মন খুলে আলোচনা হয়েছে : ওবায়দুল কাদের
প্রকাশিত : ০৩:৪৮ পিএম, ৭ নভেম্বর ২০১৮ বুধবার | আপডেট: ০৪:৪২ পিএম, ৭ নভেম্বর ২০১৮ বুধবার
ফাইল ফটো
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘সংলাপে আমাদের মধ্যে মন খুলে আলোচনা হয়েছে। তাদের অধিকাংশ দাবি-দাওয়া মেনে নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তবে কিছু অযৌক্তিক দাবি মানা সম্ভব না। কারণ আমরা সংবিধানের বাইরে যাব না।’
আজ বুধবার দুপুরে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে দ্বিতীয় দফার সংলাপ শেষে গণভবনের সামনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘নির্বাচন পিছিয়ে অপশক্তিকে সুযোগ দেয়া হবে না। নির্বাচন পিছিয়ে দিলে ফাঁক-ফোঁকর দিয়ে আবার ওয়ান ইলেভেনের মতো অপশক্তি প্রবেশের সুযোগ সৃষ্টি হবে। যা সব দলের জন্য বিপদজনক। এই দাবি অযৌক্তিক।’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেছেন, ‘সংসদ যেদিন বসেছে সেদিন থেকে হিসেব করে সংসদের মেয়াদ শেষ হওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। কিন্তু তারা সংলাপে প্রস্তাব দিয়েছেন নির্বাচন সংসদের মেয়াদ শেষে পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে করার। কিন্তু এটা সংবিধানের বাইরে। তাই আমরা এতে সম্মত হইনি। আর একজন প্রধান উপদেষ্টাসহ ১০ জন উপদেষ্টা রেখে নির্বাচন করার প্রস্তাব গ্রহণযোগ্য নয়। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী তাদের অনুরোধ করেছেন, আপনারা নির্বাচনে আসুন, আমরা দেখিয়ে দেবো এই সরকারের অধীনেই একটি অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব। এরপর যদি আপনারা জিতেন আপনারা ক্ষমতায় আসবেন, আর আমরা জিতলে আমরা আসবো।’
কাদের বলেন, ‘নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি, তাদের নেতাদের মুক্তি প্রভৃতি দাবি মেনে নিতে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। এছাড়া আমাদের মন্ত্রী-এমপিরা নিজেরা কোনো সরকারি গাড়ি, পতাকা ব্যবহার করবে না, কোনো সরকারি সুবিধা নেবে না, এমপিদের কোনো ক্ষমতা থাকবে না। অন্য প্রার্থীরা যে সুযোগ-সুবিধা পাবেন, তারাও সেটা পাবেন। এর অতিরিক্ত কিছু হবে না।’
রাজবন্দীর মুক্তি এবং লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড প্রস্তুতসহ ঐক্যফ্রন্টের দাবি দাওয়া মেনে নেওয়া হয়েছে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘তাদের দাবি-দাওয়া মেনে নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তবে তারা আজকে আরও কিছু দাবি দাওয়া তুলে ধরেছেন। সেগুলো মানতে গেলে নির্ধারিত ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন সম্ভব নয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘তারা সেনাবাহিনীর ম্যাজিস্ট্রেসি নিয়ে যেটা বলেছে সেটা হবে না। পৃথিবীর কোনো দেশে সেটা হয় না। তবে নির্বাচনে সেনাবাহিনী স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে থাকবে।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, সত্যিকারের রাজবন্দিদের মুক্তির বিষয়ে আপিত্তে নেই সরকারের। আগামীকাল সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বিস্তারিত তুলে ধরবেন প্রধানমন্ত্রী।
এসএ/