বিএনপির সংশোধিত গঠনতন্ত্র গ্রহণ করবে না ইসি
প্রকাশিত : ১১:০৯ এএম, ৬ নভেম্বর ২০১৮ মঙ্গলবার | আপডেট: ১২:৪৪ পিএম, ৬ নভেম্বর ২০১৮ মঙ্গলবার
বিএনপির সংশোধিত গঠনতন্ত্র গ্রহণ করা হবে না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। মঙ্গলবার ইসি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয় কমিশন।
সাংবাদিকদের একথা জানান কমিশন সচিব হেলালুদ্দিন আহমেদ। ইসি সচিবালয়ের তিনি সাংবাদিকদের বলেন, আদালতের দুটি নির্দেশনা ছিল, বিএনপির সংশোধিত গঠনতন্ত্র গ্রহণ না করা এবং এক মাসের মধ্যে আবেদন নিষ্পত্তি করা। নির্বাচন কমিশন আদালতের নির্দেশনা প্রতিপালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ইসির এই সিদ্ধান্ত আবেদনকারী, বিএনপি ও আদালতকে আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হবে।
এরআগে গত বুধবার সাত অনুচ্ছেদ বিলুপ্ত করে বিএনপির সংশোধিত গঠনতন্ত্র গ্রহণ না করতে নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
পাশাপাশি দণ্ডিতরা পদে থাকতে পারবেন না— বিএনপির গঠনতন্ত্র সংশোধনীতে বাদ দেওয়া এমন বিধান কেন বেআইনি ও সংবিধানের ৬৬ (ঘ)-এর পরিপন্থী ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন আদালত।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) ও নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবকে একমাসের মধ্যে এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, বিএনপি তাদের গঠনতন্ত্রের ৭ নম্বর অনুচ্ছেদ বিলুপ্ত করায় রাজধানীর কাফরুলের বিএনপিকর্মী মোজাম্মেল হোসেন সংক্ষুব্ধ হয়ে হাইকোর্টে রিট করেন। রিটের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন মমতাজ উদ্দিন মেহেদী।
বিএনপি নেতারা চেয়ারপারসন ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন দুর্নীতর দায়ে দণ্ডিত হওয়ায় গঠনতন্ত্রের ৭ অনুচ্ছেদ বাতিল করে সংশোধনী আনে এবং সংশোধিত গঠনতন্ত্র নির্বাচন কমিশনে জমা দেয়।
বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়, তাদের ২০১৬ সালের ১৯ মার্চ দলীয় কাউন্সিলে গঠনতন্ত্রে কিছু সংশোধনীর প্রস্তাব অনুমোদিত হয়। সেই সংশোধনীসহ বিএনপির নতুন গঠনতন্ত্র চলতি বছরের ২৮ জানুয়ারি জমা দেওয়া হয় নির্বাচন কমিশনে। তাতে দেখা যায়, বিএনপি তাদের গঠনতন্ত্রের ৭ ধারাটি বিলুপ্ত ঘোষণা করেছে।
‘কমিটির সদস্যপদের অযোগ্যতা’ শিরোনামের ওই ধারায় বলা ছিল, ‘নিম্নোক্ত ব্যক্তিগণ জাতীয় কাউন্সিল, জাতীয় নির্বাহী কমিটি, জাতীয় স্থায়ী কমিটি বা যেকোনো পর্যায়ের যেকোনো নির্বাহী কমিটির সদস্যপদের কিংবা জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলের প্রার্থী হিসেবে ‘অযোগ্য’ বলে বিবেচিত হবেন।
তারা হলেন- (ক) ১৯৭২ সালের রাষ্ট্রপতির আদেশ নম্বর ৮-এর বলে দণ্ডিত ব্যক্তি; (খ) দেউলিয়া; (গ) উন্মাদ বলে প্রমাণিত ব্যক্তি; (ঘ) সমাজে দুর্নীতিপরায়ণ বা কুখ্যাত বলে পরিচিত ব্যক্তি।