ইবির ‘সি’ ইউনিটে প্রশ্নপত্রে অসঙ্গতির ঘটনায় তদন্ত কমিটি
ইবি সংবাদদাতা
প্রকাশিত : ০৭:৫০ পিএম, ৭ নভেম্বর ২০১৮ বুধবার
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) ভর্তি পরীক্ষায় ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদভুক্ত ‘সি’ ইউনিটের প্রশ্নপত্রে অসঙ্গতির ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করেছে কর্তৃপক্ষ। একই সাথে ওই ইউনিটের পরীক্ষা কমিটি বাতিল করা হয়েছে।
মঙ্গলবার রাতে এ সিন্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে বলে ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এস, এম আব্দুল লতিফ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, গত সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদভুক্ত ‘সি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে হিসাব বিজ্ঞানের অংশে ব্যবসায় শিক্ষার প্রশ্ন এবং ব্যবসায় শিক্ষার অংশে হিসাব বিজ্ঞানের প্রশ্ন ছাপা হয়। ফলে এলোমেলো হয়ে যায় প্রশ্নপত্র এবং উত্তরপত্রের নম্বর বিন্যাস। এতে বিপাকে পড়েছে শিক্ষার্থীরা। তৎক্ষণাত নির্দিষ্ট সিন্ধান্ত দিতে পারেনি পরীক্ষকরা। কোন কক্ষে হিসাব বিজ্ঞান কেটে ওই অংশে ব্যবসায় শিক্ষা এবং কোন কক্ষে প্রশ্নপত্র অনুযায়ী পরীক্ষা দেয় শিক্ষার্থীরা। ঘটনার পর ওই দিন সন্ধ্যায় অনুষদীয় কমিটির সভায় অধিকাংশ শিক্ষক পরীক্ষাটি বাতিল করে পুণরায় পরীক্ষা নেওয়ার এবং অসঙ্গতির কারণ খতিয়ে দেখার সুপারিশ করেন।
গতকাল দুপুরে কেন্দ্রীয় ভর্তি পরীক্ষা কমিটি সভা করে। এ সভায়ও অধিকাংশ শিক্ষক পরীক্ষা বাতিলের পরামর্শ দেন বলে জানা গেছে। তবে পরীক্ষা বাতিল না করে পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেছে কর্তৃপক্ষ। কমিটিতে মার্কেটিং বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. জাকারিয়া রহমানকে আহবায়ক এবং সদস্য হিসেবে রয়েছেন ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধ্যাপক ড. সাইফুল ইসলাম, আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. জহুরুল ইসলাম, ইনফরমেশন এন্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড.পরেশ চন্দ্র বর্মন, হিসাব বিজ্ঞান ও তথ্য পদ্ধতি বিভাগের অধ্যাপক ড. জাকির হোসেন। কমিটিকে পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন প্রদান করতে বলা হয়েছে।
এছাড়াও ‘সি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা কমিটি বাতিল করে অধ্যাপক ড. জাকারিয়া রহমানকে আহবায়ক করে তিন সদস্য বিশিষ্ট কমিটি করেছে কর্তৃপক্ষ। কমিটিতে হিসাব বিজ্ঞান বিভাগে অধ্যাপক ড. মিজানূর রহমান এবং অধ্যাপক ড. সাইফুল ইসলামকে সদস্য করা হয়েছে।
এ বিষয়ে একাধিক শিক্ষক জানায়, তদন্ত কমিটিতে থাকা শিক্ষকরাও অনুষদীয় সভায় পরীক্ষা বাতিলের সুপারিশ করেছেন। প্রশাসন শুধুমাত্র নিজেদের ভাবমূর্তি রক্ষার জন্য পরীক্ষা বাতিল করেনি। এছাড়াও দীর্ঘদিন পর পরীক্ষা গ্রহণ করলে নতুন সমস্যা তৈরি হবে বলেও জানান তারা।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন-উর-রশিদ আসকারী বলেন,আমরা সঙ্গে সঙ্গে কোন সিন্ধান্ত গ্রহণ করে নতুন কোন সমস্যা তৈরি করতে চাইনি। তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। প্রতিবেদন পেলে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। তবে পরীক্ষায় অংশগ্রহনকারী শিক্ষার্থীদের কারও প্রতি অবিচার করা হবে না।
কেআই/এসি