ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

১০৯ নম্বরে ফোন করে নির্যাতন থেকে রক্ষা পেল মিষ্টি

প্রকাশিত : ১১:২৮ পিএম, ৭ নভেম্বর ২০১৮ বুধবার

নারী ও শিশুর সহায়তার জাতীয় হেল্পলাইন ১০৯ নম্বরে ফোন করে স্বামীর নির্যাতন থেকে রক্ষা পেল মাফিয়া আক্তার মিষ্টি নামে (১৪) এক স্কুল ছাত্রী। নির্যাতনের অভিযোগে মঙ্গলবার বিকালে মেয়েটির স্বামী মাসুদকে ১ মাসের কারাদন্ড দেন ভ্রাম্যমান আদালতে ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. তোফাজ্জল হোসেন।

মাফিয়া আক্তার মিষ্টি নবাবগঞ্জ উপজেলার শিকারীপাড়া গ্রামের শেখ লতিফের মেয়ে এবং দাউদপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী। আটককৃত মাসুদ মানিকগঞ্জের নুকুল মৃধার ছেলে। সে শিকারীপাড়া একটি ইট ভাটায় শ্রমিকের কাজ করতো।

মাফিয়া আক্তার মিষ্টি জানান, গতমাসের ১০ তারিখ তার বাবা জোর করে মাসুদের সাথে তার বিয়ে দিয়ে দেন। বিয়ের পর থেকেই স্বামী তাকে শারীরিক নির্যাতন করতে থাকে। স্বামীর হাত থেকে রক্ষা পেতে গত রোববার সে বাবার বাড়িতে চলে আসে। পরের দিন সোমবার স্কুলে গিয়ে সহপাঠিদের বিষয়টি জানায়। সহপাঠিদের পরামর্শে সোমবার বিকালে ১০৯ নম্বরে ফোন করে নির্যাতনের বিষটি জানান মিষ্টি। ঐদিনই সন্ধ্যায় শিকারীপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান আলীমূর রহমান খান পিয়ারা মেয়েটির বাসায় যান এবং তার বাবাকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে দেখা করতে বলেন।

মঙ্গলবার মিষ্টি ও তার বাবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তোফাজ্জল হোসেনের সাথে দেখা করে সব তথ্য দিলে মাসুদকে আটক করে পুলিশ। পরে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে মাসুদকে এক মাসের কারাদন্ড দেন ইউএনও। একই সময় ইউএনও মিষ্টিকে কলাকোপা ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব ইব্রাহিম খলিলের হাতে তুলে দেন। পরে ইউপি চেয়ারম্যান ইব্রাহিম খলিল অভিভাবক হয়ে মিষ্টিকে নিজ খরচে কাশিমপুর মহিলা মাদ্রাসায় ভর্তি করে দেন।

দাউদপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অনিল কুমার চক্রবর্তী বলেন, আমি মেয়েটির বাবাকে বাল্য বিবাহ দিতে নিষেধ করেছিলাম।
এবিষয়ে নবাবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তোফাজ্জল হোসেন বলেন, সোমবার বিকালে মহিলা ও শিশু মন্ত্রনালয় থেকে ফোন করে বিষয়টি আমাকে জানানো হয়। আমি দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করি এবং ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে মাসুদকে এক মাসের জেল দেওয়া হয়।

আরকে//