১১ বছরেই এম টেকের শিক্ষার্থী পড়ায় এই বিস্ময় বালক
প্রকাশিত : ১১:৫২ এএম, ১২ নভেম্বর ২০১৮ সোমবার
বয়স মাত্র ১১। কিন্তু সে ক্লাস নেয় বি টেক, এম টেকের পড়ুয়াদের। ভারতের হায়দরাবাদের এই বিস্ময় বালককে নিয়ে তোলপাড় সোশ্যাল মিডিয়া।
ক্লাস সেভেনের ছাত্র এই বিস্ময় বালক মুহাম্মদ হাসান আলি। নিজের পড়ার পাশাপাশি ছাত্রও পড়ায় সে। ডিজাইনিং, ড্রাফটিং কোনও কিছুই আটকাচ্ছে না। সবেতেই সে সমান পারদর্শী।
বয়স মাত্র ১১ হলে কী হবে, ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের অঙ্ক সহজেই করে ফেলে সে। কম্পিউটারের সবটাই নখদর্পনে। বয়সে বড় ছাত্রদের খুব সহজ করে কঠিন অঙ্ক বুঝিয়ে দেয় এই খুদে শিক্ষক।
সকাল সাড়ে ৮টায় তার স্কুল শুরু হয়। দুপুর তিনটা নাগাদ স্কুল থেকে এসে নিজের হোম ওয়ার্ক করে পাঁচটা পর্যন্ত।
তারপর কোচিংয়ে গিয়ে পাঁচটা থেকে সাড়ে আটটা পর্যন্ত ছাত্রদের পড়ায় হাসান। বাড়ি ফিরে নিজের পড়া শেষ করে ঘুমিয়ে পড়ে সে।
এই পড়ানো কিন্তু তার পেশা নয়। এটা তার সখ। সেই জন্য ছাত্রদের কাছ থেকে কোনও বেতন নেয় না হাসান।
হাসান গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমি আমার ছাত্রদের কাছ থেকে সাম্মানি নেই না। আমি দেশের জন্য কিছু করতে চাই। এই কাজে আমার বাবা-মা আমাকে সব সময় সাহায্য করেন।’
হাসান বলেন , ‘আমাদের ইঞ্জিনিয়াররা মেধায় এগিয়ে, শুধু পিছিয়ে টেকনিকে আর জনসংযোগে। ডিগ্রি থাকা সত্ত্বেও তারা চাকরি পায় না অনেক সময়। তাই আমি চাই দক্ষতা অর্জন করে দেশের ইঞ্জিনিয়াররা এদেশেই যেন চাকরি করেন।’
হাসান জানায়, ‘আমার পছন্দ ডিজাইনিং। আমি নিজেও শিখি, অন্যদেরও শেখাই।’ প্রায় ৩০ জন সিভিল ও মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ছাত্রকে সে ডিজাইনিং ও ড্রাফটিং পড়ায়।
একটা লক্ষ্যও আছে হাসানের। ২০২০ সালের মধ্যে ১ হাজার জন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ছাত্রকে পড়াতে চায় হাসান। হাসানের এক বি টেক গ্র্যাজুয়েট ছাত্রী জানান, ‘এত ভাল ভাবে ডিজাইনিং পড়াতে খুব কম জনকেই দেখেছি।’
হাসানের পরিবারের প্রত্যেকেই শিক্ষকতার সঙ্গে যুক্ত। তার বাবা, মা, চাচা, চাচী সবাই শিক্ষক। তাই ছোটবেলা থেকেই পড়ানোর নেশা হাসানের। অবশ্য শুধু নেশা থাকলেই তো হবে না।
ক্লাস সেভেনের এক ছাত্র ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ছাত্রদের পড়াচ্ছে, এই ঘটনায় অবাক সবাই। অবাক হাসানের শিক্ষকরাও। হাসান অঙ্কে অত্যন্ত পারদর্শী বলে জানিয়েছেন তার শিক্ষকরা।
তথ্যসূত্র : আনন্দবাজার
এমএইচ/