ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৮ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১৪ ১৪৩১

মীর কাসেমসহ এ পর্যন্ত ৬ যুদ্ধাপরাধীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর

প্রকাশিত : ০৪:৩৪ পিএম, ৪ সেপ্টেম্বর ২০১৬ রবিবার | আপডেট: ০৪:৩৪ পিএম, ৪ সেপ্টেম্বর ২০১৬ রবিবার

মীর কাসেমসহ এ পর্যন্ত ৬ যুদ্ধাপরাধীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়েছে। আর মানবতাবিরোধী অপরাধে আরো ১৬ যুদ্ধাপরাধীর করা আপিল সর্বোচ্চ আদালতে নিষ্পত্তির অপেক্ষায় আছে। এরমধ্যে ১৫ জনই দণ্ড কমাতে আপিল করেছেন। আমৃত্যু কারাদণ্ড পাওয়া দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর রায়ের রিভিউ আবেদনও এখন নিষ্পত্তির অপেক্ষায়। এছাড়া ১৭৫ পাকিস্তানি সেনার মানবতাবিরোধী অপরাধের তদন্ত চলছে। চট্রগ্রামের ডেথ ফ্যাক্টরির নামে খ্যাত ডালিম হোটেলের হর্তাকর্তা, একাত্তরের জল্লাদ, বদর কমান্ডার মীর কাসেম আলীর মৃত্যুদন্ড কার্যকর হলো শনিবার। মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে এর আগে কাদের মোল্লা, কামারুজ্জামান, মুজাহিদ, সাকা চৌধুরী ও নিজামীর ফাঁসি কার্যকর হয়েছে। এদিকে, রিভিউ নিষ্পত্তির জন্য আপিল বিভাগে অপেক্ষমান আছে আমৃত্যু কারাদন্ড পাওয়া জামাত নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর আপিলের রায়। সাঈদীর মৃত্যুদন্ডের আর্জি জানিয়ে রাষ্ট্রপক্ষ এবং খালাস  চেয়ে আবেদন করেছেন সাঈদী। সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগে শুনানির অপেক্ষায় রয়েছে-ব্রাক্ষণবাড়িয়ার আওয়ামী লীগের বহিস্কৃত নেতা  মোবারক হোসেন, জাতীয় পাটির্র সৈয়দ মুহম্মদ কায়সার, জামায়াত নেতা রংপুরের এটিএম আজহারুল ইসলামসহ  ১৬টি আপিল। এ ছাড়া যুদ্ধাপরাধের দায়ে ট্রাইব্যুনালের বিচারে পলাতক আবুল কালাম আজাদ বাচ্চু রাজাকার, বদর নেতা চৌধুরী মাইনুদ্দিন ও আশরাফুজ্জামান খানসহ  ১৩ জনের ফাঁসিসহ বিভিন্ন মেয়াদে সাজা হয়েছে। ট্রাইব্যুনালে চলছে ২০টি মামলার কার্যক্রম। চলতি বছর ৪টি মামলায় ২০ জনের রায় ঘোষনা করা হয়েছে। গত ছয় বছরে ট্রাইব্যুনালে আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জামায়াত ও জাতীয় পার্টির একাধিক নেতাসহ ৩৫ জনের বিরুদ্ধে ২৬টি মামলার রায় ঘোষণা করা হয়েছে। এদিকে, পাকিস্তানের ১৯৫ বা তারও বেশী যুদ্ধাপরাধী সেনা কর্মকর্তার তথ্য সংগ্রহ করতে তদন্তকারী কর্মকর্তাদের নিয়ে একটি প্রাথমিক কমিটি গঠন করা হয়েছে। তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ শেষে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলে জানালেন প্রসিকিউটর জেয়াদ আল মালুম।