আশুলিয়ায় নারী পাচারকারী চক্রের ৪ সদস্য আটক
প্রকাশিত : ০৬:১৯ পিএম, ৭ নভেম্বর ২০১৮ বুধবার
ঢাকার অদূরে আশুলিয়ায় নারী পাচারকারী চক্রের চার সদস্যকে আটক করেছে পুলিশ। এসময় পাচারের জন্য নিয়ে আসা এক নারীকেও উদ্ধার করা হয়েছে। বুধবার ভোররাতে আশুলিয়ার পলাশবাড়ী এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে আটক করা হয়েছে।
আটককৃতরা হলো- মানিকগঞ্জ জেলার সদর থানার চর কৃষ্ণপুর গ্রামের মৃত নুর হাদীর ছেলে আলী হোসেন (৪৮), একই জেলার দৌলতপুর থানার চরকাদারি গ্রামের মৃত মানিক মোল্লার ছেলে আহাম্মেদ আলী (৩৫), একই গ্রামের ইউসুফ মোল্লার ছেলে সুরুজ মোল্লা (২৮) এবং বাগুটিয়া গ্রামের মোঃ আসমত আলীর ছেলে মোঃ জব্বার শেখ (৩২)।
মানব পাচারকারীদের কাছ থেকে উদ্ধার করা নারীর নাম মরিয়ম আক্তার (২০) আশুলিয়ার গাজীরচট আলিয়া মাদ্রাসা এলাকায় ভাড়া থেকে স্থানীয় এসবি গার্মেন্টস এ চাকুরী করতেন।
ভুক্তভোগী মরিয়ম আক্তার বলেন, আমার বান্ধবী তাসলিমা আক্তারের মাধ্যমে আটককৃতদের একজনের সাথে আমার পরিচয় হয়। পরিচয়ের সুবাদে সে আমাকে বিভিন্ন সময় ঘুরতে যাওয়ার কথা বলতো। একপর্যায়ে মঙ্গলবার আমাকে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে আসে এবং গাড়িতে উঠিয়ে বিভিন্ন স্থানে ঘুরাতে থাকে। এক সময় সে আমাকে তার সাথের আরো তিনজনের সাথে পরিচয় করিয়ে দেয় এবং বলে আমাকে বিদেশে ভাল চাকুরীতে পাঠাবে। এতে কোন টাকা খরচ হবে না, সব খরচ তারাই বহন করবে। আমি বাসায় যেতে চাইলে তারা আমাকে যেতে দেয়নি।
আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ রিজাউল হক দিপু বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পেয়ে আশুলিয়ার পলাশবাড়ি এলাকায় অভিযান চালিয়ে নারী পাচারকারী চক্রের চার সদস্যকে আটক করা হয়েছে। এসময় পাচারের জন্য নিয়ে আসা এক নারীকে উদ্ধার করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আটককৃতরা দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন এলাকা থেকে নারীদেরকে প্রলোভন দেখিয়ে ভারতে পাচার করে আসছিলো। আটককৃতদের ব্যবহৃত মুঠোফোন থেকে পাঁচ শতাধিক নারীর ছবি উদ্ধার করা হয়েছে। এসব ছবিকে তারা গ্রাফিক্স এর মাধ্যমে আকর্ষনীয় করে ভারতে পাঠিয়ে থাকে। সেখান থেকে সংকেত পাওয়ার পর দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে নারীদেরকে পাচার করে দেয় এই চক্রের সসদস্যরা।
এঘটনায় আশুলিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং এই চক্রের অন্যান্য সদস্যদের আটক করতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
আরকে//