হরমোন বিশেষজ্ঞদের নিয়ে ঢাকায় আন্তর্জাতিক সম্মেলন শুরু
প্রকাশিত : ০৬:১৭ পিএম, ২ নভেম্বর ২০১৮ শুক্রবার
রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁ হোটেলে শুক্রবার সকালে হরমোন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের নিয়ে দুইদিনব্যাপী আন্তর্জাতিক সম্মেলন ও বার্ষিক সাধারণ সভা শুরু হয়েছে। বাংলাদেশে হরমোন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের প্রধানতম সংগঠন ‘বাংলাদেশ এন্ডোক্রাইন সোসাইটি’ (বিইএস) এই সম্মেলন ও সাধারণ সভার আয়োজন করেছে।
বাংলাদেশ এন্ডোক্রাইন সোসাইটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. মো: ফারুক পাঠানের সভাপতিত্বে সম্মেলন ও বার্ষিক সাধারণ সভার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক ডা. এ কে আজাদ খান।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বলেন, সময়ের পরিক্রমায় বাংলাদেশ এন্ডোক্রাইন সোসাইটি বৃহৎ একটি সংগঠনে রূপ নিয়েছে, যা দেখেই আনন্দ হচ্ছে। তবে এখানেই থেমে থাকলে চলবেনা। এন্ডোক্রাইন সমস্যার প্রতি বর্তমানে পৃথিবীব্যপী ফোকাসের মধ্যে রয়েছে। এ সমস্যা বর্তমানে খুবই কমন। পথ চলায় যতো বাধা আছে, সেসব উতরে সামনে এগিয়ে যেতে হবে।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ এন্ডোক্রাইন সোসাইটি সক্রিয় ভূমিকা পালন করবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।
অধ্যাপক ডা. এসএম আশরাফুজ্জামানের সঞ্চালনায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংগঠনের মহাসচিব অধ্যাপক ডা. হাফিজুর রহমান।
সারা দেশের সকল ডায়াবেটিস ও হরমোন বিশেষজ্ঞ চিকিতসকসহ প্রায় চারশত চিকিৎসক এই সম্মেলনে অনশগ্রহণ করছেন। সম্মেলনে দেশের বাহিরের পাঁচজন এবং দেশের আটজন প্রথিতযশা ডায়াবেটিস ও হরমোন বিশেষজ্ঞ গবেষক তাঁদের বৈজ্ঞানিক প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক ডা. হাজেরা মাহতাব, অধ্যাপক ডা. এ আর খান, অধ্যাপক ডা. জাফর আহমেদ লতিফ, এবং অধ্যাপক ডা. কিশোয়ার আজাদ। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিইএসের সহ-সভাপতি অধ্যাপক ডা. মো. ফরিদ উদ্দিন ও সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. শাহজাদা সেলিম প্রমুখ।
সম্মেলনে প্রচলিত চিকিৎসা পদ্ধতির সাথে আধুনিক চিকিৎসা-ব্যবস্থাপনার সমন্বয় স্থাপনের চেষ্টা করা হয়েছে। দেশীয় গবেষণার সঙ্গে আন্তর্জাতিক গবেষণালব্ধ ফলগুলোর উপস্থাপনায় বাংলাদেশের চিকিৎসকদের আধুনিকতম চিকিৎসা প্রদানের পথ সুগম করবে।
তরুণ চিকিৎসকদের মেধা ও মননসম্পন্ন চিকিৎসা সেবায় ব্রতী হতে বিশ্বব্যাপী এ ধরণের সম্মেলনগুলোকেই সবচেয়ে বড় মাধ্যম হিসেবে গ্রহণ করা হয়। বাংলাদেশের বিপুল সংখ্যক ডায়াবেটিসের রোগী, থায়রয়েডের সমস্যায় আক্রান্ত মানুষ, দৈহিক স্থূলতায় ভোগা লোকজন, হাড়ক্ষয় ও রজঃনিবৃত নারীদের সুচিকিৎসা, সর্বোপরি অসংক্রামক রোগসমূহের প্রতিরোধ ব্যাবস্থা জোরদার করতে এ সম্মেলনলব্ধ জ্ঞান ব্যাপকভাবে কাজে লাগতে পারে বলে সম্মেলনে জানানো হয়।
টিআর/