাশিমপুর কারাগারে জল্লাদ শাহজাহান,দ্বীন ইসলাম, শাহীন,রিপন এই ৪ জল্লাদ মীর কাশেমের ফাঁসি কার্যকরে সহায়তা করেন। গাজিপুরের জেলা প্রশাসক, সিভিল সার্জন, আইজি প্রিজন, জেলা পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিস্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন মৃত্যুদ- কার্যকরের সময়।
ফাঁসির পর, মধ্যরাতেই দাফনের জন্য লাশ নিয়ে যাওয়া হয় মানিকগঞ্জে।
এর আগে বেলা সাড়ে তিনটার পর কারাগারে মীর কাশেমের সাথে দেখা করেন স্বজনেরা। মীর কাসেমের স্ত্রী খন্দকার আয়শা খাতুন, দুই মেয়ে সুমাইয়া রাবেয়া, তাহেরা তাসনীম, দুই পুত্র বধূসহ পরিবারের ৪০জন দেখা করেন তার সাথে। সন্ধ্যা ৭ টার দিকে কারাগার থেকে বেরিয়ে যান তারা।
যুদ্ধাপরাধী কাশেমের ফাঁসির রায়ের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে মঙ্গলবার সকাল থেকেই কাশিমপুর কারাগার ও আশপাশে আইন-শৃংখলা বাহিনীর পক্ষ থেকে নেয়া হয় কঠোর নিরাপত্তা।
দুপুরের পর পর কারাগারের আশপাশের দোকান পাটসহ বিভিন্ন সড়কে যান চলাচল বন্ধ করে দিয়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করা হয়। কারাগার ঘিরে অবস্থান নেয় র্যাব-পুলিশ সদস্যরা, পরে সেখানে টহল দিতে দেখা যায় বিজিবি সদস্যদের।
মীর কাসেম রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চাইবেন না- শুক্রবার এ’ সিদ্ধান্ত জানানোর পর থেকেই চলতে থাকে ফাঁসি কার্যকরের প্রস্তুতি।
শনিবার দুপুরে সরকারের নির্বাহী আদেশ পৌছার পরই শুরু হয় চূড়ান্ত প্রস্তুতি।
মীর কাসেমের ফাঁসির দণ্ড বহাল রেখে রিভিউ রায়ের পর গত মঙ্গলবার রায়ের পূর্ণাঙ্গ কপি পাঠানো হয় কশিমপুর কারাগারে। পরদিন রায় পড়ে শোনানো হয় তাকে।
চট্টগ্রামের কিশোর মুক্তিযোদ্ধা জসিম হত্যার অভিযোগে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুন্যাল কাসেমকে ফাসির দণ্ড দেন। আপিলেও তা বহাল থাকে।