জাবিতে ‘তরী’র দশকপূর্তি ও পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত
প্রকাশিত : ১০:১৩ পিএম, ৯ নভেম্বর ২০১৮ শুক্রবার | আপডেট: ১০:১৫ পিএম, ৯ নভেম্বর ২০১৮ শুক্রবার
‘শিক্ষা, আলো, স্বপ্ন মনে; এসো মিলি তরীর টানে’ স্লোগানকে ধারণ করে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘তরী’র দশক পূর্তি ও প্রথম পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত হয়েছে। সংগঠনটি সুবিধাবঞ্চিত, দরিদ্র, অসহায়, ছিন্নমূল ও পথশিশুদের পাঠদান ও তাদের মৌলিক অধিকার বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে।
শুক্রবার সকালে ‘তরী’র দশক পূর্তি ও প্রথম পুনর্মিলনীতে ‘তরী’র শিশুদের উপহার দেওয়া হয়। সকাল ১০টায় বর্ণাঢ্য আনন্দ র্যালি বিশ্ববিদ্যালয়ের অমর একুশের পাদদেশ থেকে শুরু হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে কেক কেটে অনুষ্ঠানের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ঘোষণা করেন ‘তরী’র প্রধান উপদেষ্টা ও ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের পরিচালক অধ্যাপক বশির আহমেদ।
এসময় যেসব শিক্ষার্থী সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের পাশে দাঁড়িয়েছে তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বশির আহমেদ বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা পড়াশোনা ও ব্যক্তিগত নানা ব্যস্ততার মধ্যেও সমাজের সুবিধাবঞ্চিত মানুষদের কথা ভুলে যায়নি। বরং সমাজের মানুষের প্রতি মনুষ্যত্বের দায়বদ্ধতা থেকে তারা সমাজসেবামূলক কাজ করে যাচ্ছে।”
“তরী আজকে এক দশক পূর্তি উদযাপন করছে। তাঁদের এ অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকবে। যতদিন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থাকবে ততদিন ‘তরী’ থাকবে। শুধু এই বিশ্ববিদ্যালয়েই নয়, সারাদেশে ‘তরী’র এ অগ্রযাত্রা বিকশিত হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন অধ্যাপক বশির আহমেদ।”
সকাল এগারোটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের গাণিতিক ও পদার্থবিষয়ক অনুষদের সামনে গাছের চারা রোপন করা হয়। সাড়ে ১১টা থেকে কেন্দ্রীয় ক্যাফেটেরিয়া চত্ত্বরে শিশুদের খেলাধুলা, সাবেক ও বর্তমান স্বেচ্ছাসেবকদের মোরগ লড়াই, বালিশ বদল খেলার আয়োজন করা হয়।
বেলা ২টা থেকে জহির রায়হান মিলনায়তনের সেমিনার কক্ষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় শিশুদের বিভিন্ন পরিবেশনা ছাড়াও তরী নিয়ে নাটিকা, সম্মাননা, সাবেক স্বেচ্ছাসেবীদের বক্তব্য ও স্মৃতিচারণ, অতিথিদের বক্তব্য এবং সবশেষে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ‘তরী’র প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক বশির আহমেদ। দশক পূর্তি ও প্রথম পুনর্মিলনীকে কেন্দ্র করে এরই মধ্যে তরী প্রকাশ করেছে ‘নাবিক’ নামে সুভ্যেনির।
২০০৮ সালের ২৯ এপ্রিল থেকে ‘আলোর পথে আমরা’ স্লোগানকে ধারণ করে জাবি ক্যাম্পাসে পথচলা শুরু করে তরী। ক্যাফেটেরিয়া চত্বরে আনুষ্ঠানিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের একঝাঁক স্বেচ্ছাসেবী তরুণ-তরুণীদের হাতে গড়ে ওঠে এ সংগঠনটি। সুবিধাবঞ্চিত, দরিদ্র, অসহায়, ছিন্নমূল ও পথশিশুদের পাঠদানের মাধ্যমে শুরু হলেও বর্তমানে তরীর শিশুদের খাতা, কলম, ব্যাগ, স্কুলের পোশাক, শীতের পোশাক ও বিনা মূল্যে চিকিৎসা সেবা দেওয়া হয়ে থাকে।
আরকে//