ঢাকা, শনিবার   ০৫ অক্টোবর ২০২৪,   আশ্বিন ২০ ১৪৩১

ভোগ্যপণ্যের প্রদর্শনে অ্যাম্বিয়েন্টের গুরুত্ব বাড়ছে বিশ্বব্যাপী

প্রকাশিত : ০৮:৫২ পিএম, ১২ নভেম্বর ২০১৮ সোমবার

বিশ্বের অন্যতম প্রধান কনজিউমার গুডস বা ভোগ্যপণ্য প্রদর্শনী হয়ে উঠছে অ্যাম্বিয়েন্টে। আগামী ২০১৯ এর ৮ থেকে ১২ ফেব্রুয়ারির জার্মানীর অ্যাম্বিয়েন্টে প্রদর্শনীতে থাকছে একেবারে নতুন ধরনের জিনিস। গত বছরের এই প্রদর্শনীতে বিশ্বের ৮৮ টি দেশ থেকে ৪৩৭৬ জন প্রদর্শক এবং ১৬৭ টি দেশ থেকে ১,৩৩০০০ জনেরও বেশি ক্রেতা ও দর্শনার্থী আসেন। জার্মানির পরে শীর্ষ দশ পরিদর্শক দেশ ছিলো ইতালি, চিন, ফ্রান্স, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, নেদারল্যান্ডস, স্পেন, তুরস্ক, কোরিয়া এবং সুইজারল্যান্ড। দর্শনার্থীদের মধ্যে সন্তুষ্টির হার ৯৬ শতাংশে স্থির ছিলো পুর সময় জুরেই। চীন, কোরিয়া, রাশিয়া, উত্তর আমেরিকার বিভিন্ন দেশ, দক্ষিণ আফ্রিকা, পুরো দক্ষিণ আমেরিকা, তুরস্ক, লেবানন এবং সাইপ্রাসের দর্শনার্থীর সংখ্যা গড়ে অনেক বেশী ছিলো আগের চেয়েও। বাংলাদেশ থেকে সর্বমোট ৩১ জন প্রদর্শক গিয়েছিলেন যাদের নতুন ডিজাইন এবং ট্রেন্ড নিয়ে যাদের ফোকাস অনেক বেশী।

আসলে এই শিল্পখাতের জন্য একটি মিলন মেলার মতো। এই প্রদর্শনী বা বাণিজ্য মেলার কাঠামো তৈরি হয়, ডাইনিং, গিভিং এবং লিভিং এই তিনটি ধারণাকে কেন্দ্র করে। এই প্রদর্শনীটি বহু খাত নিয়ে একইসাথে কাজ করে বলে অ্যাম্বিয়েন্টে সমগ্র বাজারের একটি সামগ্রিক ধারনা দেয়।

বাংলাদেশে গৃহস্থালি সংক্রান্ত নিত্য ব্যবহার্য পণ্যের ট্রেন্ডে পরিবর্তনের সাথে সামঞ্জস্য রেখে অ্যাম্বিয়েন্টে নতুন এবং উদ্ভাবনী পণ্যের জন্য একটি অসাধারণ উৎস হিসেবে কাজ করে। এই প্রদর্শনীর তিনটি অংশ আছে – লিভিং, গিভিং এবং ডাইনিং, এবং এর একটি বড় সুবিধা হল বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে এইসব পণ্য আমদানীকারকেরা অন্যান্য দেশের পণ্য দেখে তার মান ও দামের বিচার করে পছন্দ করতে পারবেন। এটা সম্ভব হয় এইজন্য কারণ এশিয়ার বাইরে অ্যাম্বিয়েন্টেই এইসব পণ্যের সবচেয়ে বড় উৎস বলে অত্যন্ত বিখ্যাত। এটাই একমাত্র প্রদর্শনী যেখানে ইটালি হোক বা চীন বা ইথিওপিয়া, পাওয়া যাবে পণ্য প্রস্তুতকারী সব প্রতিষ্ঠানকেই।

আরকে//