নারী নির্মাতাদের সেরা ৭টি চলচ্চিত্র
প্রকাশিত : ০৩:৫১ পিএম, ১৩ নভেম্বর ২০১৮ মঙ্গলবার | আপডেট: ০৭:৫৩ পিএম, ১৩ নভেম্বর ২০১৮ মঙ্গলবার
এই সাতটি চলচ্চিত্রের নির্মাতা কেবল নারী নন, তাদের নির্মিত চলচ্চিত্রে নারীরাই রয়েছেন কেন্দ্রীয় ভূমিকায়৷ জেনে নিন সেই সাতটি ছায়াছবির কথা৷
ওয়ান্ডার ওম্যান
২০১৭ সালে ইসরায়েলি অভিনেত্রী গাল গ্যাডট রাতারাতি আন্তর্জাতিক খ্যাতি পান ব্লকবাস্টার চলচ্চিত্র ‘ওয়ান্ডার ওম্যান’-এ অভিনয় করে৷ হলিউডে কোনও নারী চলচ্চিত্র নির্মাতার এটাই প্রথম কোনও সুপারহিরোকে নিয়ে ছবি নির্মাণ৷ এই চলচ্চিত্রটি বক্সঅফিসে ব্যাপক সাফল্য এনে দেয়। পাশাপাশি সফল চলচ্চিত্র নির্মাতার তকমা জোটে প্যাটি জেনকিনসের নামের পাশে৷
সাফরাজেট
২০১৮ সালে জার্মানিতে উদযাপন করা হচ্ছে নারীদের ভোটাধিকারের শতবর্ষ৷ ব্রিটেনে নারী অধিকার কর্মীরা নারীদের অধিকার আদায়ের জন্য বহুবার রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করেছেন৷ কখনও কখনও তা সংঘর্ষে রূপ নিয়েছে৷ ২০১৫ সালে নির্মিত ‘সাফরাজেট চলচ্চিত্রে’ এই বিষয়গুলো ফুটে উঠেছে৷ এর পরিচালনায় ছিলেন সারাহ গ্যাভরন৷
মাসট্যাঙ
কুর্দিস-ফরাসি পরিচালক ডেনিজ গামজে এরগুভেঁ-র পরিচালিত ‘মাসট্যাং’ ছবিতে মূলত পুরুষ অধ্যুষিত বিশ্বে পাঁচ বোন কীভাবে নির্যাতিত হয় সেই কাহিনি ফুটে উঠেছে৷ তুরস্কের ছোট একটি গ্রাম থেকে পিতৃতান্ত্রিক সমাজের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলে তারা৷ স্বাধীনভাবে ঘুরে বেড়ানো মাসট্যাঙ ঘোড়া তখন তরুণী বিদ্রোহীদের স্বাধীনতার প্রতীক হয়ে ওঠে৷
বেন্ড ইট লাইক বেকহ্যাম
ব্রিটিশ চলচ্চিত্র ‘বেন্ড ইট লাইক বেকহ্যাম’ ২০০২ সালে সবাইকে অবাক করে দিয়ে ব্যাপক সাফল্য পায়৷ কেনিয়ায় জন্ম নেওয়া ইংলিশ পরিচালক গুরিন্দর চাড্ডা এর পরিচালক৷ মূলত তিনি ভারতীয় বংশোদ্ভূত৷ যেখানে তিনি এক কমবয়সি নারী ফুটবলারের গল্প বলেছেন, যে সমাজের সব প্রতিবন্ধকতা পেরিয়ে লন্ডনের ফুটবল লিগে নিজের জায়গা করে নেয়৷
হ্যানা আর্নড
২০১২ সালে এই চলচ্চিত্রটি নির্মাণ করেন জার্মান পরিচালক মার্গারেটা ফন ট্রোটা৷
রাফিকি
কেনিয়ার পরিচালক ওয়ানুরি কাহিয়ু-র পরিচালিত এই চলচ্চিত্রের কাহিনি গড়ে উঠেছে দুই নারীর ভালোবাসার সম্পর্ককে ঘিরে৷ কান চলচ্চিত্র উৎসবে ছবিটি আমন্ত্রণ পেয়েছিল৷ তবে নিজ দেশে এর জন্য কঠোর সমালোচনার মুখোমুখি হতে হয়েছে পরিচালককে৷ কেননা সেদেশে সমকামিতা নিষিদ্ধ৷ তাই স্থানীয় কর্তৃপক্ষ এটা সেখানে মুক্তি দেওয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল৷
দ্য পিয়ানো
১৯৯৩ সালে নির্মিত এই চলচ্চিত্রে অসাধারণ কিছু চিত্র ধারণ করা হয়েছে৷ বধির পিয়ানোবাদক অ্যাডা ম্যাকগ্র্যাথের এই কাহিনি কান চলচ্চিত্র উৎসবে পরিচালককে পাম ডি’অর এনে দেয়৷ নিউজিল্যান্ডের পরিচালক জেন ক্যাম্পিয়ন এখন পর্যন্ত বিশ্বের একমাত্র নারী পরিচালক, যিনি এই সম্মানজনক পুরস্কার অর্জন করেছেন৷ এছাড়া এই চলচ্চিত্রটি তিনটি ক্যাটাগরিতে অস্কার জিতেছিল৷
সূত্র: ডয়চে ভেলে