ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৮ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১৪ ১৪৩১

নির্বাচনী প্রচারনায় সংখ্যালঘু নিরাপত্তা থাকতে হবে: রাশেদ খান মেনন

প্রকাশিত : ০৪:৩৮ পিএম, ৮ নভেম্বর ২০১৮ বৃহস্পতিবার

সমাজকল্যাণ মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন বলেছেন, প্রত্যেক এলাকার সব স্তরের রাজনৈতিক নেতৃত্বের দায়িত্ব সে এলাকার সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা দেয়া। দেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে একটি বৈষম্য বিরোধী আইন ও সংখ্যালঘু কমিশন গঠিত হবে। পাকিস্তান শাসনামল থেকেই সংখ্যালঘুদের উপর নির্যাতন চলে আসছে, যা অস্বীকার করার কোন উপায় নেই।

বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে মানবাধিকার সংগঠন শারি’র আয়োজনে “জাতীয় নির্বাচন ২০১৮ ও সংখ্যালঘু নিরাপত্তা” শীর্ষক এক গোলটেবিল আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, বিভিন্ন ক্ষেত্রেই এখন আমাদের মধ্যে সাম্প্রদায়িকতার প্রকাশ ঘটছে। ২০০১ সালের নির্বাচনে সারাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতনের ঘটনা ঘটলেও সরকার এর কোন দায় না নিয়ে বরং দেশে কোন ঘটনা ঘটে নাই বলে প্রচারনা চালিয়েছিল। এখনও পর্যন্ত বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নির্বাচনী প্রচারনায় সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তার বিষয়টি গুরুত্ব পাচ্ছে না।
তিনি বলেন, জামায়াত বিএনপি এদেশে ক্ষমতায় থাকাকালীন দেশে একটি অশ্বস্তির পরিস্থিতির সৃষ্টি করে। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পরে সেই ঘটনার অবসান ঘটানো হয়েছে। তবে এখন সমাজের বিভিন্ন স্থানে ঘাপটি মেরে থাকা সাম্প্রদায়িক ব্যাক্তিরা বিভিন্ন জায়গায় সহিংস ঘটনা ঘটাচ্ছে।

শারি’র নির্বাহী পরিচালক প্রিয় বালা বিশ্বাসের সভাপতিত্বে গোলটেবিল আলোচনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হক, মানবাধিকারকর্মী এ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল, বাংলাদেশ হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রীষ্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট রানা দাশগুপ্ত, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ফরিদা ইয়াসমিন, মানবাধিকারকর্মী ড. মেঘনা গুহ ঠাকুরতা, দৈনিক সংবাদের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক খন্দকার মুনীরুজ্জামান, দৈনিক আমাদের নতুন সময়ের যুগ্ম সম্পাদক বিভুরঞ্জন সরকার, বাংলাদেশ খ্রীষ্টান ঐক্য পরিষদ সভাপতি নির্মল রোজারিও।

দৈনিক ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্তর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সংখ্যালঘু নির্যাতন সংক্রান্ত ধারনাপত্র উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক মেসবাহ কামাল। অনুষ্ঠানে দিনাজপুর এবং বরিশালে ২০০১ এবং ২০১৪ সালে সংঘটিত সংখ্যালঘু নির্যাতনের এলাকার থেকে নির্যাতনের শিকার রনজিত কুমার রায়, পুরেন দাস, সংবাদকর্মী কল্যাণ কুমার চন্দ, সংবাদকর্মী আজহারুল আজাদ জুয়েল এবং খালেদা আক্তার হেনা তাদের নির্যাতনের কথা তুলে ধরেন।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হক বলেন, এখনও পর্যন্ত দেশে জাতীয় নির্বাচনের সময় নিরাপদ পরিবেশ সৃষ্টি করা সম্ভব হয়নি। এটা নির্বাচনী কাজের সাথে জড়িতদের ব্যর্থতা। সংখ্যালঘুদের হতাশ হলে চলবে না, নিজেদের দাবি আদায়ে নিজেদেরকেই এগিয়ে আসতে হবে।

মানবাধিকারকর্মী সুলতানা কামাল বলেন, আগামী নির্বাচনে কোন সাম্প্রদায়িক ব্যাক্তিকে কেউ মনোনয়ন দিবেন না। কারন ওই সব সাম্প্রদায়িক ব্যাক্তিরাই সাম্প্রদায়িকতা ছড়ায়। যদি দেয়া হয়, তাহলে তাকে প্রতিরোধ করার জন্য তিনি সবাইকে এগিয়ে আসার আহবান জানান।

আরকে//