ঢাকা, সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১০ ১৪৩১

ইবি’র এক কর্মকর্তা ও কর্মচারী সাময়িক বরখাস্ত

প্রকাশিত : ০৭:৫২ পিএম, ১২ নভেম্বর ২০১৮ সোমবার

দুর্নীতির বিরুদ্ধে আবারও কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করলেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন ও শরীয়াহ্ অনুষদের সহকারী রেজিস্ট্রার মোঃ উমর আলী ও পরিবহন অফিসের গাড়ী চালক মুন্সি তারিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে চাকুরীর প্রলোভন দেখিয়ে অর্থ গ্রহনের অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রমানিত হওয়ায় আজ (১২ নভেম্বর) বিকেলে তাদেরকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে।

ঘটনায় প্রকাশ থাকে যে, আজ (১২ নভেম্বর) সকালে মোঃ মামুনুর রশিদ, গ্রাম-অমৃতপুর, ডাকঘর-চন্দনকোঠা, তানোর, জেলা-রাজশাহী, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোঃ হারুন-উর-রশিদ আসকারী’র (রাশিদ আসকারী) নিকট অভিযোগ করেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি সেলের হার্ডওয়ার এবং নেটওয়ার্ক টেকনিশিয়ান পদে চাকুরীর প্রলোভন দেখিয়ে আইন ও শরীয়াহ্ অনুষদের সহকারী রেজিস্ট্রার মোঃ উমর আলী এবং পরিবহন অফিসের গাড়ী চালক মুন্সি তারিকুল ইসলাম চেকের মাধ্যমে ১১,৪০,০০০/= (এগার লাখ চল্লিশ হাজার) টাকা গ্রহণ করেন। যা বর্তমানে মোঃ উমর আলীর অগ্রণী ব্যাংক লিঃ ইবি শাখায় সঞ্চয়ী হিসাব নম্বর (০২০০০০৩০৯০৬৩৩) জমা আছে।

তার এই অভিযোগ তাৎক্ষনিকভাবে তদন্ত করেন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। অর্থ লেনদেনের দুর্নীতির সাথে তাদের সক্রিয় সম্পৃক্ততা প্রাথমিকভাবে প্রমানিত হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারী দক্ষতা ও শৃঙ্খলা বিধির ৩ (ডি) ধারার অপরাধ সংঘটনের জন্য অভিযুক্ত দুজনকে আজ (১২ নভেম্বর) বিকেলে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

এদিকে এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য ৩ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির আহবায়ক হলেন-ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োটেকনোলজি এন্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রফেসর ড. মোঃ রেজওয়ানুল ইসলাম। সদস্য বাংলা বিভাগের প্রফেসর ড. মোহাঃ সাইদুর রহমান এবং সদস্য-সচিব পরিকল্পনা ও উন্নয়ন বিভাগের পরিচালক (ভার:) এইচ. এম. আলী হাসান।

আরকে//