ঢাকা, শনিবার   ০৫ অক্টোবর ২০২৪,   আশ্বিন ২০ ১৪৩১

ক্যালিফোর্নিয়ায় হামলাকারী আফগানফেরত মেরিন সেনা

প্রকাশিত : ১১:৪৩ পিএম, ১০ নভেম্বর ২০১৮ শনিবার

যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় মিউজিক বারে বন্দুক হামলাকারীর পরিচয় পাওয়া গেছে। ওই ব্যক্তির নাম ইয়ান ডেভিড লং। ২৮ বছর বয়সী ইয়ান ডেভিড সাবেক মেরিন সেনা।

জানা গেছে, কয়েক বছর তিনি আফগানিস্তানেও লড়াই করেছেন। মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিলেন তিনি। কর্মকর্তারা বলছেন, বুধবার রাতে ক্যালিফোর্নিয়ার বর্ডারলাইন বার অ্যান্ড গ্রিল নামের মিউজিক বারে ইয়ান ডেভিডের এলোপাতাড়ি গুলিতে এক পুলিশ কর্মকর্তাসহ ১২ জন মারা যান। আহত হন ২৩ জন। পুলিশ পরে মৃতদের মধ্য থেকে ইয়ান ডেভিডেরও মরদেহ উদ্ধার করে।

পেন্টাগন সূত্র জানায়, ইয়ান ডেভিড ২০০৮ সালের আগস্ট থেকে ২০১৩ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত মার্কিন মেরিন কোরে কর্মরত ছিলেন। তিনি নৌবাহিনীতে করপোরাল পদবি পেয়েছিলেন। ২০১০ সালের নভেম্বর থেকে ২০১১ সালের জুন মাস পর্যন্ত তিনি আফগানিস্তানে কর্মরত ছিলেন। সেখানে তিনি লড়াইও প্রত্যক্ষ করেছেন।

পুলিশ গত বৃহস্পতিবার থাউজ্যান্ড ওকসের কাছে নিউবুরি পার্কে ইয়ান ডেভিড লংয়ের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছে। ওই বাড়িতে ইয়ান ডেভিড মায়ের সঙ্গে থাকতেন।

ভেঞ্চুরা কাউন্টি শেরিফ জিওফ ডিন বলেছেন, বারের ভেতরের একটা কক্ষে পুলিশ লংয়ের মরদেহ খুঁজে পায়। সম্ভবত তিনি আত্মহত্যা করেছেন।

জিওফ ডিন বলেছেন, কী উদ্দেশ্যে এই হামলা চালানো হয়েছে, এখনো বলা যাচ্ছে না। তবে এটা নিশ্চিত যে তার মাথার মধ্যে কিছু একটা ঘুরপাক খাচ্ছিল, যার কারণে তিনি এমনটা করেছেন। তিনি পয়েন্ট ফোরফাইভ পিস্তল নিয়ে হামলা করেন। বৈধভাবেই তিনি এটা কিনেছিলেন।

জিওফ ডিন আরো জানান, গত কয়েক বছরে পুলিশের পক্ষ থেকে ইয়ান ডেভিডের সঙ্গে রাস্তার একটি দুর্ঘটনাসহ বেশ কয়েকটি ছোট ছোট ঘটনায় তার সঙ্গে কয়েকবার যোগাযোগ করা হয়। ২০১৫ সালে একটি বারে তিনি মারধরের শিকার হয়েছিলেন। গত এপ্রিলে যখন পুলিশ তার বাসায় যায়, তখন তার আচরণ ছিল খানিকটা অযৌক্তিক। তখন ধারণা করা হয়, তিনি পোস্ট ট্রমাটিক স্ট্রেস ডিজঅর্ডারে (পিটিএসডি) ভুগছেন। কারণ এ ধরনের যুদ্ধফেরত সেনাদের ক্ষেত্রে এমনটা হয়ে থাকে।

গত বছর যুক্তরাষ্ট্রের লাস ভেগাসে ভয়াবহ বন্দুক হামলায় প্রাণে বেঁচে যান টেলেমাচুস অরফানোস। বুধবার ক্যালিফোর্নিয়ায় বর্ডারলাইন বার অ্যান্ড গ্রিল নামের বারে বন্দুক হামলার কবলেও পড়েন তিনি। কিন্তু এ যাত্রা আর ঘরে ফেরা হলো না তাঁর। বন্দুকধারীর গুলিতে নিহত ১২ জনের মধ্যে ২৭ বছর বয়সী অরফানোসও আছেন।

এবিসি সংবাদমাধ্যমকে অরফানোসের মা বলেন, ‘গত বছর আমার ছেলে নিজের প্রচুর বন্ধু-বান্ধবের সঙ্গে লস ভেগাসে গেলেও সে ফিরে এসেছিল। তবে এবার তার আর ফেরা হলো না।’ এ সময় তিনি নিহত ছেলের জন্য কোনো প্রকার সহানুভূতি অথবা প্রার্থনা না করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘আমি চাই, বন্দুকের ওপর সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা হোক।’

সূত্র- বিবিসি

আরকে//