খাদ্য তালিকায় তেঁতুল রাখবেন যে কারণে
প্রকাশিত : ১২:৫২ পিএম, ৯ নভেম্বর ২০১৮ শুক্রবার
চাটনি, ফুচকাকে মুখরোচক করতে বা গৃহস্থালীর নানা কাজে তেঁতুলের ব্যবহারের কথা তো সকলেই জানেন। কিন্তু তেঁতুলের যে স্বাস্থ্যকর আরও কিছু দিক রয়েছে, তা কি জানেন?
তেঁতুলের স্বাস্থ্যকর নানা দিকের কথা জানলে প্রতি দিনের ডায়েটে রাখতেই পারেন তেঁতুল।
ভারতের পুষ্টিবিদ সুমেধা সিংহ জানান,‘তেঁতুলের ভেষজ গুণ ও পুষ্টিমাত্রা জ্বর, প্রদাহ বাত ইত্যাদি রোগ কমাতে সাহায্য করে। তেঁতুলের উপকারী দিকের কথা মাথায় রেখে চিকিৎসকরাও নানা অসুখের পথ্য হিসাবে এটি খেতে দেন।
তবে অবশ্যই পরিমিত পরিমাণে তেঁতুল খাওয়া উচিত, তা না হলে হিতে বিপরীত হতে পারে। এ ছাড়াও যারা তেঁতুলের টারটারিক অ্যাসিড সহ্য করতে পারেন না তাদের এটি এড়িয়ে চলাই উত্তম। তবে তেমন কোনও সমস্যা না থাকলে প্রতি দিনের ডায়েটে তেঁতুল রাখতে পারেন।
এবার আসুন জেনে নেওয়া যাক তেঁতুলের ভেষজ গুণ ও পুষ্টিমাত্রা-
*তেঁতুলে থাকা অ্যান্টিইনফ্লেমেটরি উপাদান পরোক্ষ উপায়ে শরীরের শর্করার মাত্রাকে নিয়ন্ত্রণ করে। তেঁতুলে উপস্থিত উৎসেচক শর্করার শোষণ মাত্রা কমিয়ে দিয়ে শর্করা নিয়ন্ত্রণে অংশ নেয়। ফলে ডায়াবিটিসকে অনেকটাই প্রতিরোধ করে তেঁতুল।
*তেঁতুলে উপস্থিত ডায়াটারি ফাইবার হজমে সাহায্য করে। এ ছাড়া তেঁতুলে বিপুল পরিমাণে বিলিয়াস সাবস্ট্যান্স থাকায় তা হজম প্রক্রিয়াকে ঠিক মাত্রায় রাখে। ফলে পরিমাণ বুঝে তেঁতুল খেলে তা পেটের অসুখ কমাতে সাহায্য করে।
*তেঁতুল গাছের পাতা এবং ছালে অ্যান্টিসেপটিক ও অ্যান্টিব্যাকটিরিয়াল উপাদান থাকে, ফলে ক্ষত সারিয়ে তুলতে সাহায্য করে।
*একাধিক গবেষণায় প্রমাণিত, তেঁতুলে থাকা নানা ভিটামিন এবং খনিজ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে। রক্তে উপস্থিত মন্দ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতেও বিশেষ ভূমিকা নেয়। তাই হৃদরোগের সমস্যা প্রতিরোধে তেঁতুল কার্যকর।
*তেঁতুল শরীরে ফাইবারের মাত্রা বৃদ্ধি পায়, ফলে ক্ষিদে কমে যায়। ফলত ওজন হ্রাসে এটি অত্যন্ত উপকারী।
তথ্যসূত্র : আনন্দবাজার
এমএইচ/