৬ দফা দাবিতে হাবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের মহাসড়ক অবরোধ
প্রকাশিত : ০৭:৪৩ পিএম, ১১ নভেম্বর ২০১৮ রবিবার
দিনাজপুর হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের একটি অংশ বিশ্বিদ্যালয় ছাত্রকে লাঞ্চিত করার প্রতিবাদে হানিফ বাস চালকের শাস্তির দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ করেছে।
আজ সকাল ১০টায় সাধারণ শিক্ষার্থীদের একটি অংশ হানিফ বাস চালকের দ্বারা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র লাঞ্চিত হওয়ার প্রতিবাদে বিশ্ববিদ্যালয় দ্বিতীয় গেট সংলগ্ন রংপুর- দিনাজপুর মহাসড়কের সামনে ৬ দফা দাবিতে বেলা ১টা পর্যন্ত সড়ক অবরোধ পালন করে।
দাবী সমূহঃ (১)শিক্ষার্থী লাঞ্চিত করার অপরাধে হানিফ পরিবহন “ঢাকা মেট্রো ব-১৪৫৯৫৪” গাড়ির স্টাফদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। (তৎক্ষণাত মোবাইল কোর্ট বসিয়ে) এবং গাড়ি চলাকালীন সময়ে ফোনে কথা বলার অপরাধে গাড়ির চালককে সড়ক পরিবহন আইনের নির্দিষ্ট ধারা অনুপাতে উপযুক্ত আইনি ব্যবস্থা গ্রহন করতে হবে।
(২) উক্ত ঘটনায় যে সকল শিক্ষার্থী আহত হয়েছে তাদের ক্ষয় ক্ষতির নিমিত্তে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।
(৩)বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন হাইওয়েতে গাড়ির সর্বোচ্চ গতিসীমা ঘন্টায় ২০কি.মি. রাখতে হবে এবং বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার আশে পাশে কোনো প্রকার হাইড্রলিক হর্ণ বাজানো যাবে না।
(৪)বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন হাইওয়ে কে রোড ডিভাইডার এর আওতায় আনতে হবে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩টি গেইট এর উভয় পাশে ২টি করে স্পীড ব্রেকার দিতে হবে।
(৫)মটর শ্রমিকদের অবশ্যই শিক্ষার্থীদের সম্মান রক্ষা করে সহানুভূতিশীল আচরণ করতে হবে এবং সুষ্ঠু ছাত্র - শ্রমিক সম্পর্ক বজায় রাখার জন্য অঙ্গীকারবদ্ধ হতে হবে।
(৬)সমাধানকল্পের সিদ্ধান্ত অনুসারে শিক্ষার্থীদের জন্য হাফ ভাড়ার প্রতিশ্রুতিটি লিখিতভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে।
এ সময় মারুফ নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, এর আগেও বেশ কয়েকবার পরিবহন মালিক শ্রমিক সমিতির লোকজনের কাছে আমাদের লাঞ্চিত হতে হয়েছে। বিভিন্ন সময় আমরা এর প্রতিবাদ করেছি। জেলা প্রশাসক ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আমাদের সেই সময় আশ্বস্ত করেছিলেন। আমরা কিন্তু তা মেনে নিয়ে চলছিলাম। কিন্তু তারা আবার বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদের তারা কোন মুল্যায়ন করছেনা।
গত বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় রংপুর থেকে হানিফ বাসে আমাদের কয়েকজন ছাত্রভাই ক্যাম্পাসের উদ্দেশ্যে আসছিল। বাসচালক কানে হেড ফোন দিয়ে বেপরোয়াভাবে গাড়ি চালাতে থাকলে দূর্ঘনা এড়াতে তাকে সাবধানে গাড়ি চালাতে বলে। তখন উল্টো ঐ গাড়ী চালক আমাদের ভাইদের সাথে দূর্ব্যবহার করেছে। এমনকি তারা আমার ভাইদের মারধর করেছিল যা অত্যন্ত দুঃখজনক।
এছাড়া শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে হাফ ভাড়া নেয়ার কথা থাকলেও তারা সেটা মানছেন না। আমরা এসবের সুষ্ঠু বিচার চাই। অন্যথায় আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাবো। ছাত্রদের দাবির প্রেক্ষিতে সুষ্ঠু সমাধানের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে পরিবহন শ্রমিক সমিতি ও জেলা প্রশাসকের সাথে বসার জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে।
আরকে//