ইরান থেকে তেল কিনবে দ. কোরিয়া ও জাপান
প্রকাশিত : ১০:৩৬ এএম, ৭ নভেম্বর ২০১৮ বুধবার
সাময়িক বিরতির পর আবার ইরানের কাছ থেকে তেল ও গ্যাস আমদানি শুরু করার কথা ঘোষণা করেছে দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপান।
মঙ্গলবার দক্ষিণ কোরিয়ার বৃহত্তম তেল শোধন কোম্পানি ‘এসকে ইনোভেশন’র একজন কর্মকর্তা এ কথা জানান।জানুয়ারির শুরু থেকেই তারা ইরানের সাউথ পার্স তেল ও গ্যাস ক্ষেত্র থেকে তেল ও তেলজাত সামগ্রী আমদানি শুরু করবে।
ইরানের অন্যতম বড় তেল ক্রেতা দক্ষিণ কোরিয়া দৈনিক তেহরানের কাছ থেকে প্রায় ১০ লাখ ব্যারেল তেল আমদানি করে। সাম্প্রতিক সময়ে আমেরিকার নিষেধাজ্ঞা থেকে ছাড় আদায়ের লক্ষ্যে দেশটি গত জুলাই মাসে তেল আমদানি কমিয়ে দিয়েছিল।
তেল আমদানি কমিয়ে দেওয়ার কারণে মার্কিন সরকার সোমবার দক্ষিণ কোরিয়াসহ আটটি দেশকে ইরান থেকে তেল আমদানি অব্যাহত রাখার অনুমতি দিয়েছে।
এসকে ইনোভেশন বলেছে, তারা আমেরিকার কাছ থেকে আপাতত ছয় মাসের ছাড় পেয়েছেন এবং এরপর এই মেয়াদ আরো বাড়ানো যাবে বলে আশা করছেন। মার্কিন ছাড়ের ফলে এখন দক্ষিণ কোরিয়া মাসে ইরানের কাছ থেকে ৪০ লাখ ব্যারেল (দৈনিক প্রায় এক লাখ ৩০ হাজার ব্যারেল) তেল কিনতে পারবে।
এদিকে জাপানের অর্থ ও বাণিজ্যমন্ত্রী হিরোশিগে সেকো মঙ্গলবার বলেছে, তার দেশও ইরানি তেল আমদানি আবার শুরু করার প্রস্তুতি নিচ্ছে। জাপানের অন্তত একটি তেল শোধন কোম্পানি এরইমধ্যে ইরানি তেল আমদানি শুরু করার বিষয়টি বিবেচনা করছে।
অন্যদিকে জাপানের বৃহত্তম তেল শোধন কোম্পানি জেএক্সটিজি নিপ্পন অয়েল এন্ড এনার্জি বলেছে, তারা এ বিষয়ে পরিস্থিতি পর্যালোচনা করছে।
জাপান গত বছর ইরারে কাছ থেকে দৈনিক গড়ে প্রায় এক লাখ ৭২ হাজার ব্যারেল তেল আমদানি করেছে। এ ছাড়া, ইরানের দুই প্রধান তেল ক্রেতা ভারত ও চীন ঘোষণা করেছে, আমেরিকা ছাড় না দিলেও তারা ইরানের কাছ থেকে তেল কেনা অব্যাহত রাখত।
গত ৫ নভেম্বর ইরানের তেল রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহাল করে আমেরিকা। তবে আট দেশকে এই নিষেধাজ্ঞার বাইরে রাখা হয়। দেশগুলো হচ্ছে- চীন, ভারত, তুরস্ক, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, ইতালি, গ্রিস ও তাইওয়ান।
তথ্যসূত্র : পার্সটুডে
এমএইচ/