ঢাকা, মঙ্গলবার   ১৫ অক্টোবর ২০২৪,   আশ্বিন ২৯ ১৪৩১

কীভাবে বুঝবেন স্ট্রোক হয়েছে?

প্রকাশিত : ১১:৫০ এএম, ৯ নভেম্বর ২০১৮ শুক্রবার

স্ট্রোক বর্তমানে খুবই পরিচিত একটি রোগ। এটি সাধারণত দু’ধরণের হয়ে থাকে। ব্রেন ও হার্ট স্ট্রোক। হার্ট অ্যাটাকের ক্ষেত্রে হৃদযন্ত্রের রক্তনালীতে বাঁধা হল মূল কারণ। রক্ত চলাচলের নালীগুলো বন্ধ হয়ে যায়। সঠিক পরিমাণ রক্ত হৃদপিণ্ডে না পৌঁছনোর কারণে দিনের পর দিন হৃদযন্ত্র খারাপ হতে থাকে।

ব্রেন অ্যাটাকের মূল কারণও একই। মাথায় থাকা সূক্ষ্ম রক্তনালী গুলি দিয়ে রক্ত চলাচল সঠিক পদ্ধতিতে না হলেই ব্রেনের কিছু অংশে রক্ত পৌঁছতে পারে না। ফলে সেই জায়গাটি অকেজো হতে শুরু করে।

এরপরই ব্রেন তার কাজ করা বন্ধ করতে আরম্ভ করে। এক্ষেত্রে ভয়ের কারণ হল ব্রেনটি একবার নষ্ট হতে শুরু করে তার কর্মক্ষমতা আর কখনও ঠিক করা সম্ভব হয়না। এরপরই দেখা দিতে থাকে শরীরের নান রকম সমস্যা।

নীচে কিছু স্ট্রোকের চিহ্নিতকরণের জন্য সংকেত দেওয়া হল যা দেকে আপনি বুঝতে পারবেন আপনার বা আপনার পাশের মানুষটি বড়সড় স্ট্রোকের কবলে পড়তে চলেছেন।

মুখ বিকৃতি

যখন মুখের একটা দিক বেঁকে যাবে কিমবা তার পেশি গুলি নড়াচড়া করানো সম্ভব হবেনা৷ কখনও বা সেই ব্যক্তি হাসলে বা কথা বলতে গেলেও এই রকম বিকৃতি লক্ষ্য করা যেতে পারে।

হাতে জোর না পাওয়া

মুখ বিকৃতির পাশাপাশি আরও একটি সংকেত হল হাতে সমান জোর না পাওয়া৷ যখন কোনও ব্যক্তি দু হাত তুলে হাত সোজা করতে গিয়ে দেখছেন তার এক হাত সোজা থাকলেও অপর হাতটিতে তেমন জোর নেই বা সেটি পড়ে যাচ্ছে সেই হাতে বল নেই সেটিও স্ট্রোকের অশনি সংকেত হতে পারে৷

কথা বলতে অসুবিধা

যখন কোনও ব্যক্তির কথা বলতে গিয়ে অসুবিধা হবে৷ শব্দ উচ্চারণ স্পষ্ট হবে না৷ এবং পাশের যে ব্যক্তির সঙ্গে তিনি কথা বলছেন তিনি তার কথা বুঝতে পারবেন না৷ কথা জড়িয়ে যাবে৷

এছাড়াও হঠাৎ অসম্ভব মাথার যন্ত্রণা শুরু হওয়া, হঠাৎ দুর্বলতা, মুখের প্যারালিসিস, হাত ও হাতের তালুতে জোর চলে যাওয়া, পায়ে জোর না পাওয়া ও শরীরের এক পাশে পক্ষাঘাত৷

তথ্যসূত্র : কলকাতা২৪×৭

এমএইচ/