ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৮ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১৪ ১৪৩১

জিকা ভাইরাসে আগাম সতর্কতামূলক ব্যবস্থা

প্রকাশিত : ১০:০৩ এএম, ৮ সেপ্টেম্বর ২০১৬ বৃহস্পতিবার | আপডেট: ১০:০৩ এএম, ৮ সেপ্টেম্বর ২০১৬ বৃহস্পতিবার

জিকা ভাইরাসে এখনো দেশে কেউ আক্রান্ত না হলেও আগাম সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিয়েছে সরকার। পাশাপাশি জিকা আক্রান্ত দেশে অবস্থানকারী প্রবাসীদেরকে ভাইরাস পরীক্ষার পর করে দেশে আসার আহ্বান জানানো হয়েছে। এদিকে কেউ আক্রান্ত হলেও পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিলে এক সপ্তাহের মধ্যে সুস্থ হওয়া সম্ভব বলে জানান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পারিচালক। তিনি বলেছেন, জিকা ভাইরাস নিয়ে আতংকিত হওয়ার কিছু নেই, তবে সতর্ক থাকতে হবে। আফ্রিকার দেশ উগান্ডায় ১৯৪৭ সালে জিকা ভাইরাসের সন্ধান মেলে। তবে ১৯৬৮ সালে প্রথম নাইজেরিয়াতে মানুষের শরীরে এই ভাইরাসের অস্তিত্ব পাওয়া যায়। এরপর সমগ্র বিশ্বে ছড়িয়ে পড়তে থাকা এই ভাইরাসটি সাম্প্রতিক সময়ে দেশে দেশে আতংকের বিষয় হয়ে দাড়িয়েছে। গেল বছর জিকা ভাইরাস ব্যাপকভাবে ছাড়িয়ে পড়ে ব্রাজিলে। ফলে গর্ভবতী নারীদের ছোট মাথার বাচ্চা জন্মের হার বেড়ে যায়। শুধুমাত্র ব্রাজিলে দেড় বছরে সাড়ে তিনহাজার ছোট মাথার শিশু জন্ম নেয়, যাদের মস্তিস্কের বড় অংশ তৈরীই হয়নি। রোগটি মশাবাহিত হওয়ায় বিভিন্ন দেশে দ্রুত ছাড়িয়ে পড়ছে। এই অবস্থায় জিকা ভাইরাস মোকাবেলায় কতটা প্রস্তুত বাংলাদেশ? কথা হয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগতত্ত্ব বিভাগের পরিচালক শামছুজ্জামানের সঙ্গে। তিনি বলেন, এয়ারপোর্টসহ বাংলাদেশে প্রবেশের সবগুলো পয়েন্টে কাজ করছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তররের দায়িত্ব প্রাপ্তরা। গর্ভবতি মা ছাড়া অন্য কারো এই রোগে ক্ষতি হওয়ার কোন সম্ভবনা নেই বলেও জানান তিনি। তবে প্রবাসি বাংলাদেশীদের দেশে আসার আগে জিকা ভাইরাস পরীক্ষা করে আসার আহ্বান জানান তিনি। জিকা ভাইরাসের কোন রোগি দেখা গেলে সঙ্গে সঙ্গে প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেয়ার প্রস্তুুতি রয়েছে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।