ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

ভুলেও খাবেন না বাড়িতে অব্যবহৃত অ্যান্টিবায়োটিক

প্রকাশিত : ০২:৪৯ পিএম, ৪ নভেম্বর ২০১৮ রবিবার

নানা কারণে নানা অসুস্থতায় ডাক্তার দেখিয়ে বা না দেখিয়েই অ্যান্টিবায়োটিক আমরা খেয়েই থাকি। একটি সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে, অবশিষ্ট অ্যান্টিবায়োটিক অন্যদের মধ্যে এবং পরিবারের বাইরে কাউকে ব্যবহার করতে দিলে তাতে অ্যান্টিবায়োটিক-প্রতিরোধী সংক্রমণের হার বেড়ে যায়। আমেরিকান আকাদেমি অব পেডিয়াট্রিকসের জাতীয় সম্মেলন ও প্রদর্শনীতে এই ফলাফল উপস্থাপন করা হবে।

লেখক রুথ মিলানাইক বলেন, গবেষণায় দেখা যাচ্ছে অনেক অভিভাবকই প্রেসক্রিপশন ডাইভারসন নামের সমস্যায় জড়িত, প্রায়ই অ্যান্টিবায়োটিক চেয়ে আনা বা আগের প্রেসক্রিপশন দেখে অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়ার প্রবণতা আছে তাদের।

নিউইয়র্কের কোহেন চিলড্রেন মেডিক্যাল সেন্টারের ডা. মিলানাইক বলেন, ‘যার জন্য যে অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়া হয়নি তাকে সেটি দেওয়া শুধু তার জন্যই বিপজ্জনক নয়, সমগ্র জনসংখ্যার জন্য বিপদের কারণ। একসময় শরীর এই অ্যান্টিবায়োটিকে সাড়া দেয় না।’

গবেষণার জন্য, অ্যামাজন মেকানিক্যাল টার্কের মাধমে অনলাইনে ৪৯৬ জন অভিভাবককে প্রশ্নাবলী বিতরণ করা হয়েছিল। প্রায় অর্ধেক (৪৮ দশমিক ২ শতাংশ) অভিভাবক জানিয়েছেন যে তারা সঠিকভাবে সরিয়ে দেওয়ার করার পরিবর্তে অবশিষ্ট অ্যান্টিবায়োটিকগুলো রেখে দিয়েছেন।

তাদের মধ্যে ৭৩ শতাংশ পরবর্তীতে তাদের ভাইবোন, বাচ্চাদের এবং সম্পর্কযুক্ত প্রাপ্তবয়স্কদের এই অ্যান্টিবায়োটিকগুলো দেয়। অনেক সময় দেখা গেছে ওই অ্যান্টিবায়োটিক প্রেসক্রাইব করার বেশ কয়েক মাস বাদে ফের সেগুলো ব্যবহার করা হচ্ছে- চিকিত্সকের পরামর্শ ছাড়াই। অভিভাবকেরা নিজেরাও অবশিষ্ট অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করছেন।

অন্যান্য ফলাফলের মধ্যে

১. অ্যান্টিবায়োটিকগুলোর সর্বাধিক প্রচলিত ধরণের মধ্যে আছে ক্রিম (৬৯ দশমিক ৭ শতাংশ) এবং ট্যাবলেট (৫৫ দশমিক ৬ শতাংশ) তরল (৮০ দশমিক ৪ শতাংশ) এবং ড্রপ (৭৩ দশমিক ৮ শতাংশ)।

২. অ্যান্টিবায়োটিকের যে ডোজ প্রেস্ক্রাইব করা হয়েছিল, সেই একই মাত্রায় ওষুধ দেওয়া হয়েছে অন্যদের, সে শিশু হোক বা বয়স্ক।

৩. সামগ্রিকভাবে ১৬ শতাংশ অংশগ্রহণকারীরা বলেছিলেন যে তারা তাদের সন্তানদের প্রাপ্তবয়স্কদের ওষুধ দিয়েছেন।

মিলানাইক বলেন, কিভাবে অ্যান্টিবায়োটিক কাজ করে, সমস্ত অসুস্থতার জন্য প্রয়োজনীয় নয় এবং পরামর্শ ছাড়াই অ্যান্টিবায়োটিক গ্রহণের ঝুঁকি নিয়ে পরিবারগুলোকে শিক্ষিত করার জন্য আরও বেশি প্রচেষ্টার প্রয়োজন।

মিলানাইক বলেন, ‘যদিও অ্যান্টিবায়োটিক আবিষ্কারের ফলে ওষুধের বিপ্লব ঘটেছে, তাও সংক্রামক রোগগুলোর বিরুদ্ধে কার্যকরী হাতিয়ার হিসেবে এটির সঠিক মাত্রায় ব্যবহার নিশ্চিত করার জন্য চিকিতসকদের গুরুত্ব দেওয়া উচিৎ।’

সূত্র: এনডিটিভি

একে//