ঢাকা, বুধবার   ২৭ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১৩ ১৪৩১

নিয়ম না মেনে কি অ্যান্টিবায়োটিক খাচ্ছেন?

নিরবে বিপদ ডেকে আনছেন নাতো

প্রকাশিত : ০২:৫৩ পিএম, ১৩ নভেম্বর ২০১৮ মঙ্গলবার

সারা বছর নানা কারণে অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়ার অভ্যাস আমাদের রয়েছে। আবহাওয়ার পরিবর্তনের কারণে সর্দি-কাশির আক্রমণ হোক বা ব্যাকটিরিয়াঘটিত জ্বর, সব কিছুতেই আমরা অ্যান্টিবোয়োটিক খেয়ে থাকি।

তবে দিনের পর দিন এই ধরনের ওষুধ খাওয়ার ভাল-মন্দ দিক নিয়ে গোটা বিশ্ব জুড়েই গবেষণা চলছে।

চিকিৎসকদের মধ্যেও এই বিষয়ে দু’টি স্পষ্ট বিভাজন রয়েছে। যেমন—কিছু সাবধানতা মেনে অ্যান্টিবায়োটিক খেলে তা শরীরের ক্ষতি করে না।

অন্যদিকে নিয়ম না মেনে বা মাঝপথে বন্ধ করে দিলে অ্যান্টিবোয়োটিকের নেতিবাচক প্রভাব শরীরে পরে বলে মত দিয়েছেন অনেক চিকিৎসক।

এর মধ্যে ভারতের জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ সুবর্ণ গোস্বামী এমনটাই মন্তব্য করেছেন।

আবার যে কোনও অসুখেই কথায় কথায় অ্যান্টিবায়োটিক বাতলানোকে মোটেও ভাল চোখে দেখেন না মেডিসিন বিশেষজ্ঞ গৌতম বরাট।

তার মতে, দিনের পর দিন একটানা অ্যান্টিবোয়োটিক খেতে খেতে শরীরের নিজস্ব প্রতিরোধ ক্ষমতা চলে যায়। একান্ত প্রয়োজন না হলে তাই অ্যান্টিবোয়োটিক না খাওয়াই ভালো। খেলেও খান সাবধানতা মেনে।

অ্যান্টিবোয়োটিক একান্ত খেতেই হলে কিছু জরুরি বিষয় মেনে চলতে হয়। তবেই শরীর ক্লান্ত হওয়া, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়া ও বড়সড় অসুখ ডেকে আনা থেকে দূরে থাকা যাবে।

আসলে এই ওষুধ ব্যবহার করার সময় আমরা প্রায় কোনও সতর্কতাই মানি না। জানেন কি, কোন কোন নিয়ম মেনে অ্যান্টিবায়োটিক নেওয়া উচিত?

* ইচ্ছামতো অ্যান্টিবায়োটিক খাবেন না। শরীরের অভ্যন্তরীণ অবস্থা ও অসুখের মাত্রা না বুঝে অ্যান্টিবোয়োটিক খাওয়া উচিত নয়।

* অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়ার সময় নিয়ম করে এক থেকে দেড় লিটার পানি খান। অনেকেই পানি প্রচুর খেতে পারেন না। সে ক্ষেত্রে ফলের রস, ডাল জাতীয় খাবার খান।

* অ্যান্টিবোয়োটিক খেলে চিকিৎসকের পরামর্শ মতো সঙ্গে অ্যান্টাসিড ও ভিটামিন খান।

* অ্যান্টিবায়োটিক খেলে হজম ক্ষমতা কিছুটা কমে। তাই সহজপাচ্য খাবার খান। তেলমশলা জাতীয় খাবার, ফাস্ট ফুড একেবারেই নয়। বরং এ সব এড়িয়ে হজমে সহায়ক খাবার খান।

তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার

 

এমএইচ/